কসবার রাজপথের নির্ভীক সৈনিক ছায়েদুর রহমান মানিক

মানিক॥ ইতিহাসের পাতায় পাতায় বিধৃত আছে যে , “নেতাকে বিশ্লেষণী মনের অধিকারী হতে হবে, নিজের বুদ্ধি-বিবেচনা প্রয়োগের সামর্থ্য থাকতে হবে, পরিস্থিতি সামলাবার মতো মনের জোর, সাহস ও প্রজ্ঞা এবং সর্বোপরি দৃঢ়চেতা হতে হবে। এই হচ্ছে একজন সার্থক বা সফল নেতা কিংবা নেতৃত্বের। নেতৃত্বের যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষমতা না থাকে, প্রজ্ঞা ও সাহস না থাকে তাহলে সংকট তীব্র পর্যায়ে  যায়। নেতৃত্ব যদি অর্বাচীনের মতো কারও পাতা ফাঁদে পা দেয় তাহলে তো তার পরিণাম ভয়াবহ হতে বাধ্য। নেতা জনগণকে নেতৃত্ব দেবে নাকি জনগণের নির্দেশ মতো চলবে এ এক বিতর্কই বটে! তবে যা সত্য তা এই যে, নেতৃত্বকে জনকল্যাণমুখী, ত্যাগী, সাহসী, বিচক্ষণ এবং দূরদর্শী হতেই হবে। তা না হলে বিপদ পদে পদে ঘনীভূত হবে।”

kasba sayedur
উপরোক্ত গুণাবলী যখন আমার লেখাতে ধারণ করছিলাম ঠিক তখনই একটি নাম তাঁর আপন গতিতে আমার হৃদয়ে হুংকার দিয়ে উঠছিল। যে নামের সাথে একজন নেতার সবকটি গুণাবলী একে অপরের পরিপূরক। যে নামটি কসবা উপজেলার যুবলীগকে শক্তিশালী এবং একটি মজবুত অবস্থানে দেখতে চায় । যে নামটি, বিভিন্ন  অচলাবস্থার নিরসন করে কসবা-আখাউড়ার উন্নয়নের রূপকার মাননীয় আইনমন্ত্রী জনাব আনিসুল হক-এমপি’র প্রতি আস্থা রাখতে চায়। প্রিয় পাঠকবৃন্দ বলছি ৭ নং কসবা পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান ও জনপ্রিয় যুবলীগ নেতা মোঃ ছায়েদুর রহমান মানিক এর কথা।
তার বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন, সাধারণ মানুষের সাথে তার অনুরাগ ভালবাসা, কমিটমেন্ট, একটি জনপদের পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর ভাগ্যর উন্নয়নে নিজের সম্পৃত্ততা এক ধরনের প্রবল আবেগ তাকে নানা মুখী কর্মস্রোতে সম্পৃক্ত করেছে। এই আবেগে তাকে যেমন মানুষ প্রেমে উজ্জীবিত করেছিল পাশাপাশি নিত্য নতুন সৃষ্টিতে তিনি  তাড়িত থাকেন । যার উত্থানের সাথে  মিল রয়েছে “ দ্যা আউট সাইডার” উপন্যাসের নায়কের সাথে । তাঁর মত ছায়েদুর রহমান মানিক যেন নিয়তির বহুল আকাঙ্খিত সন্তান ।
মুক্তবুদ্ধি সম্পন্ন অসাম্প্রদায়িক চেতনা পুষ্ট সমাজ গড়ার এক লড়াকু সৈনিক হিসেবে তার সুনাম অক্ষুন্ন। তার অনন্য কীর্তি  কসবার জনমানুষের কাছে অহংকার হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে । সৃষ্টি সুখের উল্লাসে ছায়েদুর রহমান মানিক হাজারো মানুষকে অনেক মহৎ কিছু করার প্রেরনা যুগিয়েছে। তিনি রাজনীতি করছেন, যেই রাজনীতির সাথে উৎপাদন জড়িত, শিক্ষা জড়িত, উন্নয়ন জড়িত।
যখনই আওয়ামীলীগের কোন কর্মী  চক্রান্তের শিকার হয়েছে ঠিক তখনই অকুতোভয় বীরের মতো তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন ছায়েদুর রহমান মানিক । দলের ভয়ঙ্কর সঙ্কটের সময় তিনি অকুতোভয় বীরের ভূমিকা পালন করেছেন। ওয়ান ইলেভেনের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে অনেকেই যখন নিজেকে রক্ষায় ব্যস্ত ছিলেন ছায়েদুর রহমান মানিক তখন কসবার মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন । দলে অনেক সুবিধাবাদী নেতা থাকে যারা দু:সময়ে দলের পাশে থাকেন না। তারা শুধু সুবিধা নিতেই দল করেন । কিন্তু ছায়েদুর রহমান মানিক  ছিলেন দলের দু:সময়ের কান্ডারী। প্রিয় মুজিবকে বুকে ধারণ করে তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন স্বমহিমায় ।
২০১৯ সালের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার যুবলীগকে আরো গতিশীল এবং শক্তিশালী করার জন্য সঠিক কর্মপরিকল্পনা হাতে নেয়ার তাগিদ দিয়েছেন কসবা উপজেলার আওয়ামীলীগের এই জনপ্রিয় নেতা ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.