প্রতিষ্ঠার তিন যুগ পেরিয়ে আজ একটি সমৃদ্ধ বিদ্যাপীঠ সৈয়দাবাদ “এ. এস. মনিরুল হক হাই স্কুল”। গঠিত হতে যাচ্ছে স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রদের এলামনাই এসোসিশেয়ন। তারই শুভ সূচনার প্রাক্কালে পুণমিলনী ও স্মরণীকা প্রকাশার্থে পত্রিকায় এই লিখা। শ্রদ্ধেয় তাজু ভাই (যুগ্ম সচিব) এর অনুরোধ এবং অনুজপ্রতীম সাখাওয়াত (শিল্পপতি) এর তাগাদার কারণে লিখার এ ক্ষুদ্র প্রয়াস। তাছাড়া প্রতিষ্ঠাকালীন ছাত্র হিসেবে নিজ থেকেও একটা দায় আছে। সুচয়িত তথ্যসমৃদ্ধ সুগ্রন্থিত কিছু লিখার ইচ্ছা ভবিষ্যতের জন্য রেখে দিলাম। স্কুর প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত ও এর প্রাথমিক বছরগুলোর কিছু স্মৃতি কিছু কথা আজ বিবৃত করব। তখনকার এক দূরন্ত কিশোরের কৌতুহলী চোখের পর্যবেক্ষণ, অপর্যাপ্ত বিশ্লেষণ ও অপরিমেয় আবেগীয় মনের অনুররণ এতে থাকবে। ফলে বাদ পড়ে যেতে পারে বহু উল্লেখযোগ্য ঘটনা, গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। আগাম ক্ষমা চাই এ জন্য। আমার চেয়ে আরো গুরুত্বপূর্ণ কোন জন হয়ত তাদের অবদান উল্লেখ করবেন আরো স্মরণীয়ভাবে আরো উচুঁ কোন ফোরামে।
সত্তরের দশকে আমরা যখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তখনই নিজের গ্রাম নিয়ে গর্ববোধ করতাম…কী নেই আমাদের? কলেজ, বাজার, পোষ্ট অফিস, মাদ্রাসা, একাধিক প্রাইমারি স্কুল-এমন কী হাসপাতালও। কিন্তু এ বোধ থেকে যেত…যখন দেখতাম হাইস্কুল তো নেই। এ কথা বললেও বড়রা যেন গাঁ করতেন না। পরে জেনেছি পাশের দুটি হাই স্কুল বাদৈর স্কুল এবং হাজীপুর স্কুল আমাদের গ্রামের মুরুব্বিদের সম্মতি নিয়ে প্রতিষ্ঠা হয়েছে এবং স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্য পদে আমাদের মরুব্বিরাই থাকতেন। তাছাড়া এলাকার দুটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আমাদের গ্রামে। সৈয়দাবাদ আদর্শ কলেজ তখন দক্ষিণ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একমাত্র উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তেমনি সৈয়দাবাদ ছানি ইউনুছিয়া মাদ্রাসা কওমী সিলসিলার ব্রাহ্মণবাড়িয়া অঞ্চলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তাই হাইস্কুল প্রতিষ্ঠার গরজ এ গ্রামবাসী তেমন বোধ করে নাই।
প্রসঙ্গক্রমে সৈয়দাবাদ কলেজ প্রতিষ্ঠার ছোট একটু ইতিহাস বিবৃত করার লোভ সামলাতে পারছি না। বাদৈর স্কুলে সৈয়দাবাদ গ্রামের অধিকাংশ ছাত্র-ছাত্রী পড়তে যেত। জনাব এ.বি. ছিদ্দিক সাহেব তখন বাদৈর স্কুল পরিচালনার সাথে জড়িত। সৈয়দাবাদেরই জবাব কায়কোবাদ চৌধুরী (বর্তমান কুমিল্লা জজ কোর্টের প্রবীণ এডভোকেট) ঐ স্কুলের শিক্ষক। জনাব লখন ভূঞাসহ কয়েকজন গ্রামে হাইস্কুল করার কথা চিন্তা করে চেয়ারম্যান ফিরোজ মৃধা সাহেবের সাথে আলোচনা করেন। ফিরোজ মৃধা তখন জনাব এ. বি. ছিদ্দিকের কথা বলেন, যিনি উদ্যোগী হলে স্কুল করা সম্ভব। কিন্তু তিনি স্কুল গড়তে রাজি হলেন না, হতে পারে বাদৈর স্কুল কমিটিতে থাকার কারণে তার নিজ দায়বদ্ধতার কথা চিন্তা করে। বললেন স্কুল তো গ্রামে গ্রামেই আছে, কলেজ করলে তিনি এগিয়ে আসবেন। গ্রামবাসী তখন কলেজ করতেই