তাজুল ইসলাম নয়ন॥ গত ৩০/০৯/১৭ রোজ শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে জনাব রাসেদুল কাউছার জীবন সাহেবের বক্তব্যের বিভিন্ন ব্যাখ্যা হাজির হচ্ছে নকল এবং অননুমোদিত বিভিন্ন নিউজ পোর্টাল এবং সোস্যাল মিডিয়ায়। যে সকল লোক ঐ ঘৃণ্য এবং হীন মানসিকতার পরিচয় দিয়ে সত্যকে মিথ্যা বানানোর পায়তারা করছেন তাদেরকে সকলেই চিনে এবং তাদের কোন দল নেই এই কথাও জানে। তাদের দল একটিই তা হল ষঢ়যন্ত্র এবং লোটপাট। তারা সকল সময় সু সময়ের বন্ধ বা ফলের মধু খেতে পছন্দ করেন কিন্তু সেই মধূর নাগাল না পাইলেই যত্র-তত্র বিনা মেঘে বজ্রপাতের উদ্ভব ঘটানোর চেষ্টা করেন।
ঐসকল মানুষদের চরিত্র এবং বিবেক ও ইমান বলতে একটাই, আর তা হল অবৈধ আয়-উপার্জন, নেতিবাচক এবং কুসংস্কারকে আগলে পথ চলা। মানব কল্যাণ ও ইতিবাচক কোন কিছুই তাদের কাছে পছন্দ নয় বরং নেতিবাচক কর্মকান্ডের জন্য ব্যাকুল হয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। এই মানুষদের প্ষোার জন্য পিছন থেকে যারা ইন্দন যোগাচ্ছে এবং অর্থ ব্যায় করে যাচ্ছে তারাও এখন বোকার স্বর্গে বসবাস শুরু করেছে। কসবা আখাউড়ার ক্ষেত্রে এই ঘৃর্ণ কাজগুলো করে যাচ্ছেন যিনি তিনি হলেন; সাবেক এমপি এডভোকেট শাহ আলম। তিনি যদিও প্রকাশ্যে যেতে পারেন নি এবং এলাকায় তাঁর কোন সুযোগও নেই প্রকাশ্যে জনসংযোগ করার। কারণ তিনি তাঁর ব্যক্তি ইমেজ এবং দলীয় ইমেজ একেবারে- মাইনাস শুন্যের কোটায় নিয়ে গিয়েছেন। তিনি কসবার আরেক তারেক জিয়ার দ্বীতীয় সংস্করণ হিসেবে নিজেকে প্রমান করেছেন। তিনি তৃণমূল ও প্রকৃত ত্যাগী আওয়ামী লীগারদের সঙ্গে মোনাফেকিও করেছেন। তিনি আওয়ামী লীগকে জর্জরীত করেছেন। আওয়ামী লীগকে বহুধা বিভক্ত করে ভোটের জুলি খালি করেছেন। অবৈধ এবং অন্যায়ের পসড়া সাজিয়ে কলঙ্কের তিলক এটেছেন মহান মহানুভবতার দৃষ্টান্তে অগ্রগামী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে। সেই শাহ- আলম এখন দিশেহারা এবং বর্তমান মন্ত্রী মহোদয়ের উন্নয়ন কর্মকান্ড দেখে এমনকি জনমত দেখে পাগল প্রায়। কারণ তার পক্ষ্যে সম্ভব নয় এই নোংরা ও ঘৃনার রাজনীতির খেলা খেলে আনিছুল হককে হারানো। তাই তিনি নিজে এবং অর্থের বিনীময়ে আরো অনেককে আওয়ামী লীগের প্রস্তুত মাঠে নামানোর চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছেন। বিদেশে প্রবাসীদের উজ্জ্বীবিত করে নির্বাচনে বিজয়ের পথে বাধা হিসেবে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিছুটা হলেও তার চেষ্টার সফলতা হতে পারে ভেবে সে এগুচ্ছে। আমি এই ঘৃর্ণ্য মানুষটিকে এলাকা নয় বরং দেশ থেকে বিতারিত করার পক্ষে মত প্রদর্শন করি।
