আন্তর্জাতিক ডেক্স॥ তারেক জিয়া সম্পর্কে যুক্তরাজ্যকে সতর্ক করল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই। যুক্তরাজ্যের কাছে পাঠানো এক গোপন বার্তায় তারেক জিয়াকে উগ্রবাদী জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষক এবং মদদদাতা হিসেবে চিহ্নিত করে তাঁকে সর্বোচ্চ নজরদারিতে রাখার পরামর্শ দিয়েছে। এফবিআই বলেছে, ‘এই ব্যক্তিটি যুক্তরাজ্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।’ বিভিন্ন দেশের সন্দেহভাজন, উদ্বেগজনক এবং ভয়ংকর ব্যক্তিদের সম্পর্কে এফবিআই আগাম সতর্কবার্তা দিয়ে থাকে। এর আগে দাউদ ইব্রাহিম, পারভেজ মোশাররফ সহ অনেক বিষয়েই এফবিআই সতর্কবার্তা দিয়েছিল। বাংলাদেশ সরকারকেও ২০০৩ সালে শায়খ আবদুর রহমান, বাংলা ভাই সম্পর্কে এফবিআই সতর্কবার্তা দিয়েছিল।
এফবিআই তার সতর্কবার্তায় তারেক জিয়াকে ‘পলিটিক্যাল টেররিস্ট’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছে ‘রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য এই ব্যক্তি বল প্রয়োগেই বিশ্বাস করে।’ এফবিআই পূর্বাভাস দিয়েছে, ‘তারেক জিয়া আগামী ৬ মাসের মধ্যে বাংলাদেশে বড় ধরনের সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটানোর জন্য পরিকল্পনা করেছে।’ এই পরিকল্পনার কিছু নমুনা এফবিআই যুক্তরাজ্যকে দিয়েছে। এফবিআই তার গোপন বার্তায় বলেছে, ‘বিএনপির নেতৃবৃন্দকেও রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে তাঁকে বাদ দেওয়ার জন্য বারংবার অনুরোধ করার পরও তারা অনুরোধ শোনেনি। ২০০৭ সালে আর রাজনীতি করবেন না- এই মুচলেকা দিয়েই তিনি দেশত্যাগের অনুমতি পান। কিন্তু কার্যত তিনিই এখন বিএনপির মূল নেতা। বিএনপি তাঁকে বাদ দিয়ে কোনো রাজনৈতিক পরিকল্পনার কথা চিন্তাও করতে পারে না। সমস্যা হলো, তাঁর চিন্তাগুলো রাজনীতি মনস্ক নয় বরং সন্ত্রাস মনস্ক।’
এফবিআই রিপোর্টে বলেছে, ‘একটি দেশের প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার চিন্তা কখনো সুস্থ রাজনৈতিক চিন্তা হতে পারে না। অথচ সাম্প্রতিক সময়ে তারেক জিয়া এরকম একটি ঘৃণ্য পরিকল্পনায় তার সব রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক শক্তি ব্যয় করছে।’
এফবিআই মনে করছে, ‘লন্ডন থেকে তারেক জিয়া এমন কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ করছে এবং মদদ দিচ্ছে যারা সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক। অবিলম্বে এই তৎপরতা বন্ধ না হলে সন্ত্রাসবাদই লাভবান হবে।’
এফবিআই জানিয়েছে, ‘বাংলাদেশে বড় ধরনের কিছু সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটানোর জন্য ভয়ংকর পরিকল্পনা নিয়ে তারেক এগুচ্ছে। যে সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে এ অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের ঝুঁকি বাড়বে। এজন্য এখনই এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের মনোযোগী হওয়া উচিত।’
উল্লেখ্য, ২০১০ সাল থেকে তারেক জিয়া এফবিআই এর বিপজ্জনক ব্যক্তিদের তালিকায় অন্তভুক্ত। লাল তালিকাভুক্ত এ ধরনের ব্যক্তিরা বিশ্বের যে প্রান্তেই থাকুক না কেন এফবিআই এর নজরদারিতে থাকে।