লাকী॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কন্যাশিশুদের সার্বিক সুরক্ষা ও উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যমসহ সমাজের সর্বস্তরের জনগণকে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। ‘জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০১৭’ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ আহবান জানান। গত (১৩ অক্টোবর) ‘জাতীয় কন্যাশিশু দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘কন্যাশিশুর জাগরণ, আনবে দেশের উন্নয়ন’।
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে, আজকে কন্যাশিশুরা বড় হয়ে সুস্থ ও মেধাবী জাতি গঠন করে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলবে। এ উপলক্ষে তিনি দেশের ও বিশ্বের সকল কন্যাশিশুকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার নারী ও কন্যাশিশুদের ক্ষমতায়ন এবং তাদের প্রতি সকল ধরনের বৈষম্য ও সহিংসতা দূর করতে বদ্ধপরিকর।
এ লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কন্যাশিশুদের কল্যাণে অবৈতনিক শিক্ষার প্রচলন, উপবৃত্তি প্রদান, বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণসহ নারীশিক্ষক সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর ফলে বিদ্যালয়ে ছাত্রী ভর্তির হার বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের জন্য আলাদা ব্লক নির্মাণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা ‘জাতীয় শিশুনীতি ২০১১’, ‘জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১’ প্রণয়ন করেছি। ১৯২৯ সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন রহিত করে অধিকতর কঠোর ধারা উপধারা সন্নিবেশ করে ‘বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭’ প্রণয়ন করেছি। আমাদের বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে বাল্যবিবাহ উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে। কিশোরী ও নারীদের দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান এবং তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিশোরীদের সুরক্ষা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য নিশ্চিত করে কন্যাশিশুদের দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে দেশব্যাপী কিশোরীক্লাব গঠন করা হয়েছে। এ ছাড়াও ২০১০ সাল থেকে মেয়েদের জন্য বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশের মেয়েরা ২০১৫ সালে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ বয়সভিত্তিক মেয়েদের দক্ষিণ এশিয়া ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে বলে বাণীতে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী ‘জাতীয় কন্যাশিশু দিবস-২০১৭’ উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।