টিআইএন॥ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট তথাকথিত দুর্নীতি মামলা থেকে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া খালাস পাবেন বলে মন্তব্য করেছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। তিনি বলেন, ‘এ মামলায় বেগম খালেদা জিয়া খালাস পাবেন। তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগই প্রমাণিত হয়নি।’
গত মঙ্গলবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আইনজীবীরা জানান, এ মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সাক্ষীরা দুর্নীতি সংশ্লিষ্টতার কোন প্রমাণ দিতে পারেনি।
তাই বেগম জিয়া মামলা থেকে খালাস পাবেন বলেও প্রত্যাশা করেন তার আইনজীবীরা। অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী দাবি করেন, যুক্তিতর্কে বেগম জিয়াকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়ার মতো সব ধরনের প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করেছেন তারা।
অর্থপাচারের সঙ্গে বেগম জিয়া যে জড়িত ছিলেন তা তার মূখ্যসচিব লিখিত বিবৃতিতে স্বীকার করে নিয়েছিলেন বলেও দাবি করেন দুদকের আইনজীবী। তবে বেগম জিয়ার আইনজীবীরা জানান, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়ার সঙ্গে বাকি আসামিদের কোনো সম্পর্ক কিংবা সংশ্লিষ্টতা নেই।
দুদকের আইজীবী বলেন, ‘আমি প্রসিকিউশনে বলেছি; আমরা সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করছি।’
গত বৃহস্পতিবার ২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর পুনরায় বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করেন আদালত। আগামীকাল সকাল থেকে আবারও শুরু হবে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবিরাই যদি বিচারের ভুমিকা নিয়ে নেন। তাহলে রায় ঘোষনার জন্যতো আর বিচারকের প্রয়োজন নেই। কারন একজন দোষী বা মামলার আসামী অথবা তার পক্ষে নিযুক্ত ব্যক্তিগন রায় ঘোষনার আগে এই ধরনের মন্তব্য করতে পারেন না। বিচারকের ভুমিকায় অবতীর্ণ হওয়া সত্যিই দু:খজনক। আসামী হিসেবে নির্দোষ দাবি করতে পারেন এবং এর স্বপক্ষে যুক্ত তর্ক উপস্থাপন করতে পারেন। যাতে বিচার তাঁর ন্যায় বিচারের কাজ স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে পারেন। আমাদের দাবি যেন উভয় পক্ষই ধৈর্য্যধরে অপেক্ষা করেন আগামী দিনের সুবিচার দেখার জন্য। আইন সবার জন্যই সমান। আর সেই আইনকে সুষ্ঠভাবে নিজস্ব গতিতে এগিয়ে যেতে সহায়তা করুন।