ঘুম থেকে উঠে চোখ খুললেই দেখা যায় বিভিন্ন নামে বেনামে সংগঠন। কিছু কিছু সংগঠন আবার স্বনামধন্য স্বীকৃত জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক নামের সঙ্গে সামান্য যুক্ত করে ঘরে উঠেছে। এই যে সংগঠনের ছড়াছড়ি … এখানে দেখার কি কেউ নেই। কেউ কি এই প্রতারনার ব্যবস্থাকে বন্ধ করতে উদ্যোগী হবেন? আগে বলতাম ব্যাঙের ছাতার মত গজিয়েছে এই ভুইফোর সংগঠন। কিন্তু আজ বলতে পারছিনা কারণ এখন আর ব্যাঙের ছাতা চোখে পড়ে না। তবে চাষের ক্ষেত্রে ভিন্ন। প্রকৃতিও ভিমরী খেয়ে ভয়ে পালিয়েছে ঐ সকল ভুইফোর সংগঠনগুলোর দৌরাত্বে। স্যোসাল মিডিয়ার যত্রতত্র চোখে পড়ে বিভিন্ন সংগঠনের নাম। যা আসলেই দৃষ্টিকটু এবং মুল সংগঠনের সঙ্গে শুধু চতুরানার চতুরঙ্গ মিশ্রিত কিছু নতুন শব্দ যোগ করা মাত্র। এই সকল সংগঠনের আসলে কোন ভিত্তি নেই এমনকি সাংগঠনিতক কাঠামোও নেই। তবে রয়েছে চটকদার বেচা কেনার রমরমা কৌশল।
এই সংগঠনগুলোতে কিছু বজ্জাত শ্রেণীর অতি চালাক ভদ্রবেশী লোভাতুর মানুষ তাদের আখের গোছানোর লক্ষ্যে মাত্র একটি অস্তীত্বহীন সাইনবোর্ড বা সোসাল মিডিয়া পেইজ বা গ্রুপ খুলে বসে আছে। ঐ পেইজ বা গ্রুপেরও কোন তাৎপর্য বহন করে না। শুধু একটাই সুযোগ তৈরী হয় ঐ গ্রুপ বা পেইজ বিক্রি করে দৈনন্দিক অর্থনৈতিক ফায়দা লোটার। বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে ঐ সাইনবোর্ডটি বা প্লাটফর্মটি ব্যবহার করে পরিচিত হওয়ার সুযোগ হয়। তারপরই শুরু করে বিভিন্ন কায়দায় অর্থ আদায়। কোন জাতীয় প্রোগ্রাম, রাজনৈতিক কর্মসূচী, এমনকি ব্যক্তি সমস্যা দেখিয়ে ধার বা কর্য করা। তারপর আর সেই ধার বা কর্য শোধ না করে বিভিন্ন ছল ছাতুরী করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। মাঝে মাঝে দেখা যায় খুব ঘন ঘন ঐসকল সংগঠনের কমিটি পরিবর্তন হয় এবং এর মাধ্যমেও ব্যবসা শুরু হয়।
এই সকল নরাধমদের মাধ্যমে সমাজ এবং সংস্কৃতি আসলেই বিনষ্ট হচ্ছে। যা বোঝার উপায় বের করতে অনেক দিন পার হয়। তবে আগামীতে আমি বিস্তারিতভাবে ঐসকল সংগঠন এবং এর পেছনের উদ্দেশ্য ও বস্তুনিষ্ট অনৈতিক ঘটনার বিবরন নাম ও প্রমান সহ উল্লেখ করব। আশা করি ঐসকল ব্যক্তিবর্গের চারিত্রিক স্খলন উন্মোচিত হবে এবং আগামীর ক্ষতি সাধিত হওয়া থেকে নিস্তার ঘটবে। সরকারের উচ্চ মহলে এর বিস্তারিত প্রতিবেদন জমা দিয়ে বর্তমান এবং আগামীকে নিস্কলুষ করাই হবে আমাদের একটি প্রত্যয়দৃপ্ত অঙ্গিকার।