চুন খেয়ে দই দেখতে ভয়

তাজুল ইসলাম নয়ন॥ কসবা আখাউড়ার উন্নয়নের বাস্তব রূপকার জনাব এডভেকেট আনিছুল হক শ্যানন। আসছে নির্বাচনে তিনিই আওয়ামী লিগের মনোনীত প্রার্থী। নির্বাচনী মাঠে তিনিই দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। প্রতিদ্বন্ধী বলতে তাঁর ধারে কাছেও কেউ নেই। থাকারও কথা না। কারণ তিনি ও তার সততা, আন্তরিকতা, ভালবাসা এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উন্নয়ন এখন সবত্রই কথা বলে। এলাকার মানুষও দল মত নির্বিশেষে তারই পক্ষে।  hq2 tajul
যার নিজস্ব কোন চাওয়া ও পাওয়ার আকাঙ্খা নেই শুধু দেয়ার আকাঙ্খা আছে সেই মানুষটিকে কে না চায়। সবাই চাই তিনি যেন দ্বিতীয় বারের মত কসবা ও আখাউড়া থেকে নির্বাচিত হয়ে দেশের সেবা করে কসবা ও আখাউড়ার মুখোজ্জ্বল করতে পারেন। বিএনপি প্রার্থী জনাব মুশফিকুর রহমান যদিও বয়সের ভারে ন্যুয্য হয়ে এলাকার মানুষের মননের বাইরে রয়েছেন। হয়ত সেই কারণেও আনিছুল হক সামনে এগিয়ে গেছেন। পাশাপাশি জাতীয় পার্টির অবস্থা তেমন ভাল নয়। তবে জাতিয় পার্টি, জামাত ও বিএনপি যদি ঐক্যের ভিত্তিতে নির্বাচনী মাঠে অবর্তীর্ণ হয় তাহলে আনিছুল হকের নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে বেগ পেতে হবে। কারণ এখনো দলের মধ্যে মনোমালিন্য ও ভেদাভেদ রয়েছে। সাবেক এমপি ও কিছু সুবিধাভোগী স্বার্থপর যারা দলীয় স্বার্থের চেয়ে ব্যক্তিস্বার্থকেই বেশী গুরুত্ব দেয়, সেই শ্রেণীর নেতা ও কর্মী এমনকি সমর্থক। এই সমর্থকরা সবসময়ই দলের ক্ষতি সাধন করে গেছেন এবং যাবেন। তারপরও বলব সময় এখনও আছে আমাদের। সকল ভেদাভেদ ভুলে সাম্যের ও ঐক্যের কাতারে এসে দলকে শক্তিশালী করে আগামীর বিজয় সুনিশ্চিত করার।
আমরা দেখেছি এলাকার সকল মানুষ এখনও আনিছুল হকের নামের জয়ধ্বনী করে এবং আগামী দিনের যোগ্য নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে সামনে এগুনোর কাজও করে যাচ্ছে। সমালোচনা ও কম এবং বেশী গুরুত্ব পাওয়া না পাওয়ার হিসেবেরও দ্বন্ধ বিরাজমান। এইসকল মান অভিমান সবই ভেঙ্গে একত্রিত হয়ে এগিয়ে যাবে সুনিশ্চিত বিজয়ের লক্ষে এটাই কামনা ও প্রত্যাশা।
আমি নির্বাচন করেছিলাম মরহুম শ্রদ্ধেয় এডভোকেট সিরাজুল হক বাচ্চু মিয়া সাহেবের। আমার দু:ভার্গ সেই নির্বাচনে জীততে পারিনি। তবে তখন দেখেছিলাম নির্বাচনী জোয়ার ও নৌকার বিজয়ের লক্ষন। শেষ যে মিটিং ও সমাবেশটি হয়েছিল কসবা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে, সেটি ছিল এযাবতকালের সবচেয়ে বড় মিটিং ও মিছিল। কিন্তু দু:ভাগ্য তারপরেও আমরা হেরেছিলাম একজন অশিক্ষিত মানুষের কুটবুদ্ধির কাছে। সেদিনের সেই দু;খ আজও মনোকষ্ট দেয়। সেই বেদনার পুনরাবৃত্তি যেন না হয় সেই লক্ষে এখন থেকেই নেতা কর্মী ও সমর্থক এবং শুভাকাঙ্খিদের কাজ করে যেতে হবে। শুধু হক সাহেবের আগমন উপলক্ষ্যে  একত্রিত হলেই হবে না বরং কাজ করতে হবে ঘরে ঘরে গিয়ে। ভোট চাইতে হবে, উন্নয়ন এবং আগামীর পরিকল্পনা তুলে ধরতে হবে, বোঝাতে হবে এবং নিশ্চিত করতে হবে ভোটের হিসেব। স্বচ্ছ ইমেজের মানুষজনকে জাগিয়ে তুলতে হবে ভোটের প্রচারণায়। দলীয় কর্মী ও সর্থকদের মধ্যে যে বিভেদ ও ভুলবোঝাবোঝি এখনো রয়েছে তা দুরকরণের লক্ষ্যে উদ্যোগ নিয়ে কাধে কাধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। ছোট বা বড় মনোভাবাপন্ন সংকীর্ণতা দুর করে সাম্যের ভিত্তিতে শ্রদ্ধা ও ভালবাসার সংমিশ্রণে কাজ করতে হবে। বিজয় সুনিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত মাঠে পাহারারত অবস্থায় থাকতে হবে। বিজয় নিয়ে ঘরে ফিরতে হবে। বিজয়ের মাসে শেষর লগ্নে এসে এই প্রতিজ্ঞায় আবদ্ধ হতে হবে এবং আগামীর ২০১৮ সালের সুচনালগ্ন থেকেই প্রতিজ্ঞা নির্ভর প্রতিশ্রুত কাজে ঝাপিয়ে পড়তে হবে।