শাহ আলম এর পক্ষে যে সকল লোকজন এখনও গোপনে কাজ করছেন এবং যাদেরকে তিনি টাকা দিয়ে কেনার চেষ্টা করছেন এমনকি যাদের মাঠে নামিয়েছেন, তাদের সকলেরই উদ্দেশ্যে বলি আপনারা কি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, নাকি শাহ- আলম লীগ? যদি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হন, তাহলে আমার বলার আছে। আর যদি শাহ আলম লীগ হন তাহলে আমার কোন কিছু বলার নেই। কারন শাহ আলম লীগের কোন স্থান নেই এই দেশে। কারণ এই দেশ কোন রাজাকার, দুস্কৃতিকারী এবং ঘৃণ্য চক্রান্তকারীদের দখলে নেই ও থাকবেও না। চোরা কারবারী হয়ে সংসদ সদস্য পদ ছিনতাই এবং শেষ সংসদ সদস্যপদের বরাত দিয়ে ডাকাতি করে এবং ডাকাত বানিয়ে দেশ এবং উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করেছেন তিনি। দলীয় লোকদের ক্ষেয় করে বি দলীয়দের ক্ষমতায়ন এবং অর্থ-বিত্তশালী বানিয়েছেন। আজকে আর সেই সুযোগ নেই বরং নিজেকে শুধরানোর সুযোগটুকু রয়েছে। যদি কাজে না লাগান তাহলে হয়তো জনতার রোষানলে জীবন বিপন্ন হবে অচিরেই। আপনার সকল চক্রান্তই এখন প্রকাশ্য এবং আগামী দিনে নির্বাচনে বিজয় বাধাগ্রস্ত করার কোন সুযোগ আর আপনার হাতে অবশিষ্ট নেই।
জনাব আনিছুল হক আছে এবং থাকবে। আগামী দিনে কসবা-আখাউড়া নির্বাচনী আসন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ এর বিজয় ছিনিয়ে আনবে এবং মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিজয়ে বিজীত হয়েই টানা তৃতীয়বার প্রধান মন্ত্রী হয়ে আমাদের শ্যানন সাহেবকে নিয়ে দেশোন্নয়নে এগিয়ে যাবে।
যারা আওয়ামী লীগ (এখনও বিভিন্ন কারণে দুরে সরে আছেন বা অভিমান করে আছেন, এমনকি কারো আচরণে মনে ক্ষোভ নিয়ে পথ চলছেন) তাদেরকে বলছি; আওয়ামী পরিবারের ঐক্যে শড়িক হউন। আওয়ামী পরিবারের বিজয়ে আপনার ভুমিকা রাখুন। মনে রাখবেন পাতিলে পাতিলেও টক্কর লাগে। হাতের পাঁচটি আঙ্গুল যেমন সময় নয় তেমনি বিশাল এই দলের সকল স্তরের নেতা কর্মীও সমান নয়; তাই কারো কথায় আঘাত পেলে তাকে শুধরিয়ে নেবেন। আর এই শুধরিয়ে নেয়াটাই হলো পরিবারে ঐক্যবদ্ধ থাকার মহৎ এবং ইতিবাচক উপায়। কেউ ছোট নয় আবার কেউ বড়ও নয়। সবাই আমরা সমান এবং যার যার অবস্থান থেকে দলকে শক্তিশালী করবো এটাই আমাদের লক্ষ্য। দলীয় শৃঙ্খলা এবং চেইন অব কমান্ড মেনে চলব। দলের মধ্যে বিবেদ সৃষ্টিকারীদের সংযত করে আগামী দিনের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন এটাই হবে দলীয় ঐক্যের এক মহান ব্রত।
