টিআইএন॥ বাংলাদেশের পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে দিল্লি। এ সংক্রান্ত একটি রিপোর্টে প্রকাশ করেছে ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা। এতে বলা হয়েছে, আগামী ২৩শে অক্টোবর ঢাকা সফরে এসে এ পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলবেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
বিচারপতিদের অপসারণ সংক্রান্ত সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিল মামলার রায় নিয়ে বাংলাদেশের প্রথম সংখ্যালঘু প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সঙ্গে কয়েক মাস ধরেই শেখ হাসিনা সরকারের সংঘাত চলছে। প্রাথমিক ভাবে দু’পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদগারের পরে সংঘর্ষ-বিরতি ঘটায়। এই পদে সিনহার মেয়াদ শেষ হচ্ছে জানুয়ারির শেষ দিনে। এ মাসের ৩ তারিখে সিনহা রাষ্ট্রপতির কাছে এক মাসের ছুটি নেন। তার পরে সেই ছুটির মেয়াদ আরো বাড়িয়ে শুক্রবার অস্ট্রেলিয়া রওনা হন।
কিন্তু বলে যান, ১৪ই নভেম্বর দেশে ফিরে তিনি ফের কাজ শুরু করবেন। তার অনুপস্থিতিতে সবচেয়ে সিনিয়র বিচারপতি আব্দুল ওয়াহ্হাব মিঞাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ।
কিন্তু শনিবার সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসন নজিরবিহীন ভাবে বিবৃতি জারি করে প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতি, বিদেশে অর্থ পাচার ও অনিয়মের ১১ দফা অভিযোগ আনে বিবৃতিতে বলা হয়, আপিল বিভাগের অন্য চার বিচারপতি এই অভিযোগগুলো নিয়ে সিনহার সঙ্গে কথা বলেও সন্তোষজনক জবাব পাননি। এর পরে তারা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কোনো বেঞ্চে না-বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সিনহা দেশে ফিরে ফের প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব পালন করতে পারবেন কিনা, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, সুপ্রিম কোর্টের বিবৃতি এবং আপিল আদালতের অন্য বিচারপতিরা তার সঙ্গে বেঞ্চে বসতে অস্বীকার করার পরে সিনহার পক্ষে আর কাজ করা সম্ভব নয়।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানানো হচ্ছে, বাংলাদেশের এই সংঘাত একান্তই অনভিপ্রেত। গণতান্ত্রিক সরকারের সঙ্গে বিচার বিভাগের বিরোধে রাজনৈতিক ব্যবস্থা যে দুর্বল হয়, তা জানে নয়াদিল্লি। যা ভারতের জন্য একেবারেই শুভ সংকেত নয়। তবে সঙ্গত কারণেই এ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চাইছে না নয়াদিল্লি।