চৌধুরী কামাল ইকরাম॥ গল্পাকারে প্রকাশিত এই বক্তব্যটি সঠিক এবং কালের পরিক্রমায় প্রচারের বাইরে রাখার উদ্দেশ্য হাসিল করতে না পেরে মনে বড়ই দু:খ আজ। অনেক প্রশংসাই করে যাচ্ছি ডিজিটাল প্রসাশন ও সরকারের। কিন্তু এখানে সমালোচনা নয় বরং সতর্ক হওয়া এবং সময়ের কাজ সময়ে করে প্রশংসার প্রত্যাশা বাড়িয়ে তোলাই মূল লক্ষ্য। একটি এক্রিডিটেনশন কার্ড পেতে ১৭ হাজার টাকার প্রয়োজন হয়। যদি কেউ নতুন পত্রিকা রেজিষ্ট্রেশন নিয়ে কাজ শুরু করেন তাহলে ঐ ব্যক্তির কার্ড পেতে হলে টাকা খরচ করতেই হবে নতুবা কার্ড পাওয়াতো দুরের কথা আশা করাও বামন হয়ে চাঁদে হাত বাড়ানোর শামিল হবে।
একটি পত্রিকার সম্পাদক তাঁর প্রথম কার্ডটির জন্য ছয় মাস অপেক্ষা করে ১৭ হাজার টাকার বিনিময়ে কার্ডটি নিয়েছেন। কিন্তু তিনি সেই কার্ডটি কোনদিন ব্যবহার করেননি। যখন তিনি ঐ কার্ডটি ব্যবহার করতে গেলেন তখন দেখলেন মিয়াদক্রান্ত হয়েছে। এও ৪মাস। তখন তিনি ভাবলেন এখন এটি নবায়ন করে নিই। তিনি এই কার্ড ব্যবহার না করেই নিয়মিত সচিবালয়ে যাতায়ত করেন এবং যাবতীয় দাপ্তরিক কাজও সারেন। সেই মোতাবেক তিনি ঐ কার্ডটি নবায়নের জন্য আবেদন করলেন কিন্তু বিধি বাম। সেই কার্ড আর নবায়ন হয় না। তারপর উপরমহলের বিভিন্ন তদবির এবং উপযুক্ত কাগজ দালিখ করে সেই কার্ডটি নবায়ন করেন। যখন কার্ডটি নবায়ন করেন তখন তার ঐ পত্রিকাটি মিডিয়া লিষ্টের প্রায় দ্বারপ্রান্তে।
কার্ড নবায়ন হতে সময় লেগেছিল ৭ মাস ১৫দিন। দু:খের বিষয় এই নবায়নকৃত কার্ডটিও তিনি তেমন ব্যবহার করলেন না। বরং গেইট পাস নিয়েই যাবতীয় কাজ সারেন। অবারও নতুন করে নবায়নের সময় হল। তিনি যথাসময়ে নবায়নের জন্য আবেদন করলেন। কারণ এখন তার পত্রিকাটি মিডিয়া লিষ্টভুক্ত। তাই তার নবায়ন হতে বিশেস করে ৭দিনের বেশী সময় লাগার কথা না; যা পিআইডি তার সকল প্রচারনায় লিখিত আকারে প্রকাশ করেছেন। কিন্তু তিনি যথানিয়মে আবেদন করে এমনকি নিয়মিত ফোনে যোগাযোগ করে যাচ্ছেন; কিন্তু কাডের দেখা পাচ্ছেন না। বরং অফিস থেকে বলা হচ্ছে তারা ভিষম ব্যস্ত তাই এই সপ্তাহে নয় আগামী সপ্তাহে আসেন। যদিও কার্ডের মেয়াদ উত্তির্ণ হয়ে গিয়েছে তথাপি তিনি গেইট পাস নিয়েই যাতায়ত করেন এবং করতে সাচ্ছন্দবোধ করেন।
কার্ড জমা হওয়ার ১৫দিন পর যখন তিনি পিআইডিতে গেলেন তখন বললেন পোপ আসছে তাই আমরা ব্যস্ত, আপনি আগামী সম্পাহে আসেন। ফোনে যোগাযোগ রাখবেন। কথানুযায়ী সেই কাজ ফোনে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে আর অপর প্রান্ত থেকে শোনানো হচ্ছে পোপাগমনের ব্যস্ততার কথা। ২৭দিন অতিবাহিত হয়ে যাচ্ছে অথচ কার্ডটি নবায়ন হচ্ছে না বিভিন্ন অজুহাতে। এটা কিসের আলামত। সরকারের অন্যান্য বিভাগের মত এই পি আই ডি কেন স্বচ্ছ এবং ডিজিটাইজ হচ্ছে না। আমিতো সরকারের লোক তাই আমি নিজেও বিব্রতবোধ করছি এই গরিমসির জন্য। আগের বার উছিলা দিয়েছিল আপনারতো মিডিয়া লিষ্ট হয় নাই তাই দেয়া যাচ্ছে না কিন্তু তখনতো ছয়মাসের কার্ড দেয়ার নিয়ম ছিল। তা তারা পালন করে নাই। আর এখন মিডিয়া লিষ্ট হয়েছে অথচ পোপাক্রান্ত রোগে ধরেছে।
আমার প্রশ্ন ও আবেদন এই জায়গাটি রিফ্রেস করে নতুন আঙ্গিকে কথা ও কাজের সমন্বয় ঘটানোর প্রয়োজন। সরকারের ভাবমুর্তি নষ্ট হউক এমন আচরণ বা বিলম্ব অথবা অন্য কোন কিছুই ইঙ্গিতবাহিত না হউক। আমাদের সরকার এবং আমরা এই সরকারের সকল কাজে ৭১’র ন্যায় ঝাপিয়ে পড়ে সফলতা ছিনিয়ে আনব। পথে যারা বাধাস্বরূপ কাজ করবে তাদের পতন ও বিতারণ করে কর্মক্ষেত্রে আগাছা মুক্ত করব। আমার কার্ডের প্রয়োজন নেই, কার্ড ছাড়াই আমি কাজ করতে স্বাচ্ছন্দবোধ করি। কিন্তু যেটা আমার অধিকার সেটা আদায় করতে কার্পন্যবোধ করব না। এমনকি এই অধিকারে যারা পথের কাটা হয়ে দাঁড়াবে তাদের অপসারণে কাজ করে যাব। এই ঘটনাটি আসলেই লজ্জার। কারণ সকল মিডিয়া যেহেতু অন্যায় এবং অন্যায়কারীকে প্রতিহত করার বা সুধরানোর কাজে ব্যস্ত সেখানে শরষের মধ্যে ভুতাচ্ছিদ হয়ে আছে এই পিআইডি? দেখার বিষয় আগামী দিনে এর আশু পরিচ্ছন্নতা এবং দ্রুত কাজের ফলাফল ও প্রত্যয়দীপ্ত অঙ্গিকার। তবে আমি আশাবাদি এবং এর পেছনের কারিগরও বটে। আর সেটাই করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।