সুধিজনদের সঙ্গে গোল টেবিল বৈঠক করতে হবে। মাদ্রাসা ও মসজিদ এর ইমাম ও শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং আগামীর করণীয় ঠিক করতে হবে। সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করে আগামীর লক্ষে এগিয়ে যাওয়ার কর্মযজ্ঞে ঝাপিয়ে পড়তে হবে। শিক্ষক সমাজের সঙ্গেও মতবিনিময় সভা করতে হবে। কৃষক শ্রেণীর সঙ্গেও বসতে হবে। শ্রমীক শ্রেণীর সঙ্গেও বসে একসঙ্গে কাজ করার নিতী ঠিক করে এগুতে হবে। প্রত্যেকেরই মনের কথা শুনে ভালবাসার বন্ধনে আবদ্ধ হয়েই সামনের বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে। জনাব হক সাহেব আপনাকে চাই মানুষজন কাছে পেতে এবং মনের গহীনের কথা বলতে। শুনুন এবং আপনার ভালবাসাটুকু তাদেরকে গ্রহণ করতে সুযোগ দিন। বিজয় সুনিশ্চিত।
আপনার বক্তব্যকে সাধুবাদ জানাই, কারন প্রত্যেকটি মানুষ (জ্ঞানী, শিক্ষিত, অশিক্ষিত, কম শিক্ষত) গ্রহণ করেছে। কারণ আপনি বলেছেন আমার উন্নয়নের ফিরিস্তি আমি দেবো না এবং চামচামী ও মিথ্যা আশ্বাস এমনকি কথাও বলবো না। সত্যিই চমৎকার কথা। তবে আপনি বলেছেন একটি কথা আমার আছে বা দাবী আছে আপনাদের কাছে, আর সেটি হলো আপনারা আমাকে ভালবাসবেন, আমি আপনাদেরকে ভালবাসি। এই কথাটি সবাই বিশ্বাস করেছে এবং আপনাকে শ্রদ্ধাভরে ভালবাসছে যা আগামী নির্বাচনে আমরা দেখব। আমি অনেকের সঙ্গে কথা বলে এই সত্যটি আবিস্কার করেছি। এও আবিস্কার করেছি আপনার সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে এক মহিলা আপনার প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা স্থাপন করে বসে আছে। আপনি তাঁর সন্তানদের দেখাশুনা ও আগামীর মঙ্গলের কাজে ব্যবহার করবেন। এই যে অন্ধ বিশ্বাস তা শুধু আপনার প্রতিই রাখা যায় এবং আপনাকেই বলা যায়। শুধু আপনি সময় বের করে প্রত্যেকের সঙ্গে মতবিনিময় ও গোলটেবিল বৈঠকে মাধ্যমে নিজেকে আরো কাছে নিয়ে যান।
পৃথিবী যদি উল্টো পথে না হাটে তাহলে এই বিজয় ঠেকানোর কোন উপায় অন্তর এখন পর্যন্ত কেউ আবিস্কার করতে পারেনি এবং পারবেও না। আমার পরামর্শ ও আপার বিবেগ এবং জ্ঞান ব্যবহার করে সামনে এগিয়ে যান। আমরা আপনার সঙ্গে ছায়ার মতো লেগে থেকেই বিজয় নিয়ে গড়ে ফিরবো। আর ছায়ার মতই থাকবো। আপনি জানেন কারা কারা এখনও আপনার একটু মৌখিক ভালবাসা ও শাসনের স্বরে আদরমাখা ডাক শুনতে আগ্রহী; সেই অবুঝ ও শিশুশুলব মনের নিবর মানুষগুলোকে কাজে লাগিয়ে আগামির বিজয় নিশ্চিতে  ব্যবহার করুন। আওয়ামী লীগ যদি আওয়ামী লীগের শত্রু না হয় তাহলে আমাদের বিজয় ঠেকানোর ক্ষমতা ও সুযোগ কারো নেই। আল্লাহ আপনাকে দীর্ঘায়ু করুক এবং নেতৃত্বের গুনাবলীতে আরো ধৈয্য ও মহব্বত এবং ভালবাসার নেকী হাছিল করুক। আপনার সন্তানতুল্য কসবা আখাউড়ার জনগণকে আপনি সন্তানের ¯েœহ ও ভালবাসায় বেড়ে উঠতে সাহায্য করুন। দিন দিন আপনার পরিবার বৃদ্ধি পাচ্ছে, পরিধির ব্যাপ্তি অনেক বিশাল হচ্ছে তা আরো বাড়তে এবং উন্নয়ন কর্মকান্ডে অংশীদ্বার হতে সহায়তা করুন। চুন খেয়ে দই দেখতে যে ভয় আমার মাঝে জেগে উঠে তা অতিক্রম করার জন্য আমি/ আপনি/ আমরা এবং আপনারা সবাই মিলে কাজ করি এই কামনাই করি। দল মত নির্বিশেষে এগিয়ে যাই আগামীর কল্যাণের মধ্যদিয়ে সুনিশ্চিত বিজয় উপহারের লক্ষ্যে। আল্লাহ আমাদেরকে জ্ঞান ও তৌফিক দান করুন…আমীন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.