তাজুল ইসলাম নয়ন॥ মন্ত্রী হলেও বিদেশে ভ্রমণের আগে বা ছুটিতে গেলে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়ে যেতে হয়। সেই কারণেই হয়তো লন্ডন যাওয়ার আগে প্রধাণমন্ত্রীকে জানাতে গিয়ে ছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী কে বলেছিলেন, “আমার স্ত্রী খুব অসুস্থ, তাকে নিয়ে লন্ডন যাচ্ছি”। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বললেন, “তোমার স্ত্রীর চিকিৎসা খরচ সরকার বহন করবে। মন্ত্রী হিসেবে সরকার থেকে এই সুবিধা তোমার প্রাপ্য।”
স্বল্পভাষী চরিত্রের মন্ত্রী মহোদয় এর উত্তর ছিল, “উত্তরাধিকার সুত্রে পাওয়া আমার অংশটুকু বিক্রি করে দিয়েছে, সেটা দিয়েই হয়ে যাবে।” প্রধানমন্ত্রী ঐ মন্ত্রী মহোদয় সম্পর্কে জ্ঞাত হওয়ার কারণে আর কথা বাড়ালেন না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাকে ভালো করে জানেন এবং তাদের সম্পর্কও ভাই এবং বোনের মত।
স্বল্পভাষী এই রকম মন্ত্রী রূপকথার মতো-ই এখন। ২৩-১০-২০১৬ সাধারণ সম্পাদক থেকে সাবেক হলেন, ২৩-১০-২০১৭ সহধর্মীনি কে হারালেন, তারিখটা কষ্টেরই হয়ে থাকলো সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের জন্য। তার মতো আদর্শবান নেতার সংখ্যা বাড়লে দেশ ও দলের চেহারা অনেক উজ্জ্বল হতো। সৈয়দ আশরাফের কর্মের জৌলুস কর্মী ও সমর্থদের জীবনে কাজে লাগুক এটাই কাম্য। তিনি যে উদাহরণ তৈরী করে গেলেন সেই উদাহরণই হউক আমাদের আগামীর রাজনীতির হাতিয়ার। বঙ্গবন্ধু প্রেমিক আশরাফরা যুগে যুগে ফিরে আসুক এবং বঙ্গবন্ধুকে কর্মের মধ্যদিয়ে বাঁচিয়ে রাখুক জনতার হৃদয়ে।
বর্তমান সময়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বাস্তবরূপদানকারী আদর্শীক নেতার অভাব সবত্র কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এবং আশরাফরা যে অভাব গুছিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে আগামী আদর্শীক নেতা তৈরীর কারিগর হিসেবে। সেই দলে স্বরিক বা যোগ দেয়ার জন্য সকলের প্রতি রইলো জোরালো আহবান।