আজ ১৮ই অক্টোবর ২০১৭। এই দিনটি বিশেষভাবে মনে রাখার বা স্মরণীয় করে রাখার একটি উপাদানে যোগ হলো মাত্র। বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বি এন পি দলীয় প্রধান ও এশিয়ায় দুর্ণীতিগ্রস্থ পরিবারের তৃতীয় স্থান অর্জনকারী এমনকি সন্তানের উপাধীতে ও উৎপীড়ণে ক্ষমতাধরী মাফিয়া ডনের নিগৃহীত এবং পৈষাচিক দাম্বিকতায় ভরপুর জাতির জাতিয় শত্রু বেগম খালেদা জিয়াকে তাদের দলের গাধা ও গর্ধবগোষ্ঠী মিলে গেরিলা কায়দায় সবংর্ধনা দিবে। তাঁর আগমন উপলক্ষ্যে বিমানবন্দরে জড়ো হবে। কিই—–না চমৎকার। এই চমকারিত্ব একমাত্র বাংলাদেশেই প্রকাশ হয় ও শোভা পায়।
এই সম্বর্ধনার মাধ্যমে সম্মানীত দুটি শব্দকে করেছে কলঙ্কিত। কারন কোন প্রয়োজন বা অর্জন অথবা বিশাল কিছু জয়ের উৎফুল্লতাই জাতি দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য যে আয়োজন করে সেই আয়োজন আজ ফাকা ও শুন্যের কোটায় নেমে এসেছে আমাদের পাকিপ্রেমী ম্যাডামের কল্যানার্থে। তিনি কোথায় ছিলেন? সেখানে তিনি কিই বা করেছেন? আর দল বা দেশের কল্যাণে তিনি কিইবা ভুমিকা রেখেছেন? তা এখন হতভাগা জাতির বিকের সম্মুখপানে অগ্রজ রেখে প্রশ্নালোকে উপস্থাপন করলাম বৈকি?
দেশের ক্রান্তিকালে তিনি জীবন বাচাতে এবং ক্ষমতার মসনদে পৌঁছাতে কুটচালের ছক বা হিসাব কষতে ব্যতিব্যস্ত থেকেছেন এবং পত্রিকান্তরে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা একজন বাংলাদেশী এবং বিবেকবান ও মুক্তিযোদ্ধা এমনকি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ক্ষুদ্র সমর্থক হিসেবে হজম করতে না পেরে ভমি আকারে প্রকাশ করলাম মাত্র। জাতির সামনে ছিল বন্যার ছোবল আর পাশ্ববর্তী রাষ্ট্রের জন¯্রােতে ভাসমান অর্থনীতির চাকা পিষ্ট হওয়ার মত অবস্থা। কিন্তু তিনি কি ঐ দুই সংকটে মুখ খুলেছেন বা জাতির পাশে থেকেছেন… থাকেননি এমনকি থাকবেনও না। কারণ তিনি এই দেশকেতো ভালবাসেন না। এই দেশের প্রতি ওনার কোন দায়বদ্ধতাও নেই। যেমনি করে এই দেশের জন্মের লগ্নে তিনিতো এই দেশের মানুষের পক্ষে ছিলেন না বরং তিনি অবস্থান নিয়েছিলেন পাকিস্তানি কেম্পে। তিনার যৌবন ক্ষুধা মিঠানো আর বাংলাদেশের মানুষে সমস্ত অর্জন শেষের লক্ষে পাকিদের মনোবল চাঙ্গা রাখাই ছিল তার শৈশব, কৌশর ও যৌবনের প্রধান কাজ। এখন এই পৌঁড়ে এসেও সেই পুরোনো মনোবেদনাই জাগ্রত করে এই দেশ ও দেশের মানুষকে পৌরানিক পাকিস্তানে ফিরিয়ে নিতে চান।
