টিআইএন॥ ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০১৭ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নারী রোবট সোফিয়ার সঙ্গে কথা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। প্রায় ২ মিনিটের কথোপকথনে একজন আরেকজনের খোঁজখবর নেন। প্রধানমন্ত্রী তাকে কয়েকটি প্রশ্ন করেন। সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর দেন সোফিয়া।
আজ ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে সোফিয়াকে নিয়ে দুটি সেশন করা হবে। প্রথম সেশনে দেশের পলিসি মেকার এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে তার বৈঠক হবে। দ্বিতীয় সেশনে থাকবে তরুণ গেম ডেভেলপার, সফটওয়্যার ডেভেলপার, অ্যাপ ডেভেলপার ও উদ্ভাবকদের সঙ্গে আলোচনা। এছাড়া আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে ড. ডেভিড হ্যানসন মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।
সোফিয়া কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নারী রোবট। সে নানা বিষয়ে অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। ওয়াই-ফাই নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিশাল তথ্য ভান্ডারে যুক্ত থাকে সে। এছাড়া মানুষের সঙ্গী ও সহযোগী হিসেবেও কাজ করতে পারে সোফিয়া।
বিশ্বের প্রথম নাগরিকত্ব পাওয়া রোবট সোফিয়া চমক দেখালো ঢাকায় এসেও; প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সে জানাল, বাংলাদেশ সম্পর্কে সে কতটা জানে।
প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল ওয়াল্ডের উদ্বোধন ঘোষণার পরপরই হলুদ-সাদা জামদানির টপ আর স্কার্ট পরে মঞ্চে এল হলিউড অভিনেত্রী অড্রে হেপবার্নের চেহারার আদলে তৈরি রোবট সোফিয়া। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পরনেও ছিল হলুদ শাড়ি।
৫ ফুট ৪ ইঞ্চি উচ্চতার সোফিয়াকে তৈরি করেছে হংকংয়ের হ্যানসন রোবোটিকস। মানবীর আদলে তৈরি এই রোবট প্রশ্ন শুনে ইংরেজিতে তার উত্তর দিতে পারে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে সে কণ্ঠ ও চেহারা শনাক্ত করতে পারে; বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে ক্রমাগত বাড়িয়ে নিতে পারে নিজের জ্ঞান।
গত অক্টোবরে রিয়াদে ফিউচার ইনভেস্টমেন্ট ইনিশিয়েটিভ শীর্ষক এক সম্মেলনে সোফিয়াকে দেওয়া হয়েছে সৌদি আরবের নাগরিকত্ব। বিশ্বের কোনো দেশে রোবটকে নাগরিকত্ব দেওয়ার এমন ঘোষণা এটাই প্রথম।
চার দিনের ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডে যোগ দিতে সোমবার মধ্যরাতে ঢাকায় আসে সোফিয়া। তার চালক হংকং পলিটেকনিক বিশ্ববিদ্যালয়ের জিওভানি লায়নও সঙ্গে আসেন। ডিজিটাল ওয়াল্ডের প্রথম দিন বুধবার বেলা আড়াইটা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত সোফিয়াকে রাখা হয় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে। সেখানে ‘টেক-টক উইথ সোফিয়া’ শীরোনামে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেয় সে।
এর ডিজাইনার ডেভিড হ্যানসন সোফিয়ার কারিগরি দিক নিয়ে বক্তৃতা দেবেন সেখানে।
সৌদি নাগরিক সোফিয়ার বুধবারই ঢাকা ত্যাগ করে।
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে দেশের তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়ন ও সক্ষমতা তুলে ধরতেই এ আয়োজন। আয়োজন করেছে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগ। এ ছাড়াও আয়োজনে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সহযোগী হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়ার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই প্রকল্প।
এ ছাড়াও পার্টনার হিসেবে রয়েছে- বাক্য, বিসিএস, ই-ক্যাব, বিআইজেএফ, বিবিআইটি, বাংলাদেশ ইনোভেশন ফোরাম এবং সিটিও ফোরাম। এ প্রদর্শনী চলবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে।