কথায় আছে সত্যের নৌকা সাতবার ডুবে এবং সাতবারই ভেসে উঠে। কিন্তু মিথ্যার নৌকা একবারই ডুবে যা আর কখনো ভেসে উঠে না। এখন দেখা যাচ্ছে মিথ্যার উপর ভর করে চলা বন্ধ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বন্ধ যে হচ্ছে তা কিন্তু নয় বরং মিথ্যার উপর নির্ভর করে দেয়া সকল শিক্ষা, চক্রান্ত, পথচলা, কথা বলা এমনকি সত্যকে মিথ্যাদিয়ে ঢাকা দেয়ার প্রবণতা সবই ভেস্তে যাচ্ছে বা প্রকাশ হচ্ছে। আমাদের সমাজে, পরিবারে, কর্মক্ষেত্রে সর্বোপরি রাষ্ট্রের কর্মকান্ডে যে মিথ্যা নিতী ছিল তা আজ ঘুনে ধরে বাতাসে পর্যবসীত হয়ে যাচ্ছে। তবে মিথ্যা কিন্তু আবারো কোন নতুন খোলসে আমাদের সামনে আবর্তীত হতে পারে। তাই সাবধান চোখ কান খোলা রেখে সামনের দিকে অগ্রসর হউন। কবুতরের মত সরল হউন এবং সাপের মত চালাক হউন। আপরদিকে আমাদের মুখের কথার হ্যা যেন হ্যা—ই হয় আর না যেন না—ই হয়। এই বাইরে যদি কিছু হয় তা কিন্তু ইবলিশের।
মিথ্যা বিভিন্ন রকম হয়, পারিবারিক মিথ্যা, সামাজিক মিথ্যা, রাজনৈতিক মিথ্যা, শিক্ষাক্ষেত্রে মিথ্যা, কর্মক্ষেত্রে মিথ্যা এবং রাষ্ট্রীয় মিথ্যা। এই সবগুলো মিথ্যার রূপ, রস এবং সোধাগন্ধ আমাদের সকলেরই জানা। তাই ঐ মিথ্যার আড়াল থেকে এখন নিজেদেরকে দুরে সরিয়ে রাখা সময়ের দাবি। তাই আমরা যার যার অবস্থান থেকে নিজের ভুমিকাটুকু পালন করি; মিথ্যার সঙ্গে আপস না করি। তাহলেই দেখবেন বদলে যাব আমরা এবং আমরা বদলে গেলেই পরিবার, সামজ, রাজনীীত, শিক্ষা এবং রাষ্ট্র সর্বক্ষেত্রেই এর বিচরণ লক্ষনীয় হবে। আর তখনই পরিবর্তনের অঙ্গিকারে আবদ্ধ জাতি হিসেবে নিজেদেরকে দাবিদার করতে পারব।
মিথ্যার উৎপত্তি হলো শয়তান থেকে। মিথ্যাকে ব্যবহার করে শয়তান খোদাবিরোধী পৃথিবী রচিত করতে প্রতিজ্ঞাবন্ধ। আর খোদার চ্যালেঞ্জ হলে শয়তানের শয়তানী থেকে তাঁর সৃষ্টিকে রক্ষা করা। কিভাবে… সত্যদিয়ে। আর সত্যের ধর্মই হলো প্রজ্জ্বলিত হওয়া। তাই হচ্ছে বৈকি চারিপাশে। এই সত্যকে যাচাই ও বছাই আর করার প্রয়োজন পড়ে না। কারন সত্য এমন একটি বিষয় যা যতই গোপন করার চেষ্টা করা হউক না কেন তা বের হয়ে আসবেই। আমরা দেখলাম বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর সততার দৃষ্টান্ত এবং বিশ্নে তৃতীয় সৎ ব্যক্তি হিসেবে স্বীকৃতী। তাঁর কর্মষ্টিতাও পরিমাপক হিসেবে সত্যের মাপকাঠিতে যাচাইকৃত। দেশের উন্নয়ন সুচক এমনকি আগামীর পথ চলায় কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তারও একটি ফিরিস্তি। সবই কিন্তু সোনা যেমন যাচাইকৃত হয়ে পাবলিকের দরবারে হাজির হয় ঠিক একইভাবে হাজির হয়েছে বিশ্বদরবারের মাধ্যমে। এই সততার দৃষ্টান্ত থেকে আমাদের আগামীর জন্য যথেষ্ট শিক্ষা ও দিকনির্দেশনা বিরাজমান রয়েছে।
