খানাখন্দে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এখন উন্নয়ন আক্রান্ত

তাজুল ইসলাম নয়ন॥ আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সর্বগুণে গুণান্বিত এবং সর্ব সৌন্দয্যে মহিমান্বিত। আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া গুড়ে আসুন প্রায়শই আমরা গর্ব করে বলি। কিন্তু এই খানা-খন্দ ও উন্নয়ন আক্রান্ত শহরের করুন পরিণতি আর অন্তত ১ থেকে দেড় বছর মানুষকে না দেখার জন্য অনুরোধ করছি। প্রতিটি রাস্তা জন এবং যান চলাচলের সম্পুর্ণ অনুপযোগী। জীবনের মায়া ত্যাগ করে নছিমন বা বটবটি অথবা অটো রিক্সায় চড়ে দীর্ঘ জানজটে থেকে প্রয়োজনীয কাজ সারতে হয়। এই যে নিত্যদিনের হয়রানি এবং মহাযঞ্জে শরীক হতে হয় সাধারণের তা কি কারো চোখে পড়ে না। না কি দেখার কেউ নেই। beauti of b baria
গত সোমবার ২৫শে ডিসেম্বর ঘুরে দেখা হলো ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উন্নয়ন। অসম উন্নয়নের চাকা যেন স্তদ্ধ হয়ে আটকে দম বন্ধ হওয়ার মত। শহরের সব প্রবেশদ্বার বন্ধ যা বিকল্প রাস্তা আছে সেগুলি যথেষ্ট নয় বরং যানজট সৃষ্টির মহউৎসব মাত্র। খানাখন্দ এবং উন্নয়ন একসঙ্গে পাল্লা দিয়ে মানুষের টুটি চেপে ধরেছেন। দীর্ঘদেশী ফ্লাইওভারটিও অসম্পুর্ণ রয়েছে; দেখে মনে হয় প্রাণহীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া। কবে প্রাণ ফিরে আসবে তা বলার এমনকি বোঝার সামর্থ কারোরই নেই। তবে সরকারের উন্নয়ন জোয়ার লেগেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
পরিকল্পনা এবং সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অনভিজ্ঞতার পরিচায়ক হিসেবে আভিভূত হচ্ছে মাত্র। কারণ অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে বলার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। সরকার তার সমান্তরাল উন্নয়ন এর রূপরেখা অনুযায়ী সকল কিছু করতে যাচ্ছে কিন্তু যা ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে দায়ীত্বে রয়েছে তাদের গ্রহণ ও সক্ষমতার সহিত বাস্তবায়ন এবং জনদুর্ভোগ কমানোর অভিজ্ঞতায় অভাব রয়েছে। কিভাবে পরিকল্পনা করে চতুমুখী বাস্তবায়ন সম্পন্ন করা যায় তা এখনো তারা বুঝে উঠতে পারছে না। উন্নয়নতো জনগনেরই জন্য তাই জনগণকে কষ্ট দিয়ে উন্নয়নের সুফলে বাধাগ্রস্ত করাটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা খতিয়ে দেখার বিষয়। উন্নয়ন হবে এবং এই উন্নয়নে জনসম্পৃক্ততা আশু প্রয়োজন। আর বিকল্প গুলো সামনে রেখে কাজ করাও জরুরী। নতুবা সকল উন্নয়নের ফসল ভেস্তে যাবে দুর্ভোগের কারণে।
বর্তমানে এই শহরটি অটো রিক্সা এবং ব্যাটারি চালিত গাড়িতে ভরপুর। মানুষের চেয়ে বেশী ঐ মানব বিধ্বংসী জলজ্যান্ত যানে। আমার দুর্ভাগ্যের মধ্যে সৌভাগ্য হলো ঐ খানাখন্দ শহরকে দেখার। আর দেখেই যে উপলব্দি হলো তাই প্রকাশ করলাম মাত্র। একটি ব্যান্ড নিউ গাড়ি এই খানাখন্ডে আক্রান্ত হয়ে ৪.৫ ঘন্টায় পরিশ্রমে মেরামত করে ঢাকায় ফেরা। সত্যিৎ দুর্বিসহ এক জনদুর্ভোগ। কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন যাতে বিকল্প রাস্তাগুলো খোলা রেখে উন্নয়ন কাজগুলো সম্পন্ন করুন। সমস্ত শহরে একসঙ্গে উন্নয়ন করা সম্ভব নয় এবং এটি কোন সফল চিন্তাও নয়। আগামী নির্বাচনে উন্নয়নের প্রভাব যেন বিরূপ আকারো না পড়ে সেই চিন্তা মাথায় রেখেই সরকার এবং এর শাখা ও প্রশাখাগুলো সমন্বয়ের সহিত কাজ করতে হবে। আশা করি সময়োচিত চিন্তা এবং পরিকল্পনা যা জনদুর্ভোগ গুছাতে সহায়তা করবে সেইদিক মন দিয়ে সামনে অগ্রসর হউন। আশা, প্রত্যাশা এবং ফলাফল যেন যোগ হয় আগামী নির্বাচনের বিজয় সুনিশ্চিত।

Leave a Reply

Your email address will not be published.