টিআইএন॥ বাংলাদেশের অর্থনীতির গতি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তা আসলেই প্রশংসার দবিদার। আমরা দেখি শত প্রতিকুলতার মাঝেও দেশের অর্থনীতি এবং জিডিপি এগিয়ে যাচ্ছে পুর্বের বছরের ছেয়ে এগিয়ে থেকে।
গত অর্থবছরের চূড়ান্ত হিসাবে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় প্রাক্কলিত হিসাবের চেয়ে বেড়েছে বলে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন। ১৬০২ ডলার মাথাপিছু আয়, ৭.২৪% প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন।
২০১৬-১৭ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ; মাথাপিছু আয় একহাজার ৬০২ ডলার থেকে বেড়ে একহাজার ৬১০ ডলার হয়েছে।
গত মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জাতীয় অর্থনৈতিক কমিটির নির্বাহী পরিষদের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী। “চূড়ান্ত হিসাবে গত অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৯৮৬ কোটি ডলার বা প্রায় ২০ লাখ ৮৭ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা। জিডিপির আকার ১০০ বিলিয়ন ডলার ছুঁতে বাংলাদেশের ৩৪ বছর লেগেছে। বাকিটা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের অবদান।
বাংলাদেশ ছাড়া বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে ইথিওপিয়া ও কম্বোডিয়া ৭ শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বলে জানান পরিকল্পপনামন্ত্রী। “কৃষি খাতে ২ দশমিক ৯০ শতাংশ, শিল্প খাতে ১০ দশমিক ২২ শতাংশ এবং সেবা খাতে ৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্য থাকলেও এখন যে গতিতে রয়েছে তাতে ২০১৯ সালের মধ্যে লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে।”
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, অক্টোবরে সার্বিক গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৬ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ, যা আগের মাসে ছিল ৬ দশমিক ১২ শতাংশ। এর পেছনে ‘চালের দাম কমা ও শীতকালীন শাকসবজির আগমনের’ কারণে কাঁচাবাজারে জিনিসের দাম কমায় মূল্যস্ফীতি কমেছে।”
এর আগে গত এপ্রিলে মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৬০২ ডলার ও জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাজেটের প্রত্যাশা ছাড়িয়ে ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ হবে বলে প্রাক্কলন করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। বিবিএসের চূড়ান্ত হিসাবে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৭ দশমিক ১১ শতাংশ; মাথাপিছু আয় ছিল ১ হাজার ৪৬৫ ডলার।
প্রায় এক দশক ৬ শতাংশের বৃত্তে ‘আটকে’ থাকার পর গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের ‘ঘর’ অতিক্রম করে। এর পর গত জুনে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ঠিক করা হয়।