রবিউল, কক্সবাজার থেকে॥ মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ৮ রোহিঙ্গা হিন্দু নারীকে জোর করে ধর্মান্তরের জন্য পুরাতন রোহিঙ্গা শিবিরের একটি কক্ষে আটকে রেখে নির্যাতন চালিয়েছে শরনার্থী শিবিরে আশ্রয় নেওয়া অন্য কিছু রোহিঙ্গা শরণার্থী। ভুক্তভোগী নারীদের এমন অভিযোগ উঠে এসেছে বেসরকারী টিভি চ্যানেল নিউজ টুয়েন্টিফোরের একটি প্রতিবেদনে।
গত আগস্ট মাসের শেষ দিকে এক যোগে ২০ টি সীমান্তরক্ষী পুলিশের তল্লাসী চৌকিতে হামলা চালায় রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীগোষ্ঠী। সেই হামলার জের ধরেই মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যে নির্বিচারে রোহিঙ্গা নিধন শুরু করে। যা গণহত্যার রুপ নেয়। এই পর্যন্ত রাখাইন রাজ্যে সে দেশের সেনাবাহিনী এক হাজারের বেশী রোহিঙ্গাকে হত্যা করেছে। পালিয়ে বাংলাদেশে আসার সময় নৌকাডুবিতে মারা গেছে আরোও শতাধিক রোহিঙ্গা। আর সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে ৩ লক্ষের বেশী রোহিঙ্গা।
রোহিঙ্গারা বেশীর ভাগ মুসলিম হলেও কিছু সংখ্যক হিন্দুধর্মাবলম্বীও রয়েছে। শরণার্থী শিবিরে জায়গা না পেয়ে কক্সবাজারের উখিয়ায় এক যুবকের মুরগীর ফার্মের ঘরে আশ্রয় পেয়েছেন এমন প্রায় ১০০ রোহিঙ্গা হিন্দু পরিবার। এইসব পরিবারে প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের সংখ্যা খুবই কম। জঙ্গীরা এসব পরিবারের বেশীরভাগ পুরুষদেরই মেরে ফেলেছে। এই মুরগীর ফার্মের ঘরে আশ্রয় নিয়েছেন নির্যাতিত ঔ ৮ নারীও।
স্বজন হারিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে পেটের ক্ষুধা মিটাতেই যখন রোহিঙ্গাদের তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে ত্রাণ সহায়তার দিকে, জায়গা মেলাতে কষ্ট হচ্ছে শরণার্থী শিবিরে, তখন ঐ ৮ নারীর উপর চালানো হয়েছে পাশবিক নির্যাতন, জোর করে ধর্মান্তরের চেষ্টা।
এছাড়াও ক্রমেই যেন খারাপের দিকে যাচ্ছে শরণার্থী শিেিবরর আশেপাশের এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি। উখিয়ার বিভিন্ন জায়গায় রোহিঙ্গারা সরকারী জমি দখল, সরকারের কাছ থেকে লিজ নিয়ে সাময়িক ব্যাক্তি মালিকানায় থাকা জমি দখল, পাহাড় কেটে ও বন উজাড় করে বসতবড়ি নির্মাণ করছে বলে উঠে এসেছে নিউজ টুয়েন্টিফোর চ্যানেলের আরেকটি প্রতিবেদনে।