ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ বিবাহ অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে মাইক্রোবাসে উঠাকে কেন্দ্র করে কসবা পৌর সদরের ইমাম পাড়া ও তেতৈয়া গ্রামের লোকজনের মাঝে কথা কাটাকাটি সূত্র ধরে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে ৯ জন আহত হয়। এ ঘটনায় পৌর কাউন্সিলর রঙ্গু মিয়াকে প্রধান আসামী করে ৩০ জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে। পুলিশ তেতৈয়া গ্রামের পৌর কাউন্সিলর রঙ্গু মিয়ার ছেলে রুবেল (৩০) কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
কসবা থানায় দায়েরকৃত মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত ২০ অক্টোবর দুপুরে উপজেলার শিমরাইল গ্রামের একটি বিয়ে অনুষ্ঠানে ইমাম পাড়া ও তেতৈয়া গ্রামের লোকজন অংশগ্রহন করেন। মাইক্রোবাসে উঠাকে নিয়ে এ সংঘর্ষে ইমাম পাড়ার ৯ জন আহত হয়। আহতদের কসবা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়ার সময় তেতৈয়ার পৌর কাউন্সিলর রঙ্গু মিয়ার নেতৃত্বে তেতৈয়া গ্রামের ২০/২৫ জনের একটি দল হাসপাতালে ত্রাস সৃষ্টি ভীতিকর অবস্থা তৈরি করে ভাংচুর চালায় এবং আহতদের উপর হামলা চালিয়ে আবারো গুরুতর রক্তাত্ব জখম করে। ওই সময় এরা হাসপাতালের অক্সিজেন সিলিন্ডার, স্যালাইন ষ্ট্যান্ড সহ দরজা জানালা ভাংচুর করে। চিকিৎসক তাৎক্ষনিক জখমীদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে পাঠায়। এ ঘটনার দুই দিন পর ইমাম পাড়া গ্রামের হাজী আবদুল মালেকের পুত্র আনিছুর রহমান বাদী হয়ে ৩০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। অপরদিকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ক্ষতিসাধন করার ঘটনায় হাসপাতাল সহ:সেবক মো.মিজানুর রহমান শেখ বাদী হয়ে থানায় আরো একটি মামলা দায়ের করেন।
কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মহিউদ্দিন জানান, একজনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। দায়েরকৃত মামলার অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আর কোন সংঘর্ষ যাতে না হয় সেদিকে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রয়েছে।