রাইসলাম॥ বিএনপির সাথে জামায়াতের গাটছাড়া সম্পর্কের ধারাবাহিক পতন ও দুরত্ব দৃশ্যমান হবার সাথে সাথে অন্যান্য শরীকদের সঙ্গেও চলমান শীতল সম্পর্কের মাঝে এরশাদকে নিয়ে নতুন জোট বাঁধার স্বপ্ন অঙ্কুরেই বিনষ্ট হয়ে গেলো খালেদা জিয়ার। জানা যায়, রসিক নির্বাচনে নিজেদের নিশ্চিত পরাজয় জেনে অওয়ামীলীগ ঠেকাতে ও জাতীয় নির্বাচনে সাথে পাবার আশায় গোপনে জাতীয় পার্টিকে সমর্থন দিয়েছিল বিএনপি। রসিক নির্বাচনের পর এ নিয়ে আলোচনা শুরুর প্রস্তার ও দিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু এখন সে আশায় গুড়েবালি।
https://youtu.be/sWex-x9-ETo
https://youtu.be/sWex-x9-ETo?t=53
রসিক নির্বচনে বিজয়ী হবার পর আগামী জাতীয় নির্বাচনে জাতয় পার্টি আওয়ামী লীগের সাথেই থাকবে নাকি বিএনপির সাথে জোট বাধবে তা নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে। রসিক নির্বাচনের আগে এবং কিছু দিন ধরে বিএনপির একটি শক্তিশালী অংশ এরশাদকে মহাজোট ছেড়ে বিএনপির সাথে আসার জন্য দেনদরবার করছিলেন বলে জানা যায়। এরশাদের সাথে জোট করার সম্ভাবনা প্রশ্নে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চলতি মাসে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘কোনো কিছুই অসম্ভব নয়”।
কিন্তু রসিক নির্বাচনে নিজ প্রাথী জয়ী হবার পর অতি সম্প্রতি একটি অনুষ্ঠানে হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ সাফ জানিয়ে দিলেন শেখ হাসিনার অধিনেই নির্বাচন হবে, সে নির্বাচনে তার দল অংশ নেবে এবং তিনি শেখ হাসিনার সাথেই আছেন। ফলে এরশাদ তথা জাতীয় পার্টিকে মহাজোট থেকে ছিনিয়ে এনে নতুন মহাজোট করার পরিকল্পনা ও স্বপ্ন অধরাই রয়ে গেলো বিএনপির।
অন্যদিকে আন্দোলন না নির্বাচন প্রশ্নে বিএনপি জোটে মতপার্থক্য বৃদ্ধি পাবার পর নতুন করে একদিকে দেশ বিদেশে জিয়া পরিবারের দুর্নীতির তথ্য ফাঁস হওয়া নিয়ে বিব্রত পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়া জোটের অন্যান্য নেতাদের মধ্যে খালেদা জিয়ার আসন্ন রায়ের প্রতিক্রিয়ার স্বরুপ নিয়েও প্রবল মতপার্থক্যৈ তৈরী হয়েছে। খালেদা জিয়ার সাজা হলে খালেদা বিহীন বিএনপি ও জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে মোটেও আশাবাদী হতে পারছেননা। কেননা খালেদা পুত্র ও আইনের দৃষ্টিতে লল্ডনে পলাতক আসামী তারেক জিয়ার নেতত্বে বিএনপির জোটে তারা কেউ থাকতে আগ্রহী নয়। তাই কার্যত জোটে বিএনপি এখন একা হয়ে পড়েছে।