টিআইএন॥ ২০০৮ সালে মুচলেকা দিয়ে তারেক জিয়া স্বপরিবারে লন্ডন চলে গেছেন। এরপর তার বিরুদ্ধে শত অভিযোগ ও আসামী হিসেবে আদালত কতৃক দোষী সাব্যস্ত হয়ে দন্ড মাথায় নিয়ে লন্ডনে অবস্থান করলেও দেশে ফেরার কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছেনা। সম্প্রতি দেশ বিদেশে তার অবৈধ সম্পদের তথ্য ফাঁস হবার কারণে আরো বেশী বেকায়দায় পড়ে যান তারেক জিয়া। তাই তারেক জিয়ার আদৌ দেশে ফেরার কোন সম্ভাবনা নেই বলে জানা গেছে। তার দেশে না ফেরার পেছনে আরো যে কারণগুলো রয়েছে তা হলো:
প্রথমত, তারেক জিয়া লন্ডনে যাবার পূর্বে লিখিত মুচলেকা দিয়ে গেছেন, যে তিনি আর কখনো রাজনীতি করবেন না এবং দেশে আসবেন না।
দ্বিতীয়ত, ২১ জুলাই ২০১৬ তারিখে তারেক জিয়া অর্থ পাচার মামলায় ৭ বছরের কারাদন্ড প্রাপ্ত হয়ে ফেরারি আসামী। দেশে এলেই গ্রেফতার হবেন এবং বড় ধরনের আইনি মোকাবেলার সামনে পরবেন। যার জন্য তিনি এবং তার দল মোটেও প্রস্তুত নয়।
তৃতীয়ত, তারেক জিয়া দেশে আসলে বড় ধরনের আন্তর্জাতিক হুমকির মুখে পরবে বিএনপি। খালেদা জিয়ার প্রতি- প্রতিবেশি দেশগুলোর সমর্থন থাকলেও তারেক জিয়ার প্রতি তাদের কোনো সমর্খন নেই। প্রতিবেশি দেশ ভারত সহ ক্ষমতাধর দেশগুলো চায় না, তারেক জিয়া বিএনপির হাল ধরুক।
https://youtu.be/nEEeryeEvoQ
https://youtu.be/nEEeryeEvoQ?t=58
পঞ্চমত, বিএনপির ভেতরেই তারেক জিয়াকে নিয়ে নানা মুখী কোন্দল রয়েছে। দলের একটি অংশ তারেক জিয়াকে সমর্থন করে। কিন্তু বিএনপির আরেকটি বড় অংশই তারেক জিয়া বিরোধী মনোভাব পোষণ করে। তাই দেশে এসে দলীয় ভাঙ্গনের ঝুঁকি নিতে চান না তারেক জিয়া।
ষষ্ঠত, খালেদা জিয়ার বয়স হয়েছে, তিনি মারা গেলে বা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে জেলে গেলে জিয়া পরিবারের পক্ষে বিএনপির নেতৃত্ব হাতে নেবার জন্য এ মূহুর্তে আর কেউ নেই। তাই লন্ডনে থাকলেও দলের হাল ধরার চেষ্টা করতে পরেবেন কিন্তু দেশে এসে গ্রেফতার হলে সে সুযোগও আর থাকবে না।
জানা গেছে এসব কারণকে বিবেচনা করেই তারেক জিয়ার স্ত্রী জোবাইদা রহমান এবং মেয়ে জাইমা রহমান যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব পাবার জন্যে ইতিমধ্যে আবেদন করেছেন। তাই অনেকেই মনে করছেন, স্ত্রী ও কন্যা যুক্তরাজ্যের নাগরিক হয়ে গেলে পারিবারিক সূত্রে তারেক জিয়াও যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব পেতে পারেন। এছাড়া যুক্তরাজ্যের আইন অনুসারে ১০ বছরের বেশী সময় সেখানে কেউ অবস্থান করলে, ওই দেশের নাগরিক হবার জন্যে আবেদন করতে পারেন। তারেক জিয়াও সেই সুযোগের অপেক্ষায়ই আছেন। সমালোচকরা এমনো বলছেন, যে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দীক এখন তারেক জিয়ার ইর্ষার পাত্রী। তাই দেশে রাজনীতি আর করতে না পারলে বৃটেনের নাগরিকত্ত অর্জনের মাধ্যমে তিনিও সেখানে রাজনীতি করার সুযোগ নিতে পরিকল্পনা করছেন।