তাজুল ইসলাম নয়ন॥ সদ্য সমাপ্ত হওয়া ডিজিটাল ওয়াল্ড এর চমক সুফিয়াকে নিয়ে তেনম কিছু করার বা বলার না থাকলেও একটি বিষয় ইদানিং স্যোসাল মিডিয়ার পরিলক্ষিত হচ্ছে যা খুবই দু:খজনক এবং নিলজ্জ¦ মিথ্যাচারের সকল স্বীকৃত ইতিহাসকেও হাড় মানিয়েছে। যার ফলশ্রতিতে বলা যাচ্ছে মিথ্যাচারই যাদের আজন্ম স্বভাব তাদের আর কিইবা করার থাকে বৈকি। সোফিয়াকে আনতে বাংলাদেশ সরকারের এক পয়সাও খরচ হয়নি। যেখানে সরকারী খরচ শুন্য সেখানে কিভাবে এই নিলজ্জ্ব মিথ্যাচার? যারা এই ঘৃণ্য ও অন্তশ্বারশুন্য মিথ্যা বুলি আওড়াচ্ছেন তাদের জন্মটাই বেদনার, হতাশার, অন্ধকারের এবং মনোজগতের বাইরের কোন অদৃশ্য শক্তিদ্বারা আচ্ছন্ন অযাচিত, বেপোরোয়া এমনকি দিক-নির্দেশনাহীন জীবনের বিষাদে ক্লান্ত। এখন চোখে ও মুখে কোনকিছু দেখার আর অবশিষ্ট না থাকায় একটি রোবর্টকে নিয়েও মাতামাতি। বাংলার রাজনীতিকে যে কোথায় নিয়েগিয়েছিল ঐসকল অন্তস্বারশুন্য মানুষগুলো তা আর বোঝার বাকি নেই কারো।
দেশের জন্য ইতিবাচক এবং দ্রুত কিছু করার এবং দেখার প্রত্যয়ে অঙ্গিকারাবদ্ধ সরকার। আর দেশকে অন্ধকারে ঠেলে দিয়ে ক্ষমতা দখলের পায়তারায় ব্যস্ত ঐসকল অন্ধ, ও কুরুচিসম্পন্ন মানুষগুলো। যদিও তাদের লজ্জা নেই এবং ছিলও না; সেই তাদেরকে নিয়ে বিবেকবান এবং জ্ঞানী মানুষগুলো আর এখন ভাবছে না এমন ভাবধারা নিয়ে এগুচ্ছে। কিন্তু এই জঘন্ন বিকৃত তথ্য প্রচারকারী বিভ্রান্ত পাকিপন্থী রাজাকার শাবকদের বিরুদ্ধে ইতিবাচক এবং তথ্যবহুল প্রচারনা চালানো এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়াটাও জরুরী।
রোবট সোফিয়াকে বাংলাদেশে আনা একটি যুগান্তকারী বৈপ্লবিক ডিজিটাল আবিস্কার। যার ফলোশ্রুতিতে তরুন প্রজন্ম উৎসাহিত ও অনুপ্রাণীত হয়েছে। বাংলা ছাপার মেশিন বা প্রেস মেশিন যার নাম ট্রেডেল মেশিন; যাকে দেখতে এই জাতিকে ৬৮ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল। কিন্তু আজ আমরা আবিস্কারের দুই মাসের মাথায় দেখতে, ছুতে এবং কথা শুনতে পেয়েছি শুধু সুধুরপ্রসারী যুগান্তকারী চিন্তা এবং কর্মের ফলে।
সোফিয়া ইভেন্টের খরচ বা ডিজিটাল ওয়াল্ড উদ্ভোধন অনুষ্ঠানের খরচ কিন্তু সরকার বহন করে নাই। বহন করেছে বেসরকারী বিজ্ঞাপন দাতাদের কাছ থেকে বা স্পন্সরের কাছ থেকে টাকা নিয়ে। যে টাকা খরচ হয়েছে তা বহন করেছে অন্যান্য স্পন্সর কোম্পানীগুলো। পুরো ইভেন্টোর নব্বই লক্ষ টাকা (৯০০০০০) স্পন্সর কোম্পানীগুলোর মধ্যে একটি স্বনামধন্য ব্যাংক বহন করেছে। আমাদের কাছে ঐসকল কোম্পানীর কে কত টাকা দিয়ে স্পন্সর করেছে সেই তালিকাও আছে।
নাগরিক ঐক্য নামক স্বঘোষিত গাধা জাতীয় নেতা জনাব মান্নাকে এবং বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম সহ সকলকেই বলছি আর মিথ্যা বলে বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে ইতিবাচক অবস্থানে ফিরে আসুন নতুবা যা অবশিষ্ট আছে তাও খুবই অল্প সময়ে হারিয়ে ফেলবেন। জনতার নামে আর কোন দাম্বিকতা বা আগামীর অস্ফালন দেখাতে যেয়ে নিজের বিপদ সময়ের আগে ডেকে আনবেন না। আশা করি বাস্তবতা কি তা জানেন কিন্তু মিথ্যার ফাদে যে পা দিয়েছিলেন তা আর যদি বের করে আনতে না পারেন তাহলে বলার কিছুই নাই। সবই অন্ধকারের আস্তাকুড়ে শেষ হয়ে যাবে। কখনো আর ফিরে আসবে না এই ঘুর্ণায়মান সমাজের বাতায়নে।