কসবায় ডাকাত সন্দেহে আটক ৫ ॥ থানায় অভিযোগ

ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামে জনৈক নুরুল ইসলামের বাড়িতে গত বৃহস্পতিবার রাতে ডাকাতি সংগঠিত হয়। ডাকাতরা নগদ প্রায় ৩ লাখ টাকা সহ ৫ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। ৭ জনকে আসামী করে থানায় অভিযোগ দায়ের নুরুল ইসলামের ছেলে রবিউল। স্থানীয় জনতা ডাকাত সন্দেহে ৫ জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। তাদের ৪ জনের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলায় ও একজনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায়।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার বিনাউটি ইউপির নোয়াপাড়া গ্রামের নুরুল ইসলামের বাড়িতে একদল ডাকাত প্রবেশ করে বাড়ির ছাদের উপর দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে ডাকাতি করছিলো। এমন সময় পাশের বিয়ে বাড়ি থেকে জনৈক নুরুল ইসলামের ছেলে বাড়িতে এসে দেখে বাড়ির ভিতর ২/৩ জন অপরিচিত লোক ঘরের সামনে দাড়িয়ে আছে। সে টর্চ মেরে দেখে তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র। তখন সে ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করে। তার চিতকারে বাড়ির অন্য ঘরের লোকজন সহ প্রতিবেশীরা সজাগ হয়ে উঠে। এরই মধ্যে ডাকাত দল দৌড়ে পালিয়ে যায়। শোরগোলে জড়ো হওয়া লোকজন টর্চ হাতে তাদের বাড়ির পাশে বিলের মধ্যে খুজতে থাকে। না পেয়ে বিপরীত দিকে আরেক বিলে যায় এবং গিয়ে দেখে প্রায় ১ কিলোমিটার অদুরে ৪/৫ জন লোক দাড়িয়ে আছে একটি কবরস্থানের পাশে। উপস্থিত জনতা তাদের ডাকাত সন্দেহে ধরে এনে বেধড়ক পেটায়। তাদের সাথে কোন ডাকাতির মালামাল পাওয়া যায়নি বলে জানায় জনৈক নুরুল ইসলাম। স্থানীয় কেউ থানায় খবর দিলে পুলিশ তাদের উদ্বার করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ জানায় যাদের ডাকাত সন্দেহে জনতা ধরে এনেছে তাদের ৪ জনের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া থানার গুজিরকান্দি গ্রামে ও বাকি ১ জনের বাড়ি কসবার বিনাউটি ইউপির নোয়াপাড়া গ্রামে। তারা এখানে বাপেক্সের গ্যাস ফিল্ডে যাওয়ার রাস্তায় ড্রেজার দিয়ে যে কাজ চলছে সেখানে তারা কাজ করে বলে খোজ নিয়ে জানতে পারে বলে জানায় পুলিশ।
দিয়েছে।
ডাকাত সন্দেহে ধৃতরা হচ্ছে ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া থানার গুজিরকান্দি গ্রামের এখলাছ উদ্দিনের পুত্র ইয়াকুব মিয়া (২০), শরবত আলীর পুত্র এখলাছ মিয়া (৩৬),মৃত আবদুল কাদির মিয়ার পুত্র আবুল হাসেম (৪৫), আবুদুল কুদ্দুস মিয়ার পুত্র আইবুল ইসলাম (২৫) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার নোয়াপাড়া গ্রামের ইয়াকুব মিয়ার পুত্র রবিউল (১৮)।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, ডাকাত সন্দেহে ধৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রহন করেছি। খতিয়ে দেখা হচ্ছে তারা প্রকৃত দোষি কিনা। দোষি প্রমানিত হলে আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.