বাংলাদেশের ইসি অন্য দেশের চেয়ে বেশি স্বাধীনতা ভোগ করছে

শেখ কামাল॥ দৃশ্যমান রাজনৈতিক সংলাপ এবং নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমের ভিত্তিতে বলা যায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিয়ে ইসি কাজ করে যাচ্ছেন।  প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, এ দেশের নির্বাচন কমিশন (ইসি) এখন অন্য দেশের চেয়ে বেশি স্বাধীনতা ভোগ করছে এবং আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারই এটা নিশ্চিত করেছে।

ec nurul hoda
গত বুধবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপকালে সূচনা বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বর্তমান নির্বাচন কমিশন এখন যে ক্ষমতা চর্চা করছে এর বেশিরভাগ আইন-কানুন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রণীত হয়েছে।
শিক্ষা, সামাজিক, অর্থনৈতিক, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, অবকাঠামো ও প্রকৃতি সংরক্ষণসহ বিভিন্ন সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়নের উল্লেখ করে সিইসি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদানের প্রশংসা করে বলেন, ‘বিশ্বের মুকুট এখন তার মাথায়।’
নূরুল হুদা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ইতোমধ্যে যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারীদের মৃত্যুদন্ডাদেশ কার্যকর করেছে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে পৌঁছেছে। তিনি আরো বলেন, ‘দেশ ইতোমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত অথবা উন্নত দেশের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে।’
সিইসি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে শেখ হাসিনা সরকারের গৃহীত নানা কূটনৈতিক উদ্যোগের উল্লেখ করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী মাদার অব দ্য আর্থ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন’।
নূরুল হুদা যথাযথ শ্রদ্ধার সঙ্গে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা স্মরণ করেন এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন এবং ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন ও অন্যান্য ঐতিহাসিক ঘটনাসমূহের কথাও উল্লেখ করেন, যেসব আন্দোলন-সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল।
অনুষ্ঠানে ইসি সচিবালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদও বক্তৃতা করেন। এই সংলাপে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আজ ইসির কাছে তাদের ১১ দফা প্রস্তাব পেশ করেছে।
অপরদিকে এই একই ইসি আবার বি এন পির দলীয় সংলাপে স্ববিরোধী বক্তব্যও রেখেছিলেন। বি এন পি এবং বি এন পির শাসনামল এবং জিয়াউর রহমান সম্পর্কে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। যা ইতিহাসের সঙ্গে যায় না এমনকি একজন মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে মানায় না বা শোভা পায় না। ইসির এই দ্বৈতাচারন থেকে ভাল-মন্দ বলা বা বোঝার কোন ক্ষমতা নিরপেক্ষ বা দলীয় কোন সমর্থকের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে এই মুহুর্তে একইটুকুই বলতে পারে যে, দুই পা রাখা ভাল না। বা মোসাহেবীও ভাল না। নিরপেক্ষ সাজা বা ভালমানুষ সাজার চেষ্টা করাও ভাল না। কারন অতিতে অনেক মানুষ ভাল মানুষ এমনকি নিরপেক্ষ সাজতে গিয়ে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে এখন হাবুডুবু হাচ্ছেন। তাই সচেতন এবং জাতীর আগ্রামীর উন্নয়নের কথা, শান্তি ও স্থিতিশীলতা বিরাজমান রাখার কথা মাথায় রেখে কাজ করা উচিত। ধু¤্রজাল সৃষ্টিকরা কোন কৌশল বা ফাঁদ আটা অথবা পা দেয়া উচিত নয়। সময়ের পানে তাকিয়ে আছে বাংলার জনগন। সময়ই বলে দিবে কি হচ্ছে বা হবে অথবা হওয়ার কথা ছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published.