ফারুক আহমেদ॥ জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, এই দুই মামলায় খালেদা জিয়া আজ পর্যন্ত অন্তবর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। কিন্তু তিনি গতকাল (বৃহম্পতিবার) আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত তাঁর জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন। দুই মামলায় তাঁর আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেওয়ার দিন ধার্য ছিল গত বৃহস্পতিবার।
ওই আদালতের পেশকার মোকাররম হোসেন বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আগামী ৫, ৬ ও ৭ ডিসেম্বর যুক্তি-তর্ক শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত। আর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাফাই সাক্ষ্যের জন্য একই দিন ধার্য আছে। চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন সাক্ষী। জামিনে থাকা অন্য দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক। এদিকে অরফানেজ ট্রাস্টের মামলায় খালেদা জিয়াসহ আসামি মোট ছয়জন। অন্য পাঁচ আসামি হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান। আসামিদের মধ্যে ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান মামলার শুরু থেকেই পলাতক। বাকিরা জামিনে আছেন।