রাজনীতি এখন এক নতুন সভ্যতার সু-উচ্চ চুড়ায় অবস্থান করছে। সেই রাজনীতিকে টেনে হিছরে নামানোর সকল প্রক্রিয়াই সম্পন্ন করে যাচ্ছেন আমাদের রাজনীতিবিদ এবং রাজনীতিতে বিশারদগণ। একের পর এক আঘাত এবং চোরাগোপ্তা আক্রমনে জর্জরিত রাজনীতি নিজেকে সুরক্ষা করার লক্ষ্যে নিজে থেকে প্রচেস্টা চালিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এবং এর সাথে যুক্ত হয়েছে শেখ হাসিনার প্রয়াস ও ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের রূপরেখা। সব মিলিয়ে আমরা অবস্থান করছি যুগের সর্বত্তোম অবস্থানের শিখরে। আমাদের এই অবস্থান একদিনে যেমন হয়নি ঠিক তেমনি এর ধ্বংসও একদিনে হবে না। তাইতো মন্দের চক্ষুশুল হয়ে ক্ষমতালিপ্সু মন্দ আত্মায় ভরপুর মানুষগুলো প্রকাশ্যে ও অপ্রকাশ্যের সকল ধরণের ষড়যন্ত্র আর কাজে লাগছে না।
আমাদের আরো সচেতন হতে হবে যেন, আমরা আমাদের দায়িত্বটুকু পালন করতে পারি। সভ্যতার শিখরে বসা অবস্থা থেকে যেন আর বিচ্যুত না হই। তাইতো বর্তমানের সকল নৈরাজ্য ও মিথ্যার দোলনচলে আটা ফন্দি থেকে বের হতে কি–ই—বা লাগে আমাদের। রাজনাীতি এবং এর মধু হল ক্ষমতা। আর এই ক্ষমতায় বসার লক্ষ্যে কে কিই না করে বেড়াচ্ছেন। যা হয়ত আমরা আঁচ করতে পারি কিন্তু সরাসরি দেখার সুযোগ হয়ে উঠে না। নালিশ, খুন হারাবি, মিথ্যা এবং ঘৃন্য ষঢ়যন্ত্র এর সকল স্তরেই আমাদের নেতা-নেত্রীদের বিচরণ। ডিজিটাল যুগের কল্যাণে আমরা ঐ পর্দার আড়ালের কাজগুলোও দেখতে এবং বুঝতে পারি। বিদেশী প্রভুনির্ভর রাজনীতির অবসার হওয়ার লগ্নেও দেখা যায় আমাদের নেতা-নেত্রীদের দৌঁড় ঝাপ। তবে হিসেবেরও একটি চাহিদা আছে, আর ঐ চাহিদা সম্পূর্ণ যুগের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। তাই হিসেব কষতে গিয়ে ভুল করলে এর পরিণতি হয় আরো কঠিন। আমরা দেখেছি বার বার এবং এই দেখা থেকেই শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।
মানুষের বিবেক কিনে নেয়া একটি নতুন কৌশল আর এই কৌশলের ফলপ্রসুতাও দৃশ্যমান। কিন্তু কেনা বিবেকের দাসত্বের গোলামী থেকে কখনওকি আমরা মুক্ত হতে পারি না। হ্যা পারি আর পারার ও করে দেখানোর সময় এখনই। আমরা দেখেছি বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে উন্নতির সোপানে আর এই অগ্রগামীতাকে রুদ্ধ করে দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশী এবং বিদেশী শক্তির আধার। কিন্তু তাওতো বিফলে যেতে বসেছে। এটা উপলব্দি করার কেউ কি নেই। যদি থাকেন তাহলে কেন বেহায়ার মত বার বার এই একই ভুল করে যাচ্ছেন। রাজনীতির উন্নয়নের হাতে হড়ি পড়িয়েছিল বঙ্গবন্ধু আর সেই হাতে হড়ি নিয়ে তাঁর সুযোগ্য কন্যা এবং যোগ্য দৌহিত্যদ্বয় চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দেশকে অনন্য এক মর্যাদার আসীনে পৌঁছে দিতে। যার সুফল এদেশের মানুষ ভোগ করতে শুরু করেছে। রাজনীতিকে স্তব্ধ করার আরেকটি হাতিয়ার হলো শিক্ষাক্ষেত্রে বিমুখতা এবং এর আড়ালে মুরুক্ষতা প্রবেশ করানো। আর এই অনগ্রসরতার প্রমান মিলে যাচ্ছে যখন আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্র ফাঁস এমনকি অবৈধ পন্থায় ভর্তির ব্যবস্থা করা দেখে। এই অবস্থার উপর্যুপুরী ছোবল থেকে হাতরিয়েও পার পাওয়া যাচ্ছে না। নব কৌশলে এবং পুরোনো ছকে অশিক্ষা ও কুশিক্ষার জাল বুণে যাচ্ছে যা এখনই সমুলে বিনাশ করতে হবে। নতুবা এই জাতি বিশ্ব প্রতিযোগীতায় পিছিয়ে পড়ে সভ্যতার সুউচ্চ চুড়া থেকে ছিটকে পড়বে বৈকি।
রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের প্রক্রিয়াটিও একটি বিরল আবিস্কার। সবাই গাঁ বাচিয়ে চলার চেষ্টার মধ্যেও যেন সভ্যতা নিরবে কাজ করে যাচ্ছে। আর এই নিরবে কাজা করে যাওয়ার বিরল আবিস্কার এখন বিশ্ব দরবারে শান্তি এবং স্থিতিশীলতার এক নব দিগন্ত হিসেবে উন্মোচিত হচ্ছে। আমাদের দেশের সরকার প্রধান যা করেছেন তা সত্যিই প্রশংসা ও সম্মান পাবার যোগ্যে পরিণত হয়েছে। যদিও তিনি দাবি করেননি কিন্তু এই দাবি এবং উপলব্দি আমাদের। পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে নীতি আগে ছিলো সেই নীতির বাইরেও যে এক লোকানো হিরক খন্ড রয়েছে তা এই সময়ে এসে দেখলাম মাত্র। এই নীতির ফলে উন্মোচিত হলো সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব রক্ষার এক নব কৌশল। আগে বুঝতাম সে আমার বন্ধু আর সে শত্রু। আসলে এখন দেখি সবাই আমার বন্ধু; কেউ আমার শত্রু না। তবে বন্ধুত্বের একটু হের-ফের বা তারতম্যতো রয়েছেই। কারো সঙ্গে একটি বেশী মাখামাখি আবার কারো সঙ্গে একটু কম। এটাতো হবেই এবং এটাই হলো প্রকৃতির কাছ থেকে পাওয়া প্রাকৃতিক দান। তবে কেউ কেউ এই নব্য বন্ধন দেখে আবার বিরাগভাজনও হয়েছেন। তবে সেটা সাময়িক এবং অচিরেই অগ্রসরমান এই পৃথিবী বন্ধুত্বের নর্ব জোয়ারে গা ভাসিয়ে দিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হবে।
নির্বাচন নিয়ে নানা ধরনের কথার চালাচালি চলছেই, মনোনয়ন থেকে শুরু করে সবই এখন চায়ের টেবিলে ভাসমান। কিন্তু আসল রহস্য ও কাজ কিন্তু এখনও বাকি। তাই আলাপ- অলোচনা এবং লেখা-লেখিতে সচেতন হয়ে সামনের দিকে এগিয়ে গেলেই আমাদের আম জনতার জন্য মঙ্গল হবে। সততা একটি মহৎ গুণ আর এই গুনটিকে বিকাশমান রাখাই আমাদের সকলের কর্তব্য; কিন্ত কি সেই কর্তব্যে আমরা সফল। যদি হ্যা হয় তাহলে ভাল এবং যদি না হয় তাহলে কোথায় আমাদের দুর্বলতা বা সমস্যা তা খুঁজে বেড় করার সময় এখনই। আসুন আমরা ঐ দুর্বলতাগুলোকে সবলতায় পরিণত করি। আমাদের মন থেকে নেতিবাচক নোংরা (রাজনীতি) পলিটিক্স এবং এর খেলা চিরতরে বিনাশ করি। তাহলেই আমরা সন্দেহের উদ্ধে উঠে ইতিবাচক সকল কাজে নিজেদেরকে অংশগ্রহণ করাতে পারি।
আমাদের দেশে কিছু কিছু বাহিনীর জন্য যে সকল আইন রয়েছে সেই আইনগুলোকে আমরা ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনয়নে কাজ করি। সকল কিছুই আমরা করি এবং করে যাব শুধু এই দেশের জনগণের কল্যানের জন্য। কিন্তু জনগণের সঙ্গে সাংঘর্ষিক ও প্রতিবন্ধক আইনসকল সংশোধন করে জনকল্যাণ ও জনবান্ধব করার নিমিত্তে এগিয়ে যাই। জনগণ যদি তার প্রয়োজনে এই দেশের কোন অংশে প্রবেশ করতে না পারে তাহলে দেশ স্বাধীন করার কি প্রয়োজন ছিল? আর স্বাধীনতাতো এই দেশের জনগণের জন্যই করা হয়েছে বলে প্রতিয়মান হয়। আরো প্রতিয়মান হয় জনগণই ঐ স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিল; কোন বিশেষ বাহিনী নয়। তাহলে কেন এই বাধা। তবে সকলেরই মনে রাখা উচিত জনরোষ তৈরীতে সহযোগীতা না করে বরং জনসন্তোষ অর্জনে এগিয়ে আসা উচিত।
রাস্তাঘাটের দুর্দশা আর কতকাল থাকবে তা আমি যেমন বলতে পারিনা ঠিক তেমনি আমাদের দেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকজনও জানেন না। তাই আমাদের এই অজানা অশংকা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে আগামীর সমাধান লগ্নে। দেশের ভ্যাট ও ট্যাক্স নিয়ে আমরা কাজ করি এবং সরকারকে সহযোগীতা করি। কিন্তু সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত লোকজন নিজেদের স্বার্থের জন্য জনঅসন্তোষ তৈরী এমনকি ভ্যাট ও ট্যাক্স বিমুখতার সংখ্যা বাড়াতেই যেন নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। আমার কাছে এমন অসংখ্য অসাধু কর্মকর্তার প্রমানসহ ঘটনার বিবরণ রয়েছে। চেষ্টা করছি সরকারের ইচ্ছার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে। যদি না হয় তাহলে হয়ত সরকারের মাধ্যমেই এই নৈরাজ্যের অবসান ঘটানো হবে।
আগামী দিনের রাজনীতি হউক আরো মধুর এবং সম্মানের উচ্চ শিখরে পৌঁছার এক দিগন্ত। দেশ গর্বীত হউক রাজনীতিবিদদের নিয়ে এবং উপকৃত হউক সমাজ ও সংসার যার সমন্বয়ে এই প্রীয় মার্তৃভুমির। আমরা সর্বদাই আমাদের সহযোগীতা অব্যাহত রাখব রাজনৈতিক বিকাশ ও উন্নতির নিমিত্তে।