তাজুল ইসলাম নয়ন॥ সরকারের ই-গভর্নেন্স নীতিমালা উন্নয়ন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে দেশিয় কোম্পানিগুলোর সম্পর্ক উন্নয়ন ও প্রয়োজনীয় পলিসি তৈরি, সংশোধনে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বেসিসের দিনব্যাপী আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার (২৮ অক্টোবর ২০১৭) রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হোটেলে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
ই-গভর্নেন্স কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট বেসিসের ২০টি সদস্য কোম্পানির প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন। বেসিসের সাবেক সভাপতি জনাব হাবিবুল্লাহ এন করিমের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন বেসিসের ডিজিটাল গভর্নেন্স বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান জনাব ফোরকান বিন কাশেম।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেসিসের সাবেক সভাপতি জনাব রফিকুল ইসলাম রাউলি, জনাব ফাহিম মাশরুর, জনাব শামীম আহসান, বর্তমান কার্যনির্বাহী পরিষদের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি জনাব রাসেল টি আহমেদ, সহ-সভাপতি ও ডিজিটাল গভর্নেন্স সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিচালক জনাব এম রাশিদুল হাসান, পরিচালক জনাব উত্তম কুমার পাল, জনাব মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, জনাব সৈয়দ আলমাস কবীর, বেসিসের সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি জনাব সৈয়দ মামনুন কাদের, সাবেক মহাসচিব জনাব শোয়েব আহমেদ মাসুদ, জনাব নাহিদ আহমেদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আলোচকরা বেশ কয়েকটি সুপারিশ পেশ করেন। ই-গভর্নেন্স বাজার উন্নয়নে বেসিস এখন পর্যন্ত কি কাজ করেছে এবং আগামীতে কি ধরণের কাজ করা যায় সেটি পর্যালোচনা করা হয়। একইসাথে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ, এটুআইসহ সরকারি অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন ও যৌথভাবে আরও কাজ করার কার্যকরী উদ্যোগের আহ্বান জানানো হয়। সরকারের পাবলিক প্রোকিউরমেন্ট পলিসিতে বেসিসের সংশোধনী প্রস্তাবগুলো দ্রুত বাস্তবায়নে অবিলম্বে উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ করেন আলোচকরা। একইসাথে এ সম্পর্কিত কার্যাবলী সম্পাদন ও তদারকির জন্য ই-গভর্নেন্সের সাথে জড়িত কোম্পানির অন্তত ১০ জনকে নিয়ে ই-গভর্নেন্স ফোরাম তৈরি করার জন্য বেসিসকে অনুরোধ জানান অংশগ্রহণকারীরা।
এছাড়া আলোচনা অনুষ্ঠানে বেসিসের যেসব প্রতিষ্ঠান ই-গভর্নেন্স ক্ষেত্রে সফল হয়েছে তাদের নিয়ে একটি ‘সাকসেস ক্যাটালগ’ তৈরির উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। যার মাধ্যমে সরকারকে বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আস্থা তৈরিতে সহায়ক হবে।