মায়ের জিন থেকেই শিশুর বুদ্ধি বিকশিত হয়, বাবার ভূমিকা নেই

ইসরাত জাহান লাকী॥ মায়ের জিন-ই ঠিক করে সন্তান মেধাবী হবে কি না। এক্ষেত্রে বাবার কোনো ভূমিকাই নেই। অনেক বিতর্কের অবসান ঘটিয়ে এবার এমন রায়-ই দিলেন জিন বিজ্ঞানীরা। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট।child groud i by mother jin
শুধু তাই নয়, সম্প্রতি বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, বাবার থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া জ্ঞান সম্পর্কীয় উন্নত আচরণ যুক্ত জিন নিজে থেকেই অকেজো হয়ে যায়। এই কারণে শিশুমনে বুদ্ধির বিকাশ ঘটার পিছনে একমাত্র প্রত্যক্ষ ভূমিকা পালন করে তার মায়ের থেকে পাওয়া জিন।
উল্লেখ্য, মায়ের ডিম্বাণুতে ক্রোমোজোমের উপস্থিতি একজোড়া। কিন্তু শুক্রাণুতে মাত্র একটি এক্স ক্রোমোজোম থাকে। জিন বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শুধুমাত্র এক্স ক্রোমোজোমই বহন করে বুদ্ধিদীপ্ত জিন। তাছাড়া ১৯৯৪ সালে ১৪ থেকে ২২ বছর বয়সী ১২ হাজার ৬৮৬ জন তরুণের উপর করা এক সমীক্ষায় দেখা যায়, মায়ের আইকিউ এর উপরেই নির্ভর করে সন্তানের বুদ্ধিমত্তার দৌড়।
তবে গবেষণায় এও দেখা গিয়েছে যে, মানুষের বুদ্ধি শুধুমাত্র উত্তরাধিকার বা জিন সূত্রে প্রাপ্ত হয় না। শিশু বেড়ে ওঠার সময় জিনের প্রভাব যদি ৪০% থেকে ৬০% হয়, তবে বাড়ন্ত বয়সে পারিপার্শ্বিকও সমান ভাবে তার বুদ্ধি ও আচরণের উপর প্রভাব ফেলে।
সম্প্রতি পরীক্ষাগারে ইঁদুরের শরীরে অতিরিক্ত পরিমাণে মায়ের জিন প্রবেশ করিয়ে দেখা গেছে, মাথা ও মস্তিষ্কের আকারে বৃদ্ধি ঘটলেও তাদের শরীরের বাকি অংশ তুলনায় ছোট হয়। অন্যদিকে, বাবার জিনের পরিমাণ বেশি থাকলে শরীর বড় হলেও মাথা ও মগজ ছোট হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published.