তাজুল ইসলাম নয়ন॥ গত ৬/১২/২০১৭ইং রোজ বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেম এ উদ্ভোধন হলো ডিজিটাল ওয়াল্ড ২০১৭। কালের সাক্ষি হিসেবে আমি সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম আই সিটি ডিভিশন এর আমন্ত্রণে। সৌভাগ্য হয়েছিল মাননীয় প্রধান মন্ত্রী, আমার নেত্রী, জাতির অভিভাবক, বিশ্ব মানবতার মা, উন্নয়নের ¯্রােতস্বীনি, উন্নত মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে বিশ্বে মাথা উঁচু করে দাড়ানোর অনুঘটক বাংলাদেশের জন্মদাতা, জোলিওকুড়ি, সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ বাঙ্গালী, বাঙ্গালীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর যোগ্য উত্তরসূরী তনয়া বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ঔরসজাত সন্তান বাংলাদেশের সৎ, কর্মঠ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে খুব কাছে থেকে দেখা এবং তার ঐতিহাসিক কালজ্বয়ী নেতৃত্ব ও উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণের রূপকথা শোনার। যা উন্নয়নের রোডম্যাপ হিসেবে পরিচিত এবং আজকের চলামান উন্নয়ন প্রক্রিয়ার শেষ প্রান্তে পৌঁছার দ্বাড়প্রান্তে। মন-প্রাণ উজাড় করে আরো জানলাম কখন, কিভাবে এবং কাদের দ্বারা নিশ্চিত হয়ে তিনি এই পরিকল্পনা নিয়েছিলেন এবং জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। তবে সেই আজ থেকে ৯ বছর আগের কথা। যখন তিনি সেই স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন এবং ঘোষণা দিয়েছিলেন স্বপ্ন বাস্তবায়নের; তখন হয়ত কেউ কল্পনাও করতে পারেনি আজকের এই অবস্থানের কথা। কেউ কেউ হেসেছিলেন এবং তমাসাচ্ছলে বিভিন্ন কথা বলেছিলেন; কেউবা আবার কটুক্তিও করেছিলেন।
কিন্তু সকল জল্পনা ও কল্পনাকে পেছনে ফেলে স্বপ্নপূরনের বাস্তবতা এখন দৃশ্যমান এবং বিশ্বে এর স্বীকৃতিস্বরূপ উন্নয়ন রোল মডেল হিসেবে জয়জয়কার আওয়াজ ওঠেছে। বিভিন্ন বক্তার স্তুতি গাওয়া, প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা এমনকি আগামী দিনের চাওয়া ও পাওয়ার চাহিদার কমতি ছিলনা। কিন্তু বক্তাদের কথায় প্রমানিত হয়েছে চাওয়ার আগেই সব কিছু দিয়ে দেয়া হয়েছে… সুতরাং চাওয়ার আর কিছুই অবশিষ্টাংশ নেই। জনাব মোস্তফা জব্বার তার সাবলিল ও প্রাঞ্জল হৃদয়গ্রাহী তথ্যনির্ভর বক্তব্যের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টিআর্কষণ করানোর কমতি ছিল না। ধন্যবাদ মোস্তফা জব্বার ভাইকে, বেসিসের পক্ষ থেকে মুল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ যুগের চাহিদানুযায়ী গোছালো বক্তব্য উপস্থাপনের জন্য। জনাব এনাম আহমেদ চৌধুরী, সুবির চৌধুরীসহ বিভিন্ন বক্তার স্বীকারোক্তিই যেন আমাদের আগামী দিনের ইতিহাসের দলীল। মাননীয় পুলক ভাই যিনি আইসি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রির দায়িত্বে নিয়োজিত থেকে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর উপদেষ্টা জনাব সজিব ওয়াজেদ জয়ের ডিজাইন ও পরামর্শ বাস্তবায়িত করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন আগামীর জন্য। তিনি তার নান্দনিক উপস্থাপনা দিয়ে চলমান উন্নয়নের রূপরেখাকে আরো বিস্তারিতভাবে দৃশ্যমান করেছেন। জনাব পুলক ভাইকেও তাঁর অক্লান্ত পরিশ্রম ও ত্যাগের জন্য ধন্যবাদ জানাই। বক্তাদের বক্তব্য এবং উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ প্রধান মন্ত্রীর বক্তব্য সবই ইতোমধ্যে প্রকাশিত, প্রচারিত এবং মিডিয়ায় ভাইরাল হিসেবে বিবেচিত। তারপরও কিছু উদৃতি এখালে উল্লেখ করতে চাই। মোবাইল টেলিফোন সহজীকরণ এবং কম পয়সায় জনগণের দৌঁড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়া, টিএন্ডটি ফোনকে সমগ্র বাংলাদেশে ডিজিটাল করা, ইন্টারনেট সারা দেশে কম পয়সায় ছড়িয়ে দেয়া। স্কুল, কলেজ, এবং গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ইউনিয়ন পর্যায়ে ডিজিটাল ডাটা এবং ইনফরমেশন সেন্টার স্থাপন করে বিশ্বকে হাতের মুটোয় এনে দিয়েছেন আজকের শেখ হাসিনার সরকার। শেখ হাসিনার সরকারের পুর্বে যারা ছিলেন তারা এই উদ্ভাবনী শক্তির চিন্তা বা পরিকল্পনা নেয়ায় বিভিন্নভাবে অক্ষমতা ও অপারগতা প্রকাশ করে নিজেদেরকে অনুন্নয়নের দেউলিয়াত্বে ভাসিয়েছেন। প্রমান করেছেন তারা অন্ধকার যুগের বা আইয়্যামে জাহেলিয়াত যুগের নরাধম বা নরপশু। আলোকিত সমাজের যারা ছিলো তাদের সঙ্গে তাদের টুটি চেপে ধরে অন্ধকারে নিজজ্জিত রেখেছেন।
আজকের এই অবস্থানে থ্রিজি ও ফোর জি চালু হওয়া এবং বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়, তথ্য আদান-প্রদান, সেকেন্ড এ সমাধান, একজন আরেক জনকে দেখে কথা বলা এবং কর্মকান্ড সম্পাদন করা কারো চাওয়ার এমনকি দাবির কারণে হয়নি। হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর উপদেষ্টা তথ্য প্রযুক্তিবিদ জনাব সজিব ওয়াজেদ জয় ভাইয়ের চিন্তা, পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের ফলে। আমার কাছে মনে হলো ‘মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি। তবে সামনের দিকে আরো এগিয়ে যাওয়ার যে দৃঢ় প্রত্যয় ও বাস্তববাদী স্বপ্নপুরনের প্রসস্থ উন্মুক্ত পথ খুলে দিয়েছেন তা আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যত প্রজন্মেরই নয় বরং আগামীর নতুন প্রজন্মের জন্যেও। ডিজিটাল ওয়াল্ড ২০১৭ উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানটি উদ্ভোধন করা হয় একটি স্লোগান উচ্চারণের মাধ্যমে। আর সেই স্লোগনটি হলো রেডি ফর টুমরো (আগামীর জন্য প্রস্তুত হও)। চমৎকার শব্দচয়ন যা অল্প কথায় বিশাল ব্যাপ্তি বহন করে। যার কোন শেষ নেই। কি চমৎকার এই পরিকল্পনা যা পৃথিবী যতদিন টিকে থাকবে ততদিন এই পরিকল্পনার অগ্রসর চলমান থাকবে।