ঝাপিয়ে পড়ে। ছিদ্দিক সাহেবের নেতৃত্বে কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে সৈয়দাবাদ কলেজ একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ যা প্রতিষ্ঠাতার একক উদ্যোগে নয় বরং গ্রামবাসীর সমবেত প্রচেষ্টায় গড়ে উঠেছে। গ্রামের সকল জনগন তাদের সম্পদ, সঞ্চয়ের অংশ কলেজের জন্য দিয়েছেন। কেউ হয়ত নগদ টাকা, ধান-চাল, কেউবা ঝাড়ের বাঁশ, একেবারে নি:স্ব ব্যক্তি একজন দিন মজুরও তার একদিনের শ্রম হলেও দিয়েছেন।
অব্যাহত ছাত্র সংখ্যা বৃদ্ধি, যাতায়াতের সমস্যা (বিশেষত বর্ষকাল ও বর্ষা উত্তর সময়) ইত্যাদির কারণে স্কুল প্রতিষ্ঠার বিষয়টি আর পেছনে ফেলে রাখার সুযোগ ছিল না। ফলে ১৯৭৮ সালে মুরুব্বীদের কার্যকরভাবে তৎপর হতে দেখা যায়।
গ্রামের তন্ত্রীতে তন্ত্রীতে স্পন্দন সৃষ্টি হয়। স্ত্রী-পুরুষ, যুবা-বৃদ্ধ, কিশোর পৌঢ় সবাই সৃষ্টি সুখের উল্লাসে মেতে উঠেন। মুরুব্বীরা একের পর এক সলা পরামর্শ, আলোচনা, পরিকল্পনা করেই যাচ্ছেন। এ সময় যাদের অধিক তৎপর হতে দেখেছি তার হলেন সর্ব জনাব আলহাজ্জ্ব আবদুল মোমেন ভূঞা (লখন ভূঞা), এ. বি. ছিদ্দিক, হাবিবুর রহমান খান (সুপার, পি.টি.আই), নান্নু ভূঞা, হারুনুর রশিদ খান, জহিরুল হক বি. এ, মিয়া খ্যাঁ স্যারসহ আরো অনেকে। আর্থিক বিষয়ে এগিয়ে আসেন গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারের ধনাঢ্য ব্যক্তি জনাব সৈয়দ মনিরুল হক। সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে শরতের এক বিকেলে সৈয়দাবাদ বাজারের উত্তরাংশে এক বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। গ্রামের বড়দের পাশাপাশি ছোটরাও এতে যোগ দেয়। সকলের মনে আনন্দের বন্যা, অনি:শেষ উত্তেজনা। স্কুলের নাম নির্ধারণ নিয়ে বেশ কিছু সময় ব্যায় হয়। অবশেষে ঐক্যমতের ভিত্তিতে নির্ধারিত হয় স্কুলের নাম হবে “আলহাজ্জ্ব সৈয়দ মনিরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়”। হর্ষধ্বনিতে ফেটে পড়ে জনতা।
এখানেও প্রতিষ্ঠাতার একক উদ্যোগ নয় গ্রামবাসী এবং শিক্ষক, ছাত্রদের সম্মিলিত প্রয়াস। গ্রামের বিত্তশালীদের নিকট থেকে অনুদান সংগ্রহ, গ্রামের বাজার থেকে চাঁদা তোলা, গ্রামবাসী অকাতরে হাত বাড়িয়েছে স্কুলের দিকে। স্কুলের জন্য মাটি কাটা, স্কুলের কাঠ টিন নিজ মাথায় করে বয়ে আনা- আমরা তখনকার ছাত্রছাত্রীরা সহাস্য মুখে করেছি। সারা রাত জেগে মীনা বাজার ও প্রদর্শনী পরিচালনা করে স্যারেরা করেছেন স্কুলের জন্য অর্থ সংগ্রহ।
শুরু হল স্কুল প্রতিষ্ঠার দৃশ্যমান কর্মকান্ড। সৈয়দাবাদ- কলেজের পরিচালনা পর্ষদ সম্মত হল স্কুলের নিজস্ব ভবত তৈরী হওয়া পর্যন্ত কলেজের একাংশে সাময়িক ভাবে স্কুল পরিচালিত হবে। স্কুলের জন্য নির্ধারিত হল মর্নিং শিফট। সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সাড়ে ১১টা। প্রথম বৎসর ১৯৭৯ সালে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণী পর্যন্ত খোলা হয়। স্কুলের সভাপতির ভুমিকা পালন করেন পালাক্রমে জনাব লখন ভূঞা ও জনাব এ. বি. ছিদ্দিক। প্রথমিক বছরগুলোতে বরাবরই সেক্রেটারির ভূমিকায় ছিলেন মিন্টু স্যার। প্রধান শিক্ষকের প্রাথমিক দায়িত্ব চালিয়ে নেন শাহজাহান স্যার। আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রথম প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জনাব আবু সাঈদ, সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন জনাব এম এ মাশরেকি। ১৯৭৯ সালের জানুয়ারী থেকেই শুরু হয় স্কুলের আনুষ্ঠানিক পথ চলা। