সরানো হচ্ছে না জিয়ার মাজার

রাইসলাম॥ চন্দ্রিমা উদ্যান থেকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজার শেষ পর্যন্ত সরানো হচ্ছে না বলে আভাস পাওয়া গেছে। ফলে মাজার সরানো নিয়ে এর আগে যেসব উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল তা বন্ধ রয়েছে। mazar no movement
নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বখ্যাত স্থপতি লুই আই কানের নকশা দেশে এলেই অপসারিত হবে জিয়ার মাজার- এমন আশঙ্কায় কেটে গেছে দুই বছর। নকশা দেশে এসেছে এক বছর। এর মধ্যে সংসদ ভবন কমপ্লেক্সের এক সেট নকশা প্রধানমন্ত্রীর দফতরে পাঠানো হয়েছে। সে নকশায় মাজার এলাকায় কোনো স্থাপনা প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা পাওয়া যায়নি। এরপর থেকেই এই নকশা বাস্তবায়নের উদ্যোগে ভাটা পড়ে যায়। এ নিয়ে কথা বলতেও আর তেমন উৎসাহ নেই মন্ত্রী-এমপিদের। ফলে চন্দ্রিমা উদ্যানে বহাল তবিয়তেই আছে মাজারটি। তাই মাজারটি সরবে না বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।
সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, আদালতের নির্দেশের পর সংসদ কমিটির সভায় লুই আই কানের মূল নকশা দেশে আনার সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া সংসদ ভবনের সীমানার ভিতরে ও বাইরে নকশাবহির্ভূত আর কী কী আছে- তা চিহ্নিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্ত্বাবধানে একটি সাবকমিটি করে দেওয়া হয়। কমিটি লুই আই কানের নকশাবহির্ভূত ৭টি স্থাপনা চিহ্নিত করে এসব উচ্ছেদের সুপারিশ করে। এর মধ্যে রয়েছে চন্দ্রিমা উদ্যানে জিয়াউর রহমানের কবর ঘিরে গড়ে ওঠা কমপ্লেক্স, প্রবেশপথের ঝুলন্ত সেতু, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র, স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকারের বাসভবন, জাতীয় কবরস্থান ও অন্যান্য স্থাপনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংসদ সচিবালয় সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, মূল নকশা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চন্দ্রিমা উদ্যান সংসদ ভবন কমপ্লেক্সের অন্তর্ভুক্ত নয়। তারপরও যদি জিয়ার মাজার সরাতে হয় সেটা করতে হবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে। লুই আই কানের করা সংসদের মূল নকশা এক্ষেত্রে কোনো সহযোগিতা করবে না।
স্থাপত্য অধিদফতর সূত্র জানায়, সংসদ ভবন কমপ্লেক্সের মূল নকশায় রয়েছে মূল সংসদ ভবন, সংসদ সদস্য, মিনিস্টার ও সেক্রেটারিদের হোস্টেল, অতিথি ভবন ও কমিউনিটি বিল্ডিং। লেক ও বাগান, রাস্তা, হাঁটার পথ দ্বারা কমপ্লেক্সটি দৃষ্টিনন্দন করে তোলা হয়। সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.