আবদুল আখের॥ ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন তাঁর মেয়াদকালে এখন পর্যন্ত কোনো কাজে সফল হতে পারেননি। উল্টো একের পর এক বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছেন। সম্প্রতি মেয়র সাঈদ খোকনের প্রতি ক্ষুব্দ প্রধানমন্ত্রী এবং দলীয় নেতারাও অসন্তুষ্ট ।
একদিকে মেয়র হিসেবে ব্যার্থতা অন্যদিকে দলের অভ্যন্তরে বিরোধ ঘিরে প্রতিপক্ষের কর্মসুচী বানচালে ময়লা আবর্জনার স্তুপ ফেলে রাখায় চরম অসন্তুষ্ট তারা । নেতাকর্মীরাও তার উপ রুষ্ট ।সম্প্রতি ফোনালাপে সাঈদ খোকনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই জীবনে তুমি অনেক পেয়েছো, আর কোনদিন মেয়র না হলেও চলবে ।
হকারমুক্ত সড়ক, কমিউনিটি সেন্টারগুলোকে আবার সামাজিক সমাবেশের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলাসহ অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েই ঢাকা দক্ষিণের মেয়র হয়েছিলেন সাঈদ খোকন। এরপর হকার উচ্ছেদে তাঁকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি। এখনো রাজধানীর এই অংশে হকাররা আছে বহাল তবিয়তে। আবার সিটি করপোরেশনের কমিউনিটি সেন্টারগুলোকে সংস্কার করে পূর্বের অবস্থায় আনার প্রতিশ্রুতি ছিল সাঈদ খোকনের। এখনো এই প্রতিশ্রুতির কোনো বাস্তবায়ন দেখা যায়নি। অপরদিকে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়িয়ে জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছেন সাঈদ খোকন। এর মধ্যেই আবার সিটি করপোশনের রাস্তার বাতির বিদ্যুৎ বিল ফেলা হচ্ছে এলাকাবাসীর মধ্যে। এমন সিদ্ধান্তে ঢাকা দক্ষিণের বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ।
প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বিফল ও জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি করেও ক্ষান্ত হননি সাঈদ খোকন। আবর্জনা দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমনের মতো নোংরা মানসিকতাও দেখিয়েছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে মহানগর আওয়ামী লীগের অনেক নেতার বিরোধের কথাও কারও অজানা নয়।
জনমনে ক্ষোভ দূর করতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নিতে সাঈদ খোকনকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এমন নির্দেশের পর ঢাকা দক্ষিণ মেয়র এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে দুরুত্ব ঘুচিয়েছে আগামী নির্বাচনের মজবুত প্রস্তুতি গ্রহনে যৌথভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। মুরাদ এবং খোকন এখন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন।