রাজুল ইসলাম॥ গ্রেফতারি পরোয়ানা একটি রুটিন কাজের আওতায় এসেছে মাত্র। দেশে গ্রেফতারি পরোয়ানা এমনকি জিডি হলেই পুলিশ এরেষ্ট করে থানায় নিয়ে আসে। আবার কখনো দেখেছি মামলা, জিডি এমনকি গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই কাউকে আসামী বানিয়ে থানায় আনা হয়। এই সবই এখন সম্ভব হচ্ছে অজ্ঞতার কারণে। আর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরও কাউকে কাউকে গ্রেফতারের আওতায় আনা হয়নি বরং তৈরী হয় নানা মুখরোচক আলোচনার টক, ঝাল, মিষ্টি। এরকই আরো একটি গ্রেফতারি পরোয়ানার কথা এখন জানাতে চাই। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলায় এ আদেশ জারি করা হয়। গত সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা এই পরোয়ানা জারি করেন।
পরোয়ানা জারি হওয়া অপর দুই আসামি হলেন- বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টিভির সাংবাদিক কনক সারোয়ার ও মাহতির ফারুকী খান। এছাড়া মামলার আরেক আসামি একুশে টেলিভিশনের (ইটিভি) সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সালাম জামিনে আছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত একটা ২৮ মিনিটে যুক্তরাজ্যে বিএনপি আয়োজিত ‘৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ ব্যানারে এক প্রতিবাদ সভায় বিভিন্ন বিচারাধীন মামলার পলাতক আসামি তারেক রহমান প্রায় ৫০ মিনিট বক্তব্য দেন। তার দেয়া কিছু বক্তব্য একুশে টিভিতে সরাসরি প্রচার করা হয়। বক্তব্যে রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের উস্কানি দেয়ার অভিযোগ আনা হয়।
এ ঘটনায় ৬ জানুয়ারি তারেক রহমান ও আবদুস সালামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন তেজগাঁও থানা পুলিশ। ৮ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুমতি দিলে তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন তেজগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক বোরহান উদ্দিন। ওই মামলায় ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি মধ্যরাতে ইটিভি কার্যালয়ের নিচ থেকে সালামকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। ২০১৬ সালের ১১ জানুয়ারি আব্দুস সালামের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর ঢাকা সিএমএম আদালত। রিমান্ড শেষে ওই বছরের ১৯ জানুয়ারি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।
২০১৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক এমদাদুল হক। বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।