তাজুল ইসলাম নয়ন॥ দীর্ঘদিনের ভুল রাজনীতি চর্চার খেসারত এবারও দিতে হলো বিএনপিকে। বিএনপির নালিশ নির্ভর রাজনীতি এবং এর পরিণামে “অপমান’…ছি ! ছি !! এ লজ্জা রাখি কোথায়? এই লিখাটা লেখতেও আমার কষ্টা হচ্ছে। কারণ এখানে বিএনপি নয় আমাদের জাতীয় জ্ঞানীও গুণী মানুষজন জরিত। যারপরনায় আমরা কি ঐ কুকর্মকারী অশিক্ষীত বা মুর্খের কাছে মাথানত করে জতজানু রাজনীতির হাতিয়ারে পরিণত হয়ে গিয়েছি। আর তাই যদি হয়ে তাহলে বলার আর কিছুই নেই। দু:খ হয় এই জ্ঞানী ও গুণি এমনকি জ্ঞানপাপী মানুষদের জন্য। যারা তার সকল অর্জিত শিক্ষা, সার্টিফিকেট ও জ্ঞানকে বিসর্জন দিয়ে এখন মুর্খতা নির্ভর অপরাজনীতির কুটচালে জর্জরিত ও পরাভূত।
এইতো সদ্য এক লজ্জাস্কর কান্ড ঘটে গেল কুটনৈতিক পাড়ায়। কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক ডেকে নিজেরাই বিপাকে পড়ল বিএনপি। .. একজন কূটনীতিক বলেন, ‘প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর এবং ১ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র জাজরা বৈঠক করেন। তারা প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে যে অভিযোগগুলো এসেছে সেগুলো মূল্যায়ন করেন। মূল্যায়নের পরিপ্রেক্ষিতে তারা সিদ্ধান্ত নেন যে, প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে তাঁরা আর বেঞ্চে বসবেন না। … ওই কূটনীতিক আরও জানান ১ অক্টোবর বিচারপতি ওয়াহহাব মিয়ার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের বিচারপতিরা বিচারপতি সিনহার বাসভবনে গিয়ে তাঁদের অনাস্থা জানান। এরপরই তিনি ছুটিতে যান। অন্য একজন কূটনীতিক বলেন, আপনাদের অভিযোগ সত্যি হলে, সব বিচারপতির তো একযোগে এর প্রতিবাদ করার কথা ছিল। কিন্তু তা তো হয়নি। আপনাদের বক্তব্য অনুযায়ী প্রধান বিচারপতিকে চাপ দেওয়া হলে বাকি বিচারপতিদের তো প্রতিবাদ করার কথা। তেমন কিছু হয়েছে কি? ওই কূটনীতিক বলেন, আপনাদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্য নেই। প্রধান বিচারপতি অন্যান্য বিচারপতিদের আস্থা হারিয়েছেন। এটা বিচার বিভাগের নিজস্ব বিষয়। আমাদের করণীয় কিছু আছে কি?
এই অপরিনামদর্শী রাজনীতি এখন পরাভূত এবং এর দায়ে বিএনপি আজ নি:শেষ হওয়ার শেষলগ্নে। সময় ছিল এবং এখনও হয়তো কিছুটা আছে যদি ইতিবাচক রাজনীতি নিয়ে প্রকৃম মানবসেবায় মনোনিবেশ করে। হয়ত সময় নিয়ে জনগণ তারপর যখন বুঝতে পারবে তখন তারা বিএনপিকে আবারো ক্ষমতায় আনবে। তবে সামনে কঠিন ও ভঙ্গুুর পথ পাড়ি দিয়ে আসতে হবে। নতুবা এই ইতি এখানেই টানতে হবে।