নয়ন॥ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হলেন বিশ্বের সবচেয়ে উদ্ভাবনী চিন্তাসম্পন্ন সরকারপ্রধান। ‘গ্লোবাল ইনোভেশন এক্সচেঞ্জ’ (জিআইই) শেখ হাসিনাকে ‘মোস্ট ইনোভেটিভ পলিটিশিয়ান’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। বিশ্বে উদ্ভাবনী কাজের ওপর এই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানটি গবেষণা করে। বিশ্বের কোথায় কী উদ্ভাবনী আইডিয়া চলছে সে সম্পর্কে বুলেটিন প্রকাশ করে। সম্প্রতি এক গবেষণায় সংস্থাটি বলেছে, ‘বিশ্বের রাষ্ট্র এবং সরকারপ্রধানদের মধ্যে উদ্ভাবনী ক্ষমতা লোপ পাচ্ছে। তারা গৎবাঁধা কাজ করেই রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া এমন কোনো সরকারপ্রধান দেখা যায় না, যাদের উদ্ভাবনী চিন্তা রাষ্ট্র পরিচালনায় রেখাপাত করেছে।’
জিআইই জানিয়েছে, শেখ হাসিনার তিনটি উদ্যোগ অত্যন্ত ইনোভেটিভ এবং যা অন্যদেশগুলো তাদের দেশে চালু করতে চাইছে। সংস্থাটির মতে,
১। শেখ হাসিনার সবচেয়ে ইনোভেটিভ চিন্তার ফসল হলো ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’। কমিউনিটি ক্লিনিক বিশ্ব স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় এক অনবদ্য আবিষ্কার। এর বাস্তবায়ন সফলভাবে করা হলে আফ্রিকায় এবং এশিয়ায় সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা সহজতর হবে। গ্লোবাল ইনোভেশন এক্সচেঞ্জের মতে, কমিউনিটি ক্লিনিকে জন অংশগ্রহণের ধারণাটি অনন্য এবং অসাধারণ। জনগণের অধিকার নিশ্চিত করার মাধ্যমে কার্যত স্বাস্থ্যসেবায় জনগণের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে।
২। শেখ হাসিনার দ্বিতীয় উদ্ভাবনী চিন্তার বাস্তবায়ন বলা হচ্ছে ‘একটি বাড়ি একটি খামার’, যার মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের এক চমকপ্রদ পথ আবিষ্কার করা হয়েছে। এটাও জন অংশগ্রহণমূলক একটি কার্যক্রম। এর মাধ্যমে জনগণ নিজেরা স্বাবলম্বী হচ্ছে।
৩। শেখ হাসিনার তৃতীয় উদ্ভাবনী চিন্তার নাম ডিজিটাল বাংলাদেশে। হতদরিদ্র, অর্ধশিক্ষিত মানুষের হাতে তথ্যপ্রযুক্তি পৌঁছে দিয়ে কার্যত শেখ হাসিনা বাংলাদেশে এক নীরব বিপ্লব ঘটিয়েছেন। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অর্থ আদান প্রদানে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের অন্যতম। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বদলে গেছে বাংলাদেশের চিত্র। জিআইই মনে করে, বাংলাদেশ সবচেয়ে দেরিতে ইন্টারনেট যুগে প্রবেশ করে সবচেয়ে এগিয়ে যাওয়া একটি দেশ।
উদ্ভাবনী চিন্তা ছাড়া যে একটি জাতি এগিয়ে যেতে পারে না, গ্রিসসহ ইউরোপের দেশগুলো তাঁর বড় উদাহরণ বলে গ্লোবাল ইনোভেশন এক্সচেঞ্চ মনে করে। আর ইনোভেশন একটি দেশকে কোথায় নিয়ে যায়, বাংলাদেশ তার বড় উদাহরণ বলে মনে করে জিআইই।