রবিউল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধি॥ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের কল সেন্টার ও মোবাইল আ্যাপ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, চট্টগ্রাম নগরীকে একটি ডিজিটাল ইকোনমিক্যাল হাব হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে সরকার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশকে ডিজিলাইজেশনের আওতায় আনতে ধারাবাহিক ভাবে আইসিটি পলিসি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত দেশে ২ শত ধরনের অনলাইন সেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। ২০১৮ সালের মধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে জেলায়- উপজেলায় ফাইবার অপটিক ক্যাবল সংযোজন দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে দেশে ৮ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী রয়েছে। এ সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে দেশে কোন অফিসিয়ালি ফিজিক্যাল করেসপন্ডিং থাকবে না। সব অনলাইনে হবে। দেশের সকল দাপ্তরিক কার্যক্রম চলবে পেপারলেস এবং ক্যাশলেস। এ কার্যক্রম বাস্তবায়িত হলে দেশে কালো টাকার দৌরাত্ম্য, ঘূষ, দুর্নীতি, অনিয়ম বন্ধ হয়ে যাবে।
পলক বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সকল সেবামূলক সার্ভিস অটোমেটিভ করা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ১৭ টি স্কুল ও কলেজে শেখ রাসেল কম্পিউটার ল্যাব চালু হয়েছে। আমার বড় ভাই মাননীয় মেয়র মহোদয়ের সাথে এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। তিনি যেভাবে চাইবেন আইসিটি মন্ত্রণালয় সেভাবে সকল সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত। চট্টগ্রামকে একটি সিলিকন ভ্যালি হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার গৃহিত প্রকল্প একে একে বাস্তবায়ন করা হবে।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে সিটি মেয়র বলেন, ইতোমধ্যে নাগরিক সেবা নিশ্চিতকরণে প্রাথমিক ভাবে অটোমেশন বাস্তবায়ন করা হয়েছে। নগরবাসীর দোরগোড়ায় ডিজিটালাইজেশন সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে আমরা সমন্বিত ভাবে কাজ করে যাচ্ছি। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সব বিভাগে অটোমেশন পদ্ধতি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা রয়েছে। সর্বপ্রথম আমি রাজস্ব বিভাগকে অটোমেশনের আওতায় আনার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ হাতে নিয়েছি।
সিটি মেয়র বলেন, চট্টগ্রামকে ডিজিটাল অর্থনৈতিক হাব হিসেবে গড়ে তুলতে মাননীয় প্রতিমন্ত্রীর সহযোগিতায় কাজ করছি। কল সেন্টার ও মোবাইল আ্যাপ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ড.মুস্তাফিজুর রহমান, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল মহিউদ্দি আহমেদ, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলাজজ) জাহানারা ফেরদৌস, মেয়রের একান্ত সচিব মঞ্জুরুল ইসলাম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী সহ চসিক কাউন্সিলর, কর্মকর্তা এবং আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।