নির্বাচন আসলেই অনেকে নির্বাচনী মাঠে থাকে এবং নির্বাচন করার প্রয়োজনীয়তা উপলব্দি করে। কেন করেন জানেন; কারন যিনি বর্তমান তিনি ভাল কাজ করেন না তাই। কিন্তু আমাদের কসবা-আখাউড়াতে যিনি বর্তমান তিনি খারাপ কাজ করেছেন এমন কোন দৃষ্টান্ত নেই এমনকি কেউ দিতেও পারবে না। আমার জানা মতে কসবা এবং আখাউড়াই ওনার মত সৎও যোগ্য এবং কর্মঠ উন্নয়নমুখী মানুষ আর দ্বীতিয়টি নেই। পুর্বেও ছিল না এবং বর্তমানে নেই এমনকি আগামীতে হবে কিনা তা সময়ই বলে দিবে। সুতরাৎ নির্বাচন করবেন এবং তলে তলে বা চুপে চুপে প্রচারণা চালাবেন এটা মেনে নেয়া যায় না। কারণ আপনাকে মানুষ চিনে এবং আপনার যোগ্যতা ও দুরদর্শীতা এমনকি সৃজনশীলতাও জানে। তাই সকলের উদ্দেশ্যেই বলছি আপনার যে সম্মান ও গ্রহণযোগ্যতা এখনো অবশিষ্ট রয়েছে তা আর ধ্বংস করবেন না। কারণ আপনাকে মানুষ এখন আর চায় না। সুতরাং সময় সামনে অনেক তাই প্রস্তুত হউন এবং মানুষকে আপনাকে জানার সুযোগ করে দিন যেন মানুষই আপনাকে খুঁজে নিয়ে আসে। চোরের মার বড় গলার সঙ্গে আর নিজে জড়াবেন না। আপনারা যারা যারা আগামী দিনে নির্বাচন করার স্বপ্ন দেখছেন তাদেরকে বলছি নিজ পরিবারের ও কিছু আত্মিয়ের ভোট ছাড়া এমনকি একশত-দুইশত ভোট এর বেশী কপালে জুটবে না। তাই সুই নাই সুতা নাই করিম খলিফা সাজার কোন প্রয়োজন নেই। এন করেঙ্গা তেন করেঙ্গা দোরা কাওয়ার বাল ছিরেঙ্গা আর দরকার নেই। ছিরে কাথায় শুয়ে আর রাজার মেয়ে বিয়ে করার স্বপ্ন দেখার দরকার নেই। দলের সঙ্গে থেকে দলের প্রয়োজনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করুন। কোন কিছু পাওয়ার আশায় নয় বরং দেয়ার আশায়।
যদি কারো ব্যক্তিত্বে কোন প্রকার আঘাত লেগে থাকে তাহলে সরাসরি এডভোকেট আনিছুল হকের সঙ্গে বসুন এবং খোলামেলা কথা বলে আগামীর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী দলীয় ঐক্য ও বিজয়ের লক্ষে কাজ করুন। অযথা যামেলায় জড়ানো থেকে বিরত থাকুন। মিথ্যা রটানো এবং মিথ্যা তথ্য পাচার করা থেকে বিরত থাকুন। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতার সঙ্গে কাজ করুন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্যরা ঐক্যবদ্ধভাবে ঐসকল নোংরা ক্ষতিকর কীট রাজনীতিবীদ এবং দলীয় আবরণে দল বিরোধী ভুমিকাধারীদের কঠিন ও কঠোরভাবে মোকাবিলা করুন। প্রয়োজনে, গালি এমনকি কঠোর শাসন ও শয়তানী দূর করার মহৌষধ বেত্রাঘাত করুন। তাহলে বুঝতে পারবে শয়তানির খেসারত কি এবং কয় প্রকার। তাই