বাংলাদেশের ৬৪ টি জেলার মধ্যে ব্রাক্ষণবাড়িয়া একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জেলা। রেলওয়ে জংশন, গ্যাস ফিল্ড, সার কারখানা, স্থল বন্দর ও অন্যান্য অনেক কিছু থেকে সরকারের রাজস্ব খাতে যোগ হচ্ছে তুলনামূলক অনেক বেশি।
এই জেলার উপর দিয়ে সিলেট-কুমিল্লা -চট্রগ্রাম হাই ওয়ে রাস্তা অতিক্রম করার কারনে, এটি দেশের পূর্ব মধ্যাঞ্চলের মানুষের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা। এই রাস্তার বিশ্বরোড থেকে কাউতলী হয়ে কুটি চৌমুহনী পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার রাস্তা পার হতে সময় লাগে প্রায় ৩ ঘন্টা। কাউতলী থেকে রামরাইল পর্যন্ত উন্নয়ন কাজ চললেও, রাস্তার বাকি অংশে নেই কোন উন্নয়ন কিংবা মেরামতের ছোয়া। অথচ এই রাস্তাটির ধরখার থেকে তন্তর পর্যন্ত মাত্র চার কিলোমিটার রাস্তা বাদে বাকি সমস্ত অংশে ছোট বড় গর্ত আর খানা-খন্দে পরিপূর্ণ। রাস্তার বেশ কয়েকটি ব্রীজ ঝুঁকিপূর্ন। যেন মানুষের মরন ফাঁদে পরিনত হয়েছে।
প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ী ঝুঁকি নিয়েই পারাপার হচ্ছে এই রাস্তা দিয়ে। স্কুলগামী শিক্ষার্থী, চাকুরীজীবী, অসুস্থ্য রোগী, ব্যবসায়ী সাধারন মানুষ সহ প্রতিদিন হাজারো মানুষের জনদুর্ভোগের কারন হয়ে দাড়িয়েছে এই দির্ঘ রাস্তাটি। বিশেষভাবে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে অসুস্থ্য রোগীদের।
এই রাস্তাটি দিয়ে সিলেট থেকে পাথর বোঝাই ভারী ট্রাক ও ভারতের পণ্যবাহী ভারী যানবাহনও চলাচল করে। তাই যখনই রাস্তাটির উন্নয়নের নামে মেরামতের কাজ হয়, তা আবারো দ্রুত নষ্ট হয়ে পূর্বের বেহাল অবস্থায় ফিরে যায়।
এলাকার সাধারন মানুষ সহ যাত্রী সাধারন,তাই শুধুমাত্র রাস্তার জোড়াতালির মেরামত নয়, রাস্তাটির পূর্ণাঙ্গ উন্নয়ন কাজ দাবী করেন।
এ বিষয়ে ব্রাক্ষণবাড়িয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ, প্রশাসন, ব্রাক্ষণবাড়িয়া সদর-০৩ আসনের মাননীয় সাংসদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য, ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি জনাব, র আ ম ওবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী ও ব্রাক্ষণবাড়িয়া -০৪ (কসবা-আখাউড়ার) মাননীয় সাংসদ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব, এডঃ আনিসুল হক সাহেবের সদয় দৃষ্টি প্রার্থনা করছি।