বর্তমান অভিভাবকের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে আমাদের অহংকার ও গর্ব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে চমক এবং এর বাস্তব রুপ দৃশ্যমান আকারে দেখিয়ে যাচ্ছেন তা ঐতিহাসিক দলিল আকারে স্বর্ণাক্ষরে লিখিত থাকবে হ্রদয়ে, মননে এবং বাস্তব কর্মকান্ডে এমনকি আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে। ইতোমধ্যে তিনি সকল স্বিকৃতী পেয়েছেন এবং সবই বাংলাদেশের কল্যাণে তিনি উৎসর্গও করেছেন। তিনিতো ৭১ অতিক্রান্ত করতে যাচ্ছেন। তার এই ৭১ বছরের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ বছরগুলো হলো ২০০৮ থেকে শুরু করে আগামী দিনগুলো…..। ২০০৮এর পুর্বে তিনি পরিকল্পনা করেছেন এবং নেতিবাচক দিক সুনিদৃষ্ট করে ইতিবাচক আবরণে ফলাফল ঘরে তোলার কৌশল শিখেছেন এবং জাতিকে শিখিয়েছেন। যা এখন বিশ্ববাসী শিখে সামনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। তিনি ( শেখ হাসিনা ) সকল অর্জন এবং পরিকল্পনা ও এর বাস্তবায়ন আগামীর জন্য করে রেখে যাচ্ছেন যেন জাতি প্রস্তুতি নিতে পারে এই উদ্ভোধনী স্লোগানের নিম্মিত্তে। তিনি নাতি, পুতিদের জন্যও অধ্যধিকার ভিত্তিতে এই চলমান উন্নয়ন প্রকৃয়াকে উন্মুক্ত করে রেখে যাচ্ছেন। তাঁর বক্তব্য এবং কর্মপরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের গতি এতই প্রবল শ্রোতের চেয়ে বেশী। কারণ তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন; নিজের শরীর এবং সুখ স্বাচ্ছন্দ বাদ দিয়ে দেশবাসীর সেবা করে যাচ্ছেন। যার প্রমাণ তিনি নিজে। ৭১ বছর বয়সেও তিনি চিরযুবা এক নবিনা। তাকে কাছ থেকে দেখে আমার খুব মমতা হয়েছিল এই পরিশ্রান্ত এবং ক্লান্ত এক বুকভরা ভালবাসা যেন সবসময় শুধু মানুষের কথা ভেবে নিজের সবই বিসর্জন দিয়ে যাচ্ছেন। আমরা এর কতটুকুই মুল্যায়ন করতে পারি। আমার মায়া হয় তাঁর জন্য এবং এই ভেবে দোয়া করি যেন তিনি দীর্ঘজীবি হউন। কারণ এই জাতির তাকেই দরকার। আমি ৪৬এসে প্রায়ই ক্লান্ত হয়ে পড়ি। কিন্তু তিনি কখনো ক্লান্ত হননি কারণ তিনি তাঁর বাবার অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে সকল কিছু উজার করে দিয়েছেন। আমরা তাঁর জীবন এবং কর্ম ও দেখানো এমনকি শেখানো পথ অনুসরণ করে নিজেদেরকে প্রস্তুত করি আগামীর জন্য। আর যদি এটা করতে পারি তাইলে প্রধানমন্ত্রীর সকল ত্যাগ সফল হবে।
বাংলাদেশ এগিয়েছে এটা আরেকটিবার প্রমান করেছে সুফিয়া। সৌদি নাগরিক রোবট নারি সুফিয়া বাংলাদেশ এবং এই দেশের উন্নয়ন এমনকি প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবার সম্পর্কে যা বলেছেন তা সত্যিই চমৎকার ও যথোপযুক্ত। সুফিয়ার আগমনে বাঙ্গালী গর্বিত কারণ অতি অল্প সময়েই আমাদের দেশের তরুন এই সুফিয়ার চেয়ে বড় কিছু করে দেখাবে। সুফিয়ার উত্তরে যা বেরিয়েছে তা বাস্তবায়িত হয়েছে এখন আরো যা পৃথিবী দেখেনাই তা দেখার অপেক্ষায় বিশ্ব। তবে বাংলার তরুন সমাজ তা করে দেখানোর নিমিত্তেই এগিয়ে যাচ্ছে শেখ হাসিনা ও সজিব ওয়াজেদ জয়ের হাত ধরে।
জনাব সজিব ওয়াজেদ জয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা তাঁর পরিকল্পনা, লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য বাস্তবায়নার্থে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন মাধ্যমে বলেও যাচ্ছেন। ৭/১২/২০১৭ তারিখে একই ভেন্যুতে মিনিষ্ট্রিয়াল কনফারেন্স অনুষ্ঠীত হয়। কাছ থেকে এই অনুষ্ঠান প্রত্যক্ষ করার সুযোগ ও আমার হয়েছে। আমি জনাব জয় সাহেবের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য