বলতে চাই জনাব রাসেদুল কাউসার জীবন সাহেব যা বলেছেন তা আওয়ামী পরিবারের সকল সদস্যেরই কথা। এটা কোন একক ব্যক্তির কথা নয়। কারণ ধৈয্য এবং সম্মান প্রদর্শন করার সময় শেষ এবং এখন বর্জকন্ঠে ও কর্কষ ভাষায় জবাব দেয়ার সময়। জনাব জীবন সাহেব দলীয় কোন লোককে এই গালি এবং বুলি দিয়ে আঘাত করে নাই বরং দলের বাইরের দলীয় ছদ্দবেশে বা আবরণে গা ঢাকা দিয়ে যারা দলের ক্ষতি, উন্নয়নে বাধাগ্রস্থ করতে চাচ্ছে তাদেরকেই হুশিয়ার করেছেন। কেউ কেউ এটিকে ভুল উচ্চারণ ও ব্যখ্যায় ব্যস্ত রয়েছেন। তাদেরকে বলছি ভুল ব্যাখ্যা করবেন না এবং হলুদ সাংবাদিকতার লেবাস অনুসরণ না করে সহজ ও সরলীকরণ করে এগিয়ে যান। সমালোচনা করুন আপত্তি নেই কিন্তু শর্ত দলীয় লেবাস পরিহার করে আসুন। পুর্বের সাংসদ চোরাকারবারী, ছিনতাইকারী, ডাকাত সরদার এর আমলের মতো আর নেতিবাচক নোংরামি এখন নেই। বরং এখন দল সংগঠিত ও সংঘবদ্ধভাবে এগিয়ে যাচ্ছে বর্তমান মন্ত্রী আনিছুল হকের সুযোগ্য বুদ্ধিদিপ্ত নের্তৃত্বে। এতে এপিএস জনাব রাশেদুল কাউছার জীবন সাহেবেরও বিশাল অবদান রয়েছে।
দল এখন ঐক্যবদ্ধ এবং মন্ত্রী মহোদয়ও প্রস্তুত আগামীর সুনিশ্চিত বিজয় নিয়ে ঢাকা ফিরতে। আমরা আমাদের অনুসন্ধানী রিপোর্ট দিয়েও জরিপ চালিয়ে এর সতত্যা নিশ্চিত করেছি। আগামী দিনের করনীয় নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন এবং অগ্রসরমান কাজ চলমান রয়েছে। গুটিকতেক গুটিবাজ এবং দালাল ও বর্নচোরা মানুষজন এখনো খোলস ছেড়ে বেড় হয়ে আসতে পারেনি কিন্তু আসার রাস্তা খোঁজা শুরু করেছে। আশা করি আওয়ামী পরিবারের দলীয় ক্ষমা দিয়ে তারা দলে ফিরে পুনরায় কাজ শুরু করবেন। প্রধান মন্ত্রীর উপহার আমাদের আনিছুল হক শ্যানন। তাই এই উপহার উপহার হিসেবেই গ্রহন করে আমরা আগামীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) সুনিশ্চিত বিজয় উপহার দিব বঙ্গবন্ধু তনয়া বিশ্ব মানবতার শিক্ষক ও রক্ষক আগামী দিনের নোবেলিষ্ট, বিশ্বনেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে। জনাব হক যতদিন বেঁচে আছেন ততদিন এই সিট তাঁর নামেই সেবার ব্রতী চালিয়ে যাবে। এর কোন ব্যাত্যয় ঘটবে না। সঠিক কথার ভুল ব্যখ্যার অবসান হউক এবং ভাষার সাবলিলতা এবং গুনাগুণ ক্ষেত্রবিশেষে বিষেশায়িতভাবে ব্যবহার করুন। বিতর্কীত প্রধান বিচারপতি ভাষায় বলি কারো বক্তব্য মিস কোড করবেন না। বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে ছিনিমিলি খেলবেনও না। কারণ এখন স্বচ্ছতার যুগে গোপনে নোংরামি করে পালানোর কোন সুযোগ নেই।