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক হিসেবে আসেন জনাব আবু জামাল খন্দকার। ক্রান্তি কালে আবারও প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন জনাব আবুল কালাম আজাদ (শাহজাহান স্যার)।
মনিরুল হক হাই স্কুল একটি ভাগ্যধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কেননা প্রথম থেকেই এ স্কুল পেয়েছিল দক্ষ, যোগ্য ও নিবেদিত প্রাণ শিক্ষক মন্ডলী। স্কুলের প্রতিষ্ঠাকালীন যেসব মহৎ প্রাণ ব্যক্তিদের আমরা শিক্ষক হিসেবে পেয়েছি তারা হলেন জনাব শহিদুল হক এম.এস.সি, বাবু প্রদীপ লাল পাল, বাবু প্রদীপ আচার্য্য, জনাব জহিরুল হক (জুরু স্যার), মাওলানা আ: রউফ ভূঞা, বাবু ইন্দ্রজিৎ দত্ত, জনাব আবুল বাশার, জনাব মুকুল প্রমুখ। গ্রামের সে সকল উচ্চ শিক্ষিত যুবক স্বউদ্যোগে বিনা পারিশ্রমিকে স্কুলের শিক্ষক হিসেবে সেবা দিয়েছেন তারা হলেন সর্ব জনাব হারুনুর রশিদ খান, হারুনুর রশিদ ভূঞা, আদিল মো: নাসির, মোহাম্মদ আলি (জিতু মাষ্টার), মাওলানা আবুল ফাতাহ ভূঞা। এছাড়াও কলেজের শিক্ষকগনের মধ্যে প্রিন্সিপাল জনাব সামসুল হক, জনাব নওয়াব আলী সরকার, বাবু শ্যামা প্রদাস, বাবু অসিত রঞ্জন রায়, বাবু অধীর দত্ত, লিয়াকত আলী খান (পরবর্তীতে ডক্টরেট ও ডিজি, মাউশি) প্রায় নিয়মিত স্কুলে ক্লাস নিতেন। এ সকল দক্ষ, যোগ্য ও নিবেদিত প্রাণ শিক্ষকদের প্রাণঢালা অবদানে প্রথম থেকেই এ স্কুল অর্জন করে ঈর্ষণীয় সাফল্য।
প্রতিষ্ঠার ১ম বৎসর ১৯৭৯ সালে জুনিয়র বৃত্তি পান দিলারা আক্তার খান। পরবর্তী বৎসর ১৯৮০ সালে বৃত্তি পায় তারই সহোদর মো: খালেদ হোসেন খান। তৃতীয় বৎসর ১৯৮১ সালে অর্থাৎ স্কুলে এস এস সি পরীক্ষায় ১ম ব্যাচ তাজুল ইসলাম (বর্তমান যুগ্ম সচিব) এবং আনোয়র হোসেন মৃধা (বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা) প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে স্কুলের সুনাম চারিদিকে ছড়িয়ে দেন। উল্লেখ্য অষ্টম শ্রেণীর জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা তখন মহকুমা ভিত্তিক ছিল। এস. এস. সি-তে প্রথম বিভাগ প্রাপ্তি তখন বিরল ঘটনা ও বিশেষ সম্মানের ব্যাপার। স্কুলের একাডেমিক বিষয়ের উন্নয়নে জনাব হাবিবুর রহমান খানের অবদান অনস্বীকার্য।
সহপাঠ্যক্রমিক কর্মকান্ডে শুধু কসবার নয় বরং শহরের যে কোন স্কুলের তুলনায় এ স্কুল ছিল অগ্রগামী। প্রতি সপ্তাহে শেষ দিন সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড (গান, কবিতা), ঘটা করে বিভিন্ন জাতীয় দিবস উদযাপন এবং রবীন্দ্র ও নজরুল জয়ন্তি পালন, বিতর্ক উৎসব, বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতা ছিল নিয়মিত কার্যক্রম। মাসরেকি স্যারের নেতৃত্বে বয় স্কাউট প্রথম থেকেই চালু ছিল। বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্ত: স্কুল প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও পুরস্কার প্রাপ্তি ছিল নিয়মিত ঘটনা। প্রতিষ্ঠাকলের এ সাফল্যের এ ধারাবাহিকতা পরবর্তীতে অব্যাহত থাকেনি।
এখন একটু কৃতজ্ঞতা স্বীকারের বিষয়। নব প্রতিষ্ঠিত এ স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি পরীক্ষা ও এস.এস.সি পরীক্ষা অংশ গ্রহনের সুযোগ করে দিয়েছিল যথাক্রমে ছতুরা চান্দপুর হাই স্কুল, চন্ডিদ্বার হাই স্কুল এবং হাবলাউচ্চ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। আমাদের অকুষ্ঠ কৃতজ্ঞতা প্রধান শিক্ষক জনাব নুরুল হক খান, জনাব জহিরুল হক এবং প্রতিষ্ঠান তিনটির কর্তৃপক্ষের প্রতি। প্রতিষ্ঠাকালে স্কুলের সহায়ক কর্মচারী ছিলেন খলিলুর রহমান কুটু ভাই এবং আ: রউফ ভাই। তাদের আন্তরিক ও নিরলস পরিশ্রমের ঋণ স্বীকার করি।
স্কুলের পথ চলা সবসময় নির্বিঘœ ছিল তা বলা যায় না। অগ্রযাত্রায় সকল মহলের সহযোগিতা সব সময় সমভাবে মেলেনি। এ পর্যায়ে কলেজ ক্যাম্পাসে স্কুলের কার্যক্রম বন্ধ করার জন্য উঠে পড়ে লাগে একটি গোষ্ঠী। এ জন্য রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রভাব ব্যবহার করা হয়। বহু কষ্টে জমি কিনে বর্তমান দৃষ্টি নন্দন স্থানে স্কুলটি স্থানান্তরিত করা হয়। নিজেদের অর্থের প্রয়োজনে নয় বরং স্কুলটি প্রতিষ্ঠার তাগিদেই শাহজাহান স্যার ও তার সহোদর ফরহাদ ভাই এবং জনাব কাদির মিয়া ও মতি মিয়া ভাতৃদ্বয় স্কুলের নিকট জমি বিক্রি করতে রাজি হয়েছিলেন। তাদের প্রতিও রইল কৃতজ্ঞতা।
কারো নাম উল্লেখ করে বিতর্ক সৃষ্টি কাঙ্খিত নয়। সংক্ষেপে শুধু এটুকু বলি চরম দু:সময়ে স্কুলের নাম পরিবর্তন করে “কলেজিয়েট স্কুল” নামকরণ করেও স্কুলকে বিলুপ্ত হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে এর যাত্রা অব্যাহত রাখতে হয়। আল্লাহর কাছে শোকর আবার এ. এস. মনিরুল হক উচ্চ বিদ্যালয় নামেই স্কুলটি দাঁড়াল। এ নামে প্রতিষ্ঠান পেয়েছে বোর্ডের স্বীকৃতি, সরকারি অনুমোদন। প্রতিষ্ঠাকালের নিষ্ক্রিয় ব্যক্তিদের যখন দেখি স্কুলের কর্মকান্ডে সংযুক্ত, সক্রিয়-ভাল লাগে, তৃপ্তি পাই। সকলে মিলেই এ প্রতিষ্ঠানটিকে বহু দুর নিয়ে যাব আমরা।
স্কুল প্রতিষ্ঠাকালের ইতিহাস আনন্দের, বেদনার, রোমাঞ্চের, রহস্যের। স্মরণিকায় বা পত্রিকায় অল্প কয়েকটি পাতায় তা তুলে আনা সম্ভব নয়। স্কুল প্রতিষ্ঠার কারিগরেরা অনেকেই ইন্তেকার করেছেন। তাদেরকে স্বসম্মানে স্মরণ করি, আত্মার মাগফেরাত কামনা করি। অল্প কয়েকজন যারা বেঁচে আছেন যেমন সর্ব জনাব সৈয়দ সামসুল কাউনাইন কুতুব, এরশাদুল হক মিন্টু, হারুনুর রশিদ খান, জনাব হাবিবুর রহমান খান, জহিরুল হক বি এ প্রমুখ তাদের নিকট থেকে স্কুলের অনুপুঙ্খ ধারাবাহিক ইতিহাস জানা জরুরী। আশা করি এ এলামনাই এসোসিয়েশন এ বিষয়ে একটা বিস্তৃত পরিকল্পনা নেবে।
যা কিছু লিখলাম স্মৃতি থেকে, শ্রুতি থেকে। যার কারণে দিন তারিখ যথাযথ ভাবে উল্লেখ সম্ভব হয়নি। সর্বোপরি স্মৃতি মানুষকে ভাবায়, জাগায়, জ্বালায়, ধোকাও দেয়। যদি কিছু ভুল হয়ে থাকে শোধরিয়ে নেব। অন্য কেউ হয়ত আলোচনা করবেন, শোধরাবেন। শুরু হোক আলোচনার সূত্রপাত। তাই এখানেই আমার লিখার যবনিকা পাত।