তিনি আরেক আবাল বাংলার রক্তচোষা চক্ষুক্ষোর আমেরীকা প্রেমী ইউনুছ বেপারির পদাঙ্ক অনুসরণও করেছেন। তিনি পৃথিবীর ঘৃণ্যতম প্রকাশ শয়তান যা বেহেস্ত থেকে বিতারিত এবং শাস্তির অধিনে চলমান সেই শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করে এবং মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়ে চলমান প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাচ্ছেন। তার এই ষড়যন্ত্রের স্বীকার হতে কেউ রেহাই পায়নি এবং পাবেও না। কারণ তিনি রক্ত পিপাসু, অর্থ পিপাসু এবং ক্ষমতা পিপাসু। তাই এখন দেশ, জাতি, রাষ্ট্র ও রাষ্ট্র প্রধান সবাই খোদার প্রটোকল ও প্রটেকশনে যাওয়া ছাড়া আর কিই বা করার আছে। তার ছেলে ২০০১ এ দেশ এর সম্পদ বিসর্জন দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল; র’কে দিয়েছিল মুছলেকা। এসে যা করেছিল তা আজোও বিশ্ববাসী ভুলতে পারেনি। আজ আবার অবশিষ্টাংশটুকু বিলিয়ে দিয়ে এবং দেশের বিবেকবান মানুষগুলোকে অর্থের মৌকায় কিনে নিয়ে ক্ষমতায় বসার পসরা সাজিয়েছে।
তিনি আসছেন প্রকাশিত কোন সুনাম বা অর্জন নিয়ে নয় বরং আসছে গোপনীয় বা নেতিবাচক চক্রান্তের জাল বুনে। যা বাস্তবায়নার্থে তার উৎসাহ এবং উদ্দিপনা ও দলীয় সমর্থনসহ সকল নৈরাজ্যমূলক অকল্যানের বিষবাস্প ছড়িয়ে ঘন ধোয়াসাচ্ছন্ন ও কুয়াশায় ঢাকা পথের মধ্যে হুইল চেয়ারে বসে শয়তানের বৈদ্যুতিক আকর্ষণে ক্ষমতার মসনদে বসার লিপ্সায়। হয়তবো তার মনোকামনা বা বাসনা এমনকি অন্ধকারাচ্ছন্ন খায়েশ পুরন হবেনা কিন্তু অনেক প্রাণ ও তাজা রক্তের বিনিময়ে এ জাতি এইবার উতরাতে পারবে বৈকি। তবে এই অস্পরি রানীর সিংহাসনারোহন ঠেকানোর জন্য জাতিকে কঠোর ও কঠিন থেকে কঠিনতর এমনকি তেজোদ্বিপ্ত ভুমিকায় অবতীর্ণ থেকে চৌকষকোনাকৃতি সুই এর ছিদ্রদিয়ে প্রবেশকরানো বস্তু আবিস্কার এর নেশায় মত্ত থাকতে হবে। খুজতে হবে শত্রুর জাল এবং দেখতে হবে নেতিবাচক মনোভাবের দৃষ্টিশক্তি দিয়ে। ইতবাচক মনোভাব পরিহার করতে হবে এই অকল্যাণের গৌরবদৃপ্ত সর্মাঞ্জী ম্যাডামরুপী কাল সাপের সকল বিষাক্ত ফনামিশ্রিত ছোবল।
আসুন আমরা আমাদের ঐতিহ্য এবং ঐতিহ্যের ধারক ও বাহক এমনকি এর রুপ, রস, গন্ধসহ সকল অর্জনগুলিকে রক্ষা করি। সবংর্ধনা এবং গণ সবংর্ধনাকে স্ব-সম্মানে ফিরিয়ে নিয়ে যায় তার স্বকীয়তায়। গড়ে তুলি দেশীয় বন্ধন এবং এগিয়ে নিয়ে যায় দেশ, সমাজ, সংস্কৃতি, রাষ্ট্র এবং এর মধ্যে অবস্থানকারী সকলকে। কল্যাণের নিমিত্তে হউক রাষ্ট্রীয় বন্ধন, সামাজিক বন্ধন, দল-মত নির্বিশেষে ঐক্যের বন্ধন। আমরা বাংলাদেশী এবং বাংলাদেশ আমার অহংকার ও গর্ব। এদেশের প্রতিটি মানুষ আমার এবং আমরা সবাই মিলেই একটি পরিবার। এই লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে যাই। কথা বলি, পথ চলি, এবং সকলের তরে সকলে আমরা প্রত্যেকে আমরা পরের তরে মনোভাব কাজে প্রকাশ করি। ক্ষমা করবেন উক্তপ্ত বালূকণার ন্যায় শব্দ চয়ন করার জন্য। সবাই ভাল থাকেন, দেখা ও কথা হবে।