এস কে কামাল॥ যেকোনো সম্পর্কের প্রথম আর প্রধান শর্ত হলো সম্পর্কে সৎ থাকা এবং সঙ্গীর বিশ্বাস ধরে রাখা। কিন্তু অনেক সময়ই এই বিশ্বাস ভেঙ্গে অন্য কারো প্রতি আকৃষ্ট হতে দেখা যায় নারী বা পুরুষ উভয়কেই। পরকীয়া বা স্ত্রীকে লুকিয়ে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার অভ্যেস নতুন নয়। শুধু যে পুরুষই পরকীয়া করেন তা নয়, অনেক সময় এর উল্টোটাও ঘটে।
বিশেষ করে ইন্টারনেট ও স্মার্টফোনের এই যুগে একটি সুখের দাম্পত্যে জীবনে তৃতীয় ব্যক্তি প্রবেশ করছে অতি সহজেই। স্বামী বা স্ত্রী যদি কেউ অন্য কারো প্রতি আসক্ত হয় তাহলে যতই লুকনোর চেষ্টা চলুক না কেন কিছু লক্ষণে তা প্রকাশ পায়। মনোবিজ্ঞানীরা সে রকম কয়েকটি লক্ষণ চিহ্নিত করেছেন। আজ পাঠকদের জন্য সেগুলোই তুলে ধরা হলো :-
স্বামী বা স্ত্রী উভয়ের কেউ পরকীয়ায় আসক্ত থাকলে প্রথমেই ব্যপারটি জানিয়ে দেয় ফোন। দীর্ঘক্ষণ মোবাইল নিয়ে কাটানো, যেখানে যাচ্ছে সঙ্গে ফোনটি নিয়ে রাখছে। এমনকী পারলে বাথরুমেও নিতে চায় ফোন। পার্টনারের সঙ্গে ফোনের পাসওয়ার্ড শেয়ার না করতে চাওয়া।
একটা মিথ্যে কথা ঢাকতে হলে একগুচ্ছ মিথ্যের আশ্রয় নিতে হয়। সে রকমই সঙ্গী বা সঙ্গিনী যদি একটা তুচ্ছ প্রশ্নের উত্তরে একগুচ্ছ বাহানা দিয়ে কথা বলতে শুরু করেন। তাহলে বোঝা যায় তিনি কিছু ঢাকতে চাইছেন।
নানা অছিলায় একটা ঘরে একসঙ্গে সময় কাটানো এড়িয়ে যাওয়া। সঙ্গীর থেকে নিজেকে দূরে রাখা এবং একা থাকতে ভালোবাসা।
মেসেজ চটজলদি ডিলিট করে দেয়ার প্রবণতা এবং ইনবক্স শুন্য রাখার প্রবণতা।
কোনো একটি পোশাক তিনি আগে পছন্দ করতেন না। হঠাত্ সেই পোশাকটিই প্রিয় হয়ে যাওয়া। ইত্যাদি ইত্যাদি।