শুণে ও পরিসংখ্যান দেখে আরো মুগ্ধ। বলতে চাই তোমাকেই খুজছে দেশ। তোমারই দরকার ভাই। তারুন্যের, পৌড়ের, যৌবনের এবং আগামীর নাতি-পতিদের। তাই তোমার প্রয়োজনে কথা দিয়েছিলাম আছি, থাকবো এবং এগিয়ে নিয়ে যাব সকল সময়। আমাদের অহৎকার ও বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরী সজিব ওয়াজেদ জয় যে বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন এবং বাস্তব পরিসংখ্যান দিয়ে বুঝিয়েছেন তা সত্যিই চমৎকার। এককথায় উন্নয়নশীল থেকে উন্নত দেশে পরিণত হতে আর কি দরকার। সবইতো অর্জিত হয়েছে, এখন শুধু ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে এগিয়ে গেলেই হবে। বিভিন্ন জনের প্রশ্নের আলোকে যে উত্তর দিয়েছেন তাও বিজ্ঞতা, প্রাজ্ঞতা এবং বুদ্ধিমত্তার উর্বর ছাপ রেখেছে। এক কথায় মুগ্ধ উপস্থিত হল ভর্তি জ্ঞানী, গুণী এবং দেশী বিদেশী সকল মহল। সবচেয়ে মজার বিষয় হলো দেশীয়দের আগেই বিদেশী অতিথিরা হাত তালি দিয়ে জয় তথা বাংলাদেশকে সম্মানীত ও সমর্থন যুগিয়েছেন, প্রশংসা করেছেন এবং উৎসাহও যুগিয়েছেন। আমি লক্ষ্য করেছি আরো যারা বক্তব্য দিয়েছেন বিদেশী মন্ত্রীমহোদয়গণ, পর্যায়ক্রমে- ভূটান, কম্বোডিয়া, কঙ্গো, মালদ্বিপ, ফিলিপাইনস এবং সৌদি এরাবিয়া। সবাই সবার দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরেছেন, এককথায় বলা যায় সবাই যেন বাংলাদেশ এর উন্নয়ন পরিকল্পনাই মুগ্ধ হয়ে এই দেশের পরামর্শক এবং প্রাতিষ্ঠানিক সেবা নিতে উদগ্রীব। ইতোমধ্যে অনেক বাংলাদেশী প্রতিষ্ঠান ঐ সকল দেশে কাজও শুরু করে দিয়েছে।
আমি গর্বিব এই সজিব ওয়াজেদ জয়ের বক্তব্যে এবং প্রাঞ্জল হাসি এমনকি ন¤্রতা ও বিনয়াবনত ব্যবহারে। জনাব পোলক ও উপস্থাপক এর ভুমিকার প্রশংসা করা ছাড়া কোন উপায় থাকে না। আশা করি আগামী দিনে এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে। আমি আশা করি এই ঐতিহাসিক পরিকল্পনা ও এর বাস্তবায়নের ধারাবাহিক ও পর্যায়ক্রমিক ফলাফল দেশ তথা সমগ্র বিশ্বকে জাগিয়ে তুলবে আগামী দিনের বাংলাদেশকে আরো সম্মান ও শ্রদ্ধা করার ক্ষেত্রে। পরিশেষে কালের স্বাক্ষী হিসেবে আরেকটি বিষয় আশা করতে পারি বা দাবিও করতে পারি; যেহেতু সজিব ওয়াজেদ জয় আমাদের ভবিষ্যত কান্ডারী সেহেতু দু’একটি মুছাফা বা (হ্যান্ড স্যাক) এমনকি ব্যক্তিগত আলাপ করলে আরো ভালো হবে। তবে সিকিউরিটির বিষয়টি বিবেচ্য তবে যারা আমন্ত্রীতি এবং উপস্থিত তারা সবাই কঠিন সিকিউরি অতিক্রম করেই হাজির হয়েছে। আজ দেখলাম অনেক পুর্ব পরিচিত এবং কাছের বন্ধুও জয় ভাইয়ের সাক্ষাতের বা হাই বলতে মঞ্চের দিকে এগিয়ে গিয়েছিলেন কিন্তু পাহাড়া বেষ্টিত হয়ে জয় ভাই চলে গেলেন। হয়ত সকলের সঙ্গে তাদেরও একটু মন খারাপ অনুভুতি জেগেছিল। আমি দেখি অনেক আপনজনই নিরাপত্তা জনিত কারলে পর হয়ে যায়। ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকা ও চোখের ভাষা আদান প্রদান ছাড়া আর কিই বা করার। আমাদের মধ্যেইতো মিরজাফরেরা জেগে উঠে।
