কসবা(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)প্রতিনিধি ॥
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.জাফর আহাম্মদ অফিসে মোটর সাইকেল না সত্বেও গত দু’বছরে জ্বালানী ও মেরামত খাতে রাজস্ব তহবিল থেকে ৬৪ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগে প্রকাশ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার অফিসে মোটর সাইকেল না থাকা সত্বেও রাজস্ব তহবিল হতে জ্বালানী ও মোটর সাইকেল মেরামত বাবদ ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে ১৮ হাজার টাকা এবং ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে ৪৬ হাজার টাকা তিনি উত্তোলন করেছেন। যা সরকারী নিয়মের পরিপন্থী। তাছাড়া সিভিল অডিট অধিদপ্তরের অডিট এন্ড একাউন্টস অফিসার তরফদার গোলাম রাব্বানীর দায়িত্বে অডিট রিপোর্টে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে রাজস্ব তহবিল থেকে জ্বালানী ও মেরামত খাতে উত্তোলনকৃত ১৮ হাজার টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দেয়ার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হলেও তিনি ওই টাকা জমা না দিয়ে পুনরায় উক্ত খাতে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আবারো ৪৬ হাজার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন।
এ ব্যপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো,জাফর আহাম্মদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের কাছে টাকা উত্তোলনের কথা স্বীকার করেন। তিনি তার হোন্ডা আছে দাবী করেন। হোন্ডা থাকা সত্ত্বেও কেন অডিট কর্মকর্তা অডিটে আপত্তি দিয়ে টাকা ফেরত দিতে বললেন ? এ প্রশ্নের জবাবে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.জাফর আহাম্মদ নিরুত্তোর থাকেন। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় ও আশে-পাশে বিভিন্ন কার্যালয়ের কর্মচারীদের সাথে কথা বলে জানা যায় সত্যটি হলো তার কোনো হোন্ডাই নেই। অথচ গত দুই অর্থবছরে তিনি রাজস্ব খাত থেকে বিপুল পরিমান যাতায়াত ভাতাও নিয়েছেন। উল্লেখ্য তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত হচ্ছে।
একজন মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার এ ধরনের মিথ্যাচার এলাকার দায়িত্বশীল সচেতন মানুষকে হতবাক করেছে। বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত স্বাপেক্ষে দূর্নীতি পরায়ন এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য এলাকার সচেতন মহল উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।