হানিফ॥ মেধাবী এক তরুন, আজ আমাদের জাতীয় গর্ভ। পাশের বাড়ির এক প্রফেসর। তাঁর বাড়ীতে প্রায়-ই যাওয়া হত। তো একদিন একটি বই আমার নজর কাড়ল। আমি ঐ সম্মানিত প্রফেসরকে জিজ্ঞাসা করলাম এইটা কি বই ? তিনি আমায় বললেন তুমি ঐ সব বুঝবে না, ঐ সব হাতা-হাতি করবে না। আমি তাঁকে জোর করে বলি ঐটা কি বই, কি লেখা আছে সেখানে ?
কিন্তু স্যার আমায় বলবে না বলে ধমক দেই। আমিও নাছোড়বান্দা। আমি স্যারকে বললাম, আমায় না বললে আমি এখান থেকে যাবো না। তারপর, স্যার বললেন, এই বইটা হল বিসিএস পাশ করার বই, এই ধরনের বই বেশী বেশী পড়লে বিসিএস পাশ করা যায়। আমি আবার বললাম, বিসিএস মানে কি? কেননা আমি তো মাত্র ক্লাস এইটে পড়ি। অতঃপর আমাকে উনি বুঝিয়ে বললেন। আর সেই থেকে আমি বিসিএস পাশ করার লক্ষ্যে পড়াশোনা করতে থাকি। এসএসসি ও এইচএসসিতে প্রথম বিভাগ নিয়ে ভর্তি হই ডি.ইউতে। ঐ লক্ষ্য থাকে আমায় অটুট, ফলশ্রুতিতে, অনার্স ফোর্থ ইয়ারের সময়ই আমি হয়ে যায় বিসিএস এডমিন ক্যাডার। সেই থেকে আজ যুগ্নসচিব, বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয়ে এডিজি হিসেবে কর্মরত। আমি যেহেতু, অনার্স ফোর্থ ইয়ারে বিসিএস ক্যাডারে যোগ দেই, আমি আমার বন্ধুবান্ধব থেকে চার বছর বেশী চাকুরী করতে পারবো। অর্থাৎ আমার ইয়ার মেইটরা যেখানে ২০২২ সালে অবসরে যাবে, আমি যাবো ইনশাল্লাহ ২০২৬ সালে। এইভাবেই নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করেন তাজুল ইসলাম তাজু সাহেব, অত্র স্কুলের সাবেক ছাত্র, বর্তমানে যুগ্নসচিব, বাংলাদেশ সরকারের প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয় কর্মরত। তখনি দর্শক সারি থেকে সবাই বলতে থাকে আপনার মেধা, পরিশ্রম, অভিজ্ঞতা, প্রাজ্ঞতা, বিজ্ঞতা, পড়াশোনা ও সুনামের কারনে আপনি সচিব তথা মন্ত্রী পরিষদ সচিব কিংবা প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুর্খসচিব হবেন। ইনশাল্লাহ। তিনি আলোচনা শেষে প্রতিটি ক্লাসে গিয়ে ছাত্র দের সাথে মত বিনিময় করেন।