ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ কসবা উপজেলার মেহারী ইউনিয়নের পুরকুইল গ্রামের অমুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান চিশতীকে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই চুড়ান্ত তালিকা থেকে বাতিলের দাবীতে গতকাল শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে পুরকুইল গ্রামবাসী স্বাধীনতা চত্বরে মানববন্ধন শেষে কসবা প্রেসক্লাবে জনাকীর্ন সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। পরে গ্রামবাসী বিক্ষোভ মিছিল বের করে কসবা পৌর সদরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্পোরাল মো.আবুল হোসেন বলেন হাবিবুর রহমান চিশতী ধান্ধাবাজ, প্রতারক ও কথিত জিনের বাদশা । সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে পুরকুইল গ্রামের শিক্ষক কবির মুরাদ, মেহারী ইউনিয়নের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ফুল মিয়া, মো,ফরিদ মিয়া, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আজাদ, মো.ফরিদ মিয়া, মো.আবু নাছির, মো.আরু মিয়া, মো.ফিরোজ মিয়া, মো.গোলাম মাওলা, মো,মুজিবুর রহমান, মো.মোখলেছুর রহমান ও আবদুল হান্নান বলেন স্বাধীনতা এনেছি,স্বাধীনতার মান রাখবো,বাংলার বুক থেকে অমুক্তিযোদ্ধা বেঈমানদের প্রতিরোধ করবো। ।
বক্তাগন বলেন; অমুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান চিশতী মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সে গ্রামের বাড়ীতে অবস্থান করে। সে কখনো মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন না করেও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে খ্যাতি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন কলাকৌশল গ্রহন করে। সে কিছুদিন ভাতা গ্রহন করার তার বিরুদ্ধে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা নয় বলে অভিযোগ এলে তার ভাতা বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে গত অক্টোবর মাসে উপজেলা যাচাই বাছাই কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব রুহুল আমিন ভূইয়া বকুলকে নানাহ উপায়ে অর্থ প্রদানের মাধ্যমে হাবিবুর রহমান চিশতীর নাম তালিকাভুক্ত করে চুড়ান্ত অনোমোদন পাওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রনালয়ে পাঠানো হয়েছে। আমরা সদাশয় সরকারের নিকট জোর দাবী জানাচ্ছি তাকে যেন মুক্তিযোদ্ধা তালিকাভূক্ত করা না হয়।
বক্তাগন আরো বলেন দেশের গর্ব মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান রক্ষা সহ অবৈধভাবে যেন মুক্তিভাতা গ্রহন করতে না পারে আমরা সরকারের প্রতি অনুরোধ করছি।
উল্লেখ্য জিনের বাদশা হিসেবে খ্যাত হাবিবুর রহমান চিশতী জীবদ্দশায় সে তার মাজার এবং কবর তৈরি করে রাখেন। এলাকায় সে একজন ভন্ড ও অপচিকিৎসক হিসেবে পরিচিতি রয়েছে।