রাইসলাম॥ সম্প্রতি বিদেশে জিয়া পরিবারের অবৈধ সম্পদের তথ্য ফাঁস হতে শুরু করলে দেশে ও বিদেশে যখন দারুণ ইমেজ সংকটে পতিত এবং খোদ নিজ দলের ভেতরেই সমালোচনা ও চাপের মুখে দিশেহারা তখন সম্পদের তথ্য গোপন ও সম্পদ রক্ষায় তারেক রহমান এবং খালেদা জিয়া নিজেই দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন বলে জানা যাচ্ছে।
জানা যায়, বিদেশী সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত জিয়া পরিবারের সম্পদের তথ্য নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মন্তব্যের পর বিষয়টির গুরুত্ব বেড়ে যাওয়া ও টক অব দি কান্ট্রিতে পরিণত হওয়ার ফলে পারিবারিক-অর্থনৈতিক ও পারিবারিক-রাজনৈতিক সমূহ সংকটে পতিত হবার সম্ভাবনা সৃষ্টি হওয়ায় খালেদা জিয়া জনগণের দৃষ্টি ঘোরাতে প্রধানমন্ত্রীকে লোক দেখানো উকিল নোটিশ পাঠিয়ে নিজেই সৌদি আরব ও আরব আমিরাতকে ম্যানেজের চেষ্টা শুরু করেছেন।
https://youtu.be/Inp2ve0QfH4 https://youtu.be/Inp2ve0QfH4?t=62
আরব আমিরাতকে ম্যানেজের অংশ হিসেবে খালেদা জিয়া আমিরাতের বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে নিজ বাসভবনে আমন্ত্রণ জানান। বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ড. সাঈদ বিন হাজর আল শাহী ২১ ডিসেম্বর রাতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং ডিনারে অংশ নেন,যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশীত হয়। সূত্রমতে রাষ্ট্রদূত সাঈদ বিন হাজর খালেদা জিয়াকে দুবাইয়ের সম্পদ রক্ষা ও তার পরিবারকে বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে বাঁচানোর আশ্বাস দিয়েছেন।
অন্যদিকে সৌদি আরবের সাথে খালেদা জিয়ার ব্যাক্তিগত সুসম্পর্কের কারণে তার পুত্র তারেক রহমানকে নির্দ্বিধায় সৌদি আরব যাবার এবং সৌদি আরবে সম্প্রতি দুর্নীতি বিরোধী অভিযান চলায় আাইনী বিষয়েও খতিয়ে দেখার পরামর্শ দেন বলে জানা যায়। আর এ কারণেই যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা তারেক জিয়া সম্প্রতি সৌদি আরব সফরের অনুমতি চেয়ে ব্রিটিশ ইমিগ্রেশন ডিপার্টমেন্টে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ব্রিটিশ ইমিগ্রেশন বিভাগ তাঁর সৌদি আরব যাবার আবেদনটি বিবেচনা করছে বলে জানা গেছে।
সৌদি আরব থেকে প্রাপ্ত অন্য একটি সূত্রে জানা যায় সৌদি যাবার আগেই তারেক জিয়া সৌদির রিয়াদে অবস্থিত কর্পোরেট ফিন্যান্স এন্ড বিজনেস ল’ অফিস “মোহাম্মাদ আল খিলউই ল ফার্ম এটর্নিস এন্ড লিগ্যাল কনসালটেন্টস” এর সাথে যোগাযোগ শুরু করেছেন এবং সৌদির সম্পদ রক্ষায় সম্ভাব্য করণীয় বিষয়েও আলাপ করেছেন। সৌদি আরবে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান সত্বেও খালেদা জিয়ার সাথে সৌদি রাজ পরিবারের সুসম্পর্কের কারনে জিয়া পরিবারের সম্পদ রক্ষা ও বিব্রতকর পরিস্থিতি এড়ানো খুব একটা কঠিন হবেনা বলেই মনে করেন অনেকেই।