আনোয়ার হুসেন॥ রাজধানীর আজিমপুরে খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলামের সমাবেশে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে ঢাকা সিটি দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ-ভাঙচুর, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কমপক্ষে ৮ জনকে আটক করেছে।
গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে তাদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। জানা গেছে, আজিমপুর পার্ল হারবাল কমিনিউটি সেন্টারে আজ বৃহস্পতিবার পূর্ব ঘোষিত বর্ধিত সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
এর আগে রাতে কমিনিউটি সেন্টারের সামনে কে বা কারা ময়লার স্তুপ ফেলে যায়। মহানগর দক্ষিণের সেক্রেটারি শাহে আলম মুরাদের লোকজন মনে করছেন মেয়র খোকনের নির্দেশেই সিটি করপোরেশনের লোকজন এখানে ময়লা ফেলে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে ময়লা কিছুটা সরিয়ে তারা কমিনিউটি সেন্টারে প্রবেশ করে।
এরপর একই স্থানে সভা করতে আসে মেয়র সাঈদ খোকনের সমর্থকরা। সমাবেশ শুরু পরই ঢাকা সিটি দক্ষিণের ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক লোকজন নিয়ে সমাবেশস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান জামাল লোকজন নিয়ে তাদেরকে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ-ভাঙচুর, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় মুরাদের সমর্থকরা আগুন দিয়ে ৩টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৮ জনকে আটক করেছে।
লালবাগ জোনের উপ পুলিশ কমিশনার ইব্রাহীম খান বলেন, একই সময়ে কর্মসূচি থাকায় সকাল থেকে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। আমরা খাদ্যমন্ত্রীর সভার অনুমতি দেয়। অন্য গ্রুপটিও অনুমতি ছাড়াই একই স্থানে সমাবেশ করার চেষ্টা করলে আমরা তাদেরকে সরিয়ে দেয়।