নয়ন॥ ২৬শে মার্চ আমাদের ‘স্বাধীনতা দিবস’, ‘বিজয় দিবস’ নয়। আমাদের ‘বিজয় দিবস’ ১৬ই ডিসেম্বর। বিএনপি নেতা গত ১৬ ডিসেম্বর এর বিজয় দিবসের প্রোগ্রামে জনাব স্বঘোষিত ডা: তারেক বলেন আমাদের এই স্বাধীনতা দিবসের দিনে অঙ্গিকার এবং সপথ করতে হবে; শেখ হাসিনার সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত কেউ ঘরে ফিরবো না। এই ধরনের সপথ নিতে হলে দেশে আসতে হবে, মানুষকে ভালবাসতে হবে, দেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে হবে। তারপর নেতা হওয়ার হায়েশ নিয়ে মানব সেবায় এগিয়ে যেতে হবে।
যে ব্যক্তি বাংলাদেশের ‘স্বাধীনতা দিবস’ আর ‘বিজয় দিবস’ এর পার্থক্য বোঝেনা সে নাকি আবার ভবিষ্যত বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিতে চায়!!!! তার ইতিহাস জ্ঞান কী রকম হতে পারে! এজন্যই সেই ব্যক্তি, ‘যাকে তাকে’ বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বা স্বাধীনতার ঘোষক বানাতে চায়। উল্লেখ্য, ২৬শে মার্চ আমাদের ‘স্বাধীনতা দিবস’ আর ১৬ই ডিসেম্বর আমাদের ‘বিজয় দিবস’। এই দিবসগুলো সম্পর্কেও যার নূন্যতম জ্ঞান নেই সেই নরাধমকে কিভাবে জ্ঞানী মানুষগুলো সুযোগ দিয়ে বক্তার আসনে বসেন?
আরো লজ্ঝার বিষয় হলো সারা পৃথিবীতে যার দুর্নাম ছড়িয়েছে চোর হিসেবে এবং পাশাপাশি মাফিয়া ডন হিসেবে সেই মানুষটি কিনা নেতা? আরো মজার বিষয় হলো মদ, জুয়া, সুদ এবং পার্সেন্টিজ এমনকি সকল অন্যায়ের সঙ্গে আপস করে অর্থ উপার্জনকারী মি. পার্সেন নামে খ্যাত হাওয়া ভবনের কেলেঙ্কারীকারণ তারেক কিভাবে বাংলাদেশের শিক্ষিত ও রুচিশীল মানুষের নেত হতে পারে তা আমাদের বোধগম্য নয়। আরেকটি বিষয় হলো তিনি তার রিফিউজি জিবনে লন্ডন সরকারকে সম্পদের হিসাব দেয়ার সময় আয় ও রুজির একমাত্র পথ তিনি উল্লেখ করেছেন (গ্যাম্বেলিং) মানে জুয়ারী হিসেবে। এই যদি হয় আমাদের কলঙ্কের স্বরূপ তাহলে কিভাবে এই দেশের মানুষ যারা তার অনুসারী তারা ঐ কলঙ্ককে মাথায় নিয়ে হাটছে। হাটুন কিন্তু দুগন্ধটুকু না ছড়িয়ে নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখুন।
এখনও সময় আছে পরিবর্তনের সঙ্গে নিজেদেরকে খাপখাইয়ে নিয়ে ইতিবাচক এবং ঐতিহাসিক ও ইতিহাস নির্ভর রাজনীতি সঙ্গে যুক্ত হওয়ার।
https://www.facebook.com/100011327193994/videos/689526461434921/