রাইসলাম॥ জাতির জনক, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি, জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অন্তরের পরম আত্মীয় ছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দূরদর্শী নেতৃত্ব ও মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। যাদের রক্ত-আত্মত্যাগের মাধ্যমে অর্জন করা স্বাধীনতা আমরা ভোগ করছি, সেই সূর্যসন্তানদের কেউ একজন কষ্ট পেলে জাতির জনকের আত্মা কাঁদে।
সিলেট হবিগঞ্জের সংরক্ষিত আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর বাবা, কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে বাঙ্গালি জাতির মুক্তির সংগ্রামে ঝাপিয়ে পরেছিলেন মহান স্বাধীনতা ৭১ এর রণাঙ্গনে। প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরীকে দেশব্যাপী প্রথম পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরীকে সম্মানীত করেন উনার স্মৃতি রক্ষার মাধ্যমে।
১৯৭৪ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজ হাতে কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরীকে ‘বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক’ তুলে দিয়েছিলেন। উল্লেখ্য যে, এই পদকটি ওই বছরই প্রথম চালু হয়। কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী মারা যাবার ২৫ বছর পর বঙ্গবন্ধু তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করেন। মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব প্রদান ও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের পর সিলেটের একজন সাংসদ হিসেবে রাজপথে নেমে প্রতিবাদ করার স্বীকৃতি স্বরূপ তাঁকে এ পদক দেওয়া হয়। এখানে আরেকটা বিষয় না বললেই নয় যে, মোস্তাক-জিয়া সরকারের মন্ত্রীত্ব উপেক্ষা করায় মানিক চৌধুরীকে সাড়ে ৪ বছর কারাভোগ করতে হয়েছিল।
এছাড়াও, ২০০৯ সালে হবিগঞ্জের বাইপাস সড়কটি কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরীর নামে সরকারীভাবে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে নামকরণ করা হয়। তখনো কেয়া চৌধুরী এমপি হননি।
এমন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে যখন শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারনে কুৎসা রটানো ও হেয় করার চেষ্টা করা হয় তখন আমরা বাঙ্গালিরা জাতির জনকের আদর্শের সন্তানদের বুকে রক্তক্ষরণ হয়।
পরিশেষে বলবো রাজনীতিকে, রাজনীতি দিয়েই মোকাবেলা করা হোক, কোন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে হেয় প্রতিপন্ন করার মাধ্যমে নয়।
কেয়া চৌধুরী তার যোগ্যতাবলে যোগ্য বাবার উত্তরসূরী হিসেবে এই গুরু দায়িত্ব পেয়েছেন। এবং তিনি ইতিমধ্যেই নিজেকে প্রমান করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে দায়িত্ব দিয়েছেন যেন তিনি যোগ্য পাত্রেই কণ্যা দান করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী দিনে বড় দায়িত্ব দেয়ার জন্য প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছেন। শুধু সময়ের পরিক্রমায় জনতা জানতে পারবে কি উপহার ঐ বাহুবল বাসীর জন্যে অপেক্ষা করছে।