মাতুব্বরি করা স্কুল ম্যানেজিং কমিটির কাজ নয়…শিক্ষামন্ত্রী

নয়ন॥ শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘মাতুব্বরি করার জন্য স্কুল ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়নি। সুষ্ঠুভাবে স্কুল পরিচালনার জন্য ম্যানেজিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। যারা পড়াশোনার সঠিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবেন না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ গত মঙ্গলবার রাজধানীর স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে আয়েজিত ‘দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নে সরকারি বাজেট বৃদ্ধি’ বিষয়ে চাইল্ড পার্লামেন্টের ১৩তম অধিবেশনে ক্ষুদে সাংসদদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।                                                                                                                                                                  nahid speach managing committee
বিশুদ্ধ পানির সঙ্কট এবং টয়লেটের দূরাবস্থা তুলে ধরে চাইল্ড পার্লামেন্টের সাংসদরা বলেন, অফিসার এবং ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা পরিদর্শনে এলে স্কুলের পরিস্থিতি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো কথা বলেন না। এমনকি ভালো-মন্দের খোঁজখবরও নেন না। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললে সমস্যাগুলো তাদের সামনে তুলে ধরা যেতো।
চাইল্ড পার্লামেন্টের সদস্যদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শিক্ষামন্ত্রী তার বক্তৃতায় ম্যানেজিং কমিটি সম্পর্কে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, ‘আপনারা যদি কাজ করতে না পারেন, তাহলে দায়িত্বে থাকার দরকার নেই। আজকে আমি গণমাধ্যমের সাহায্যে প্রতিটি স্কুলের ম্যানেজিং কমিটিকে জানিয়ে দিচ্ছি, যে সকল প্রতিষ্ঠান শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে পারবে না, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রয়োজনে নিজে গিয়ে ওইসব প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করবো।’
প্রতিটি স্কুলের ম্যানিজিং কমিটিকে এ বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, ‘ভালো মানের শিক্ষার জন্য সুষ্ঠু পরিবশে জরুরি। টয়লেট ও নিরাপদ পানির ব্যবস্থা সুষ্ঠু পরিবেশের প্রধান উপাদান।’
সেভ দ্য চিলড্রেন বাংলাদেশ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ, বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমি যৌথভাবে ১৩তম চাইল্ড পার্লামেন্টের আয়োজন করে। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য নুরজাহান বেগম মুক্তা। চাইল্ড পার্লামেন্টের অধিবেশনে স্পিকারের দায়িত্ব পালন করেন হাসান মাহমুদ, ডেপুটি হিসেবে ছিলেন মিফতাহুন নাহার এবং শাহরিয়ার হৃদয়।
এতে প্রতি জেলো থেকে একজন এবং ২০টি বিশেষ অঞ্চল (চরাঞ্চল, পাহাড়ি, উপকূল ইত্যাদি) থেকে পার্লামেন্টের ৮৬ জন সদস্য যোগ দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.