নয়ন॥ আজ শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ই মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় এই নাগরিক সমাবেশের আয়োজন করেছে নাগরিক কমিটি। সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা দিক নির্দেশনামুলক বক্তব্য রাখবেন বলে জানিয়েছেন দলের নেতারা।
দীর্ঘ ২ মাস পর উন্মুক্ত কোন সমাবেশে প্রকাশ্যে আসবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৭ই মার্চের ভাষণের গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরার পাশাপাশি আগামী নির্বাচন এবং সম-সাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলবেন তিনি।
১৯৭১ এর ৭ই মার্চ তখনকার রেসকোর্স ময়দানে দেওয়া ভাষণে স্বাধীনতার ডাক দেন বঙ্গবন্ধু। এই ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে পুরো জাতি। স্বাধীনতা সংগ্রামের পুরোটা সময় বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ প্রেরণা যুগিয়েছে, উদ্দীপ্ত করেছে স্বাধীনতাকামী মুক্তিযোদ্ধাদের।
এদিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ঘুরে দেখা গেছে, নাগরিক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এ কারণে পুলিশের উপস্থিতিতে কড়া নজরদারির মধ্যে দিয়ে গত কয়েকদিন যাবত বিশেষ ব্যবস্থায় সভামঞ্চ তৈরি হচ্ছে। পুলিশ প্রহরায় মঞ্চ ও প্যান্ডেল তৈরির কাজ চলছে। নিরাপত্তার স্বার্থে মঞ্চের সামনে অনেকটা জায়গা ফাঁকা রেখে নেতাকর্মীদের বসার জন্য প্যান্ডেল তৈরি হচ্ছে। বাঁশ দিয়ে একাধিক প্রবেশ গেট তৈরি করা হচ্ছে।
নাগরিক সমাবেশ নামের এ অনুষ্ঠানের আয়োজক সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট হলেও প্রকারান্তরে এটি ক্ষমতাসীন দলের শোডাউনে পরিণত হবে। যদিও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এটি বিএনপির সমাবেশের পাল্টাপাল্টি কোনো সমাবেশ নয়।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শনিবারের সমাবেশে ভেতরে বাইরে লাখো মানুষের সমাগম ঘটাতে শীর্ষ নেতারা তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। যে প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মী সকলকে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাঘা বাঘা রাজনৈতিক নেতাদের ভাষণ থাকলেও বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর ‘বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
সুতরাং জাতির পিতার এ স্বীকৃতিতে পূর্ণাঙ্গ মর্যাদা দিতে হলে ওইদিন স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী প্রতিটি নাগরিককে বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপস্থিত থাকতে হবে।