ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল ॥ যে ৭ মার্চের ভাষণ উপলব্ধি করতে পারে না সে বাংলাদেশি না’। আমি আমার ছাত্রদের দেশকে ভালোবাসতে বলি। আর দেশকে ভালোবাসতে হলে দেশের ইতিহাসকে জানতে হবে। আর ইতিহাস জানতে হলে সবার আগে ৭ মার্চের ভাষণ শুনতে হবে। যে এই ভাষণ উপলব্ধি করতে পারে না সে বাংলাদেশি না।
বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা পূরণ করতে হবে। দেশকে ভালোবাসার সহজ উপায় হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে হবে। নতুন প্রজন্মকে কেবল তথ্য জানলেই হবে না বুকের মধ্যে ঐতিহাসিক এ ভাষণ অনুভব করতে হবে। যে ব্যক্তি বঙ্গবন্ধুর এ ভাষণ শুনেনি, অনুভব করেনি, সে বাংলাদেশের প্রকৃত নাগরিক হতে পারবে না। পাঠ্যপুস্তকে জাতির জনকের ভাষণ পড়লেই হবে না, তা শুনতে হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ মহাকাব্য। বলা হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষণ অন্তর্ভুক্ত করে ইউনেস্কো জাতির জনককে সন্মানিত করেছে। আমি বলবো ঐতিহাসিক এ ভাষণ অন্তর্ভুক্ত করে বরং ইউনেস্কো সন্মানিত হয়েছে।
কিউবার বিপ্লবী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো বলেছিলেন, আমি হিমালয় দেখিনি, আমি শেখ মুজিবুর রহমানকে দেখেছি। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না নিলে বাংলাদেশেরও জন্ম হতো না। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এখান থেকেই দিয়েছিলেন যেখানে দাঁড়িয়ে আমি বক্তব্য দিচ্ছি। এজন্য শিহরণ অনুভব করছি।