ভিশন-২০৭১

Vison 71বাআ॥ আওয়ামরী লীগ তার এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে ‘ভিশন ২০৭১’ ঘোষণা করছে। বাংলাদেশ যখন তার স্বাধীনতার শতবর্ষে পা রাখবে তখন কেমন হবে আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি?-তারই এক রূপকল্প দেওয়া হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে। ১০০ এর রূপকল্প করা হয়েছে এভাবে- শূন্য (০) ক্ষুধা ও দারিদ্র, শূন্য (০) সন্ত্রাস ও দুর্নীতি এবং এক (১) শান্তি ও সম্প্রীতিতে বিশ্বে প্রথম রাষ্ট্র। এমনই এক স্বপ্ন রাষ্ট্রের দৃশ্যপট এঁকেছে আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী রূপকল্পে। নির্বাচনী ইশতেহারে বলা হচ্ছে, ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন, অগ্রগতি এবং সুশাসনের ধারা অব্যাহত রাখলে ২০৭১ সালের আগেই জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হবে। বিশ্বে হবে মডেল রাষ্ট্র।
নির্বাচনী ইশতেহারে রূপকল্প বা ভিশন দেওয়ার প্রথা চালু করেছিল আওয়ামী লীগই। ২০০৮ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রথম ‘ভিশন ২০২১’ ঘোষণা করেছিল। সেখানে আওয়ামী লীগ সুনির্দিষ্ট সময় নিঘণ্ট সীমারেখায় উন্নয়ন ও সুশাসনের অঙ্গীকার করেছিল। ওই নির্বাচনী ইশতেহারে আওয়ামী লীগ, ২০২১ সালে বাংলাদেশ যখন তার বিজয়ের ৫০তম বার্ষিকী পালন করবে, তখন একটি মধ্যম আয়ের, দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশের আশাবাদ ব্যক্ত করেছিল। ২০২১ সালের আগেই আওয়ামী লীগ সেই অঙ্গীকার পূরণ করবে বলে ইতিমধ্যে দলের সভাপতি এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছেন। পরিকল্পনা কমিশনের প্রক্ষেপণ অনুযায়ী ২০২০ সালেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় প্রবেশ করবে।
২০১৪ এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ‘ভিশন ২০৪১’ ঘোষণা করেছিল। যেখানে উন্নয়নের বর্তমান ধারা অব্যাহত রেখে বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, আধুনিক এবং প্রগতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছিল।
এবার আওয়ামী লীগ তার নির্বাচনী ইশতেহার আরও বেশি আতœবিশ্বাসী। দলটি তার খসড়া ইশতেহার আশাবাদ ব্যক্ত করেছে ২০৪১ নয়, ২০৩৫ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রের তালিকায় প্রবেশ করবে। ২০৭১ সালে বাংলাদেশ হবে বিশ্বে সবচেয়ে শান্তি ও সম্প্রীতির রাষ্ট্র। উন্নত আধুনিক শোষণ, বঞ্চনামুক্ত সত্যিকারের সোনার বাংলা।
তবে, ২০৭১ রূপকল্পের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ তার খসড়া নির্বাচনী ইশতেহারে, আগামী ৫ বছর সময়কে বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। আওয়ামী লীগ মনে করে, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে, আগামী ৫ বছর উন্নয়নের গতি বৃদ্ধি করতে হবে। প্রয়োজন হবে উন্নয়নের ধারাবাহিকতার।
এই সময়ের মধ্যেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী। ২০২০ সালে বাংলাদেশ তার প্রতিষ্ঠাতা পিতার জন্মদিন পালন করতে চায় পুরোটা আবেগ দিয়ে। এই ৫ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ তার বিজয়ের অর্ধশত বার্ষিকী পালন করবে ২০২১ সালে।
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের ৫০ বছর ছাড়াও নির্বাচনী ইশতেহারে ফাস্ট ট্রাক প্রকল্পের কথা বলা হয়েছে, যার মধ্যে আছে রূপপুর পারমানবিক প্রকল্প, মেট্রোরেইল সহ আরও কিছু।
খসড়া নির্বাচনী ইশতেহারটি দেওয়া হবে দলের সভাপতির কাছে। তার মতামতের পরই এটা চূড়ান্ত হবে। আর এবারই প্রথম একটি রাজনৈতিক দল গ্রাফিক্স অ্যানিমেশন এবং থ্রিডি মোশনের মাধ্যমে ইশতেহারের উপস্থাপনা পরিবেশন করবে।
ইতিহাসের পাতায় পাতায় বিধৃত আছে যে , “নেতাকে বিশ্লেষণী মনের অধিকারী হতে হবে, নিজের বুদ্ধি-বিবেচনা প্রয়োাগের সামর্থ্য থাকতে হবে, পরিস্থিতি সামলাবার মতো মনের জোর, সাহস ও প্রজ্ঞা এবং সর্বোপরি দৃঢ়চেতা হতে হবে। এই হচ্ছে একজন সার্থক বা সফল নেতা কিংবা নেতৃত্বের । নেতৃত্বের যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার ক্ষমতা না থাকে, প্রজ্ঞা ও সাহস না থাকে তাহলে সংকট তীব্র পর্যায়ে যায় । নেতৃত্ব যদি অর্বাচীনের মতো কারও পাতা ফাঁদে পা দেয় তাহলে তো তার পরিণাম ভয়াবহ হতে বাধ্য। নেতা জনগণকে নেতৃত…

Leave a Reply

Your email address will not be published.