কেয়া চৌধুরীর ফেরা

তাজুল ইসলাম নয়ন॥ একজন যোগ্য বাবার যোগ্য সন্তান হিসেবে কেয়া চৌধুরী আবারো ফিরে এসেছে নৌকার মাস্তুলে চড়ে তাঁরই প্রীয় জনগণের কাছে। কে রোধিবে তারে? একজন মহান নেতার যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে তাঁর বাবা যে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন তা থেকেই শিক্ষা ও দিক্ষা নিয়েছেন এই কেয়া চৌধুরী। বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা পর্যন্ত সকল সৎ ও পথ দেখানো এবং শেখানো নেতাদের যে গুনাবলী তা আমাদের এই অজপাড়াগায়ের বধু কেয়া চৌধুরীর মধ্যে। কেয়া চৌধুরী এবং ঐ এলাকার জনগণ এখন একই সুত্রে গাঁথা। সবারই লক্ষ্য শেখ হাসিনার উন্নয়ন ভোগ করা এবং আগামী দিনের উন্নয়ন সুনিশ্চিত করা।                                                                                  keya return his people
সন্ত্রাসী এবং ভাড়া করা গুন্ডাবাহিনীর মাধ্যমে তৈরী করা নেটওয়ার্ক যা উন্নয়নের অন্তরায় এবং জনগণের সম্পদ ও সুখ লুট করে নিজেদের আরাম-আয়েশ ও ভোগ-বিলাসে মত্ত থেকে নেশাছন্ন পরিবেশ সৃষ্টি করে ভীতির রাজ্যে সন্ত্রাসের দাপটে বসবাস করার লক্ষ্য নিয়ে এতদিন নৌকার স্বাদ ও প্রধানমন্ত্রীর ভালবাসার উপহার জনআড়ালে রেখেছিল। যা কেয়া চৌধুরীর মাধ্যমে জনগণ দেখতে ও নিজের অধিকার হিসেবে পেতে পেরেছে। যার ফলশ্রুতিতেই জনগণের চোখ খুলেছে এবং কেয়া চৌধুরীর সততা, আন্তরিকতা ও ভালবাসা এমনকি কঠোর পরিশ্রম জনসম্পৃক্ততায় গনজোয়ারের সৃষ্টি হয়েছে। জনসম্পৃক্ততা ও গণ জোয়ারের ভিতীর ফলেই সন্ত্রাসী বাহিনী কেয়া  চৌধুরীর উপর আক্রমন করেছিল। কিন্তু সেই আক্রমন জনগণ দ্বারাই প্রতিহত হয়েছে। হয়নি প্রশাসন দ্বারা। আর সন্ত্রাসীর বিচারের কাঠগরাইও বিজয় হয়েছে ঐ জনগণের এবং ন্যায় বিচারের।
প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়চেতা মনোভাব এবং সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি এমনকি দলীয় নৈরাজ্য সৃষ্টি কারীদের বিরুদ্ধে বজ্রকন্ঠ এক প্রতিবাদী চরিত্রের প্রকাশ। তিনি ন্যায় বিচার এবং সততার দৃষ্টান্ত সকল ক্ষেত্রেই স্থাপন করে আসছেন আমাদের আগামীর জন্য। দলে এখনো যে সন্ত্রাসী ও ষড়যন্ত্রকারী মনোভাবাপন্ন মানুষগুলো রয়েছে তাদের চরিত্রের পরিবর্তন দরকার এবং শেখ হাসিনাময় প্রতিমুর্তিতে মুর্তিমান হওয়া দরকার। দলীয় আদর্শ এবং শৃঙ্খলায় এক পরিবারের ঐক্য বজায় রেখে আরাফাতের ময়দানের আরাফাতি ভাইদের মতই দৃঢ় মনোবল ও ভালোবাসা, মমতা এমনকি সারল্যে ঐক্যবদ্ধ সম্পৃতি বজায় রেখে একে অন্যের পরিপুরক হয়ে কাজ করাই যুগের চাহিদা এবং সময়ের দাবি। যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেখিয়ে এবং শিখিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিটি নেতা-কর্মী বর্তমান থেকে শিক্ষা এবং দিক্ষা নিয়ে আগামীর উন্নয়নের সুফল ঘরে তুলতে প্রস্তুত হউন।
এই কেয়া চৌধুরীর মত মনোবল, সাহস এবং সততা ও ভালবাসা মিশ্রিত রাজনীতি উপহার দিন। ভেঙ্গে না পড়ে এগিয়ে যান উপকারভোগীদের তরে। ফলাফল ঘরে আসবেই। উন্নয়নের সুফল সমান্তরালভাবে ভোগ করবে সমাজের সকল স্তরের মানুষ। কেয়া চৌধুরীর উপর যে অন্যায় করা হয়েছিল তার থেকে শিক্ষা নিন। আর নয় সন্ত্রাস, আর নয় অন্যায়, আর নয় হানাহানি-বিবেদ। সবাই মিলে-মিশে নৌকার মাস্তুলে লাগা হাওয়া স্বর্গীয় আবেশে চলমান রাখি। আগামী নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিজয় সুনিশ্চিত করি। দলীয় ঐক্য বজায় রাখি। ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। নেত্রীর আশির্বাদ এবং জনবান্দব নেতা নিবাচন করার লক্ষ্যে এগিয়ে যায়। ষড়যন্ত্রকারীদের কড়া পাহাড়ায় রেখে দলীয় আদর্শ ও ভালবাসায় এগিয়ে যেতে হবে। কোন ষড়যন্ত্রই যেন আর বিবেদ সৃষ্টি করতে না পারে তার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। জয় হউক বঙ্গকন্যা শেখ হাসিনার এবং বিজয় সুনিশ্চিত হউক বজ্রকন্ঠী জনতার নেত্রী ও কন্ঠস্বর কেয়া চৌধুরীর।

Leave a Reply

Your email address will not be published.