পাশাপাশি আরেকটি সত্য বিশ্ব দরবারের মাধ্যমেই উদঘাটিত হয়ে আসছে প্রতিনিয়ত যা সংশোধন ও সাবধানের শিক্ষা হিসেবে নেতিবাচক দৃষ্টিতে গ্রহন করা যেতে পারে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং তার পরিবারের করা অন্যায়, ঝুলুম ও অর্থনৈতিক ফায়দা লোটার পরিক্রমা এমনকি লোভে পাপ এবং পাপে মৃত্যুর ঘটনা। সিঙ্গাপুর, মালয়েশীয়া ও সুদুর আমেরীকার মাধ্যমে লুটপাটকৃত অনৈতিক অর্থ বের হয়ে আসছে। যা কোটের আদেশ এবং আন্তর্জাতিক আইনের মাধ্যমে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। অপরদিকে মাফিয়া ডন, সন্ত্রাসী, জোয়ারীসহ যত খারাপ উপাধীধারী ১ম স্থান অর্জনকারী লোকদের তালিকা ছিনিয়ে এনে তিনি ও তিনারা হয়েছে পর্যায়ক্রমে ১ম থেকে ১০ম স্থান অধিকারী মহাবীরোচিত কাপুরুষ।
সদ্য সৌদি সরকারের দুর্নীতি বিরোধী অভিযান পরিচালনায় বের হয়ে আসছে বাংলাদেশের মুকুটবীহিন কাপুরুষদের স¤্রাট ও মিথ্যা শিক্ষায় শিক্ষিত ডা. এবং ড. সংমিশ্রিত পরিবারের গোপন আমানতের। কি দুভার্গ আমাদের। এই সোনার বাংলা বিরান করলো যারা বা আগামীতে সুযোগ পেলে বাকিটুকু শেষ করবে যারা তাদের পিছনেই কিনা আমরা। প্রশ্ন আমার আমাদের কি নিজস্ব স্বকিয়তা বলতে অবশিষ্ট কিছু আছে? আমাদের চোখে কি ছানি পড়েছে? আমরা কি কালা হয়ে গেছি? সারা পৃথিবী এই লোকানো টাকার অবৈধ ব্যবসা সম্পর্কে জেনেছে এবং মিডিয়া নামোচ্চারণ করে প্রচার করে যাচ্ছে। লজ্জাতো তাদের নেই … লজ্জা আমাদের। যদিও কথাটি শোনতে খারাপ তারপরও গ্রামে গঞ্জে প্রচলিত এবং অর্থবহ বলে এখানে উল্লেখিত “হাগুইন্না বেডির লাজ নাই; দেখুইনা বেডার লাজ” আমাদের দশা এখন দেখুইন্না বেডা মত। কারন আমরা শুনছি এবং দেখছি। কি করব আমাদেরও দায় রয়েছে বটে। কারণ আমরাইতো সুযোগ করে দিয়েছি ঐ সম্পদ লোট-পাট করে খেতে।
যাক উপরোল্লেখিত ঐ দুই ধরনের ঘটনাই আমাদের সামনে হাজির। এখন আমাদের সামনে যুগের দাবী অনুযায়ী পছন্দের বিষয় কোনটা বেছে নিব। তবে যেহেতু সত্য এবং সততা এই বিষয়টি দুনিয়া এবং আখেরাত উভয়কেই সহাস্যে সহযোগীতা এবং নিশ্চয়তা বিধান করে সেহুতু বর্তমানের দাবিকে প্রধান্য দিয়ে সামনে এগিয়ে যাবো এটাই হোক এই বিজয়ের মাসের শুরুর অঙ্গিকার।