সবশেষে শুরু এইটুকুই বলব এগিয়ে যাচ্ছে দেশ এবং প্রযুক্তি। বাংলাদেশ আর আগের মতো ৬০/৪০/২০ এমনকি এক বছরেও পিছিয়ে নেই। সকল দিকেই সমান গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে। ধারাবাহিকতা ও স্থিতিশীলতার বাজারে এখন দরকার সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষা করা। এই ধারাবাহিকতা রক্ষার হাতিয়ার জনগণ। তাই জনগণের প্রয়োজনেই এই সরকারের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। যেমন মা তেমন ছেলে। মায়ের মতো ছেলেও দেশের জন্য আরাম-আয়েশ, ভোগ-বিলাস ত্যাগ করেছেন, বিসর্জন দিয়েছেন ব্যক্তিগত সময়ের চাওয়া পাওয়াকে। নিজের পরিবার, ব্যবসা এবং বন্ধুত্বের বন্দন ত্যাগ করে দেশের জন্য ছুটে আসেন, কাজ করেন এবং করান ও ফলাফল গড়ে তুলেন। হিসেব নিকেশ পরিপূর্ণ করেন। লোভ-লালসার উদ্ধে উঠে সমালোচকের সমালোচনায় কান না দিয়ে একনিষ্টভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়ন সমান তালে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। শারিরীক সক্ষমতা এবং গঠনই প্রমান করে কতো কঠোর পরিশ্রমী এবং চিন্তাশীল ব্যক্তি সজিব ওয়াজেদ জয়। আমরা যখন অলস থাকি তখন আমাদের মাঝে শয়তানের আক্রমণ হয় এবং অনেক খারাপ কাজ করি এমনকি নিজের শরীরকে ফুলিয়ে ফাপিয়ে মানুষের মাঝে হাম্বরা ভাবের আদান প্রদান করি। কিন্তু যারা, সৎ কর্মঠ এবং পরিশ্রমী ও নিরলস তাদের শরীরই প্রমান করে দেয় সকল কাজের এবং বাস্তবতার। শেষান্তে বলি সরকারের ধারাবাহিকতার বিকল্প নেই; আর তাই এই দায়িত্ব এখন জনগণের। সরকারে থেকে তারা প্রমান করেছে তাদের কাজ ও যোগ্যতা দিয়ে। যে দায়িত্ব জনগণ দিয়েছে তা মর্যাদার সঙ্গেই পালিত হয়েছে এবং জনগণ এর সুফল ভোগ করে যাচ্ছে। তাই জনগণ এখন আবারো প্রমাণ করুক চলমান ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখে যেন আগামী দিয়ে আরো গতীশিল উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন এমনকি ফলাফল প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌঁছুক।
ধারাবাহিকতা বিহিন পরিণতির কথা সবারই মনে আছে, টিউলিপ কম্পিউটার নামকরণের জন্য নরওয়ের দেয়া অধ্যেক মুল্যের ১০০০০ কম্পিউটার এর চুক্তি বাতিল ও ৩১কোটি টাকার ক্ষতিপুরন দেয়া। সাবমেরিন ক্যাবল এর সুযোগ প্রত্যাখ্যান করা, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে দুর্নীতির তথ্যচিত্র প্রকাশিত হওয়া। সদ্য সৌদি আরবের অবৈধ ব্যবসা প্রকাশিত হওয়াসহ সবই এখন জনগণের চোখের সামনে ভাসমান। তাই প্রতারিত হওয়া থেকে সাবধান। বিভিন্ন প্রতারণা ও নগদায়নের হাত থেকে নিজেকে এবং নিজের অধিকার ও ভাগ্যকে যেন আর বঞ্চিত না করি। নিজের অধিকার আদায় করি এবং উন্নয়ন ধারাবাহিকতার লক্ষ্যে সরকারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখি। এই অবিস্মরণীয় লক্ষ্যের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও তীহ্মœ দৃষ্টি দিয়ে চিন্তা ও কাজের সমন্বয় ঘটিয়ে এগিয়ে যেতে হবে আগামির প্রস্তুতির জন্য ( রেডি ফর টুমরো)। এই স্লোগানের সাফল্য ও ধারাবাহিকতা অব্যাবহত থাকুক এবং বাস্তবায়নকারীরা জনগণের দৌঁড়গোড়াই থাকুক এই কামনা করে ইতিহাসের স্বাক্ষী এবারের মত শেষ করলাম।