কি ভেবে শহীদ বেদীতে খালেদা

তাজুল ইসলাম নয়ন॥ গত কয়েক বছর রাষ্ট্রীয় কোন অনুষ্ঠানে যাওয়া থেকে বিরত ছিল বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া। শুধু তাই নয়; তারই প্রীয় সেনাবাহিনীর সশ¯্রবাহিনী দিবসের গত অনুষ্ঠানেও তিনি হাজির হননি। তবে কি কারনে আজ শহীদ বুদ্ধিজীবিদের প্রতি স্মৃতি জানাতে শহীদ বুদ্ধিজীদের স্মৃতিসৌধে উপস্থিতি হয়েছেন তা কেউ জানেনা। শ্রদ্ধা জানাতে না লোক দেখাতে? কিন্তু একটা বিষয় হরহামেশাই বলা যায় মিডিয়াই নিজেকে প্রকাশ করতে তিনি গিয়েছিলেন। মিডিয়াবিমুখ বা অন্ধকার কুটিরে থাকতে থাকতে মানুষতো তিনাকে প্রায় ভুলে যেতেই haleda in marters memory placeবসেছে। তিনি যদিও আগে নাপাক ছিলেন কিন্তু এখন এই বয়সে নাপাকত্ব ধরে রেখেছেন কিনা তা জানিনা। তবে এই বিষয়টি জানি যে, বুদ্ধিজীবিদের হত্যার পেছনে তিনারও মদদ ছিল। কারন তিনিতো তখনো ছিলেন সেই পাকিস্থান আর্মীর সয্যসঙ্গি।
যাক সেই কথা পাপের প্রায়শ্চিত করতে যদি তিনি অনুতপ্ত হয়ে সেখানে গিয়ে থাকেন তাহলে ভাল। আর জাতির কাছে যদি ঘোষণা দিয়ে ক্ষমা চেয়ে যেতেন তাহলে আরো ভালো হতো। কারন বিগত বছরগুলোতে না যাওয়ার অপরাধ মোচন হতো বলে আমি মনে করি। কারণ তিনিতো সাধারণ কেউ নন। যদিও তিনি ঐ পদের যোগ্য ছিলেন না তথাপি খোদার কুদরতের মহাবদৌলতে বাংলাদেশের তিন তিনবারের প্রধান মন্ত্রী ছিলেন। তাই সেই শ্রদ্ধা এবং সম্মান বোধ থেকেই তার যাওয়া উচিত ছিল বিগত বছরগুলোতে। তবে না যাওয়ার বেদনা থেকে যদি এইবার গিয়ে থাকেন তাহলে মন্দের চেয়ে ভালো হয়েছে ধরে নেয়া যায়।
একটি বিষয় অবলোকন করতে চাই যে, তিনি বা তিনারা যে অভিযোগ প্রায়শই করে থাকেন সরকার বা সরকারের বাহিনীগুলো তাকে বাধা প্রদান করেন বা তার নিরাপত্তা দিতে নারাজ থাকেন সেই অভিযোগ এই যাত্রায় মিথ্যা হিসেবে প্রমান করে দিয়েছেন তিনি নিজেই । যারপরনাই যত্র-তত্র অভিযোগও তিনি নিজেই খন্ডন করেছেন এই বুদ্ধিজীবি স্মৃতিস্তম্ভে গিয়ে। যাক সবই আল্লাহর ইচ্ছা। এখন তার সুমতিতে আগামীর প্রত্যাশা উন্মুক্ত হউক, জাতির ভাগ্যাকাশ থেকে অভিষাপ মুচিত হউক। জাতির ভার্গ্যাকাশে উদিত হউক নতুন মঙ্গলালোক ভোরের সুর্য। এই সুর্য্যই এখন শেখ হাসিনার যাদুময়ী স্পর্শে এগিয়ে যাচ্ছে এবং যাবে বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.