তাজুল ইসলাম নয়ন॥ কসবা আখাউড়ার উন্নয়নের কান্ডারী এবং ন্যায় বিচার ও স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহীতার বাস্তব দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী মানবতার জলন্ত উদাহরণ জনাব আনিছুল হক শ্যানন। তিনি কসবা আখাউড়ার মাটি ও মানুষের নেতা হিসেবে নিজেকে প্রমান করেছেন। মানুষের ভালবাসা এবং মননে স্থান করে নিয়েছেন কথায় নয় কাজের মাধ্যমে।
তঁর ভালবাসায় জনগণ এখন সিক্ত। আগামী নির্বাচনে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও এলাকার মানুষের দায়বদ্ধতার ঋণ পরিশোধে মানুষ প্রস্তুত। এই বড় মনের মানুষটির কাছ থেকে মানুষ শুধু পেযেছেন কিন্তু মানুষের দেয়ার সময় আসছে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে কসবা আখাউড়া নির্বাচনী এলরকার মানুষ প্রস্তুত।
দল মত নির্বিশেষে মানুষ একটি কথা স্বীকার করে বলে থাকেন ওনার কোন শত্রু নেই এবং ওনি কারো কোন ক্ষতি করেন নাই বরং উপকারই করেছেন। তবে তিনি কথা দিয়ে কথা রাখেননি এমন ঘটনা এখন পর্যন্ত খোঁজে পাওয়া যায়নি। ওনার কোমল ও সরল মন মানুষের জন্য কিছু করার প্রত্যাশা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একজন আস্থাভাজন কর্মী হিসেবে তিনি দিন রাত দেশের তথা এলাকার উন্নয়ন গতি তরান্বিত করে যাচ্ছেন।
এখানে একটি বিষয় লক্ষনীয় যে, মাননীয় প্রধান মন্ত্রী কিন্তু আনিছুল হককে বেছে নিয়েছেন এবং দায়িত্ব দিয়েছেন। কোন লগ্নিকারক হিসেবে এই দায়িত্ব পাননি। কোন লেনদেনের বিনীময়ে এই দায়িত্ব অর্জীত হয়নি। সুতরাং শুরুটা যার মহৎ ও সততার দৃষ্টান্ত নির্ভর শেষটা তার ভাল যে হবে এটা নিশ্চিত।
জনাব আনিছুল হক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি ইচ্ছা ও আকাঙ্খা পুরণে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দিন রাত তিনি অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এবং মানুষের কল্যাণের তরে নিজের জীবনের শেষদিন পর্যন্ত কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে যাচ্ছেন। দেশবাসি তথা সকলেই জানে এই নি:লোভ মানুষটি কোন চাওয়া ও পাওয়া নেই বরং দেয়ার ইচ্ছা ও আকাঙ্খা রয়েছে অবিরত। তিনি যদি মন্ত্রী না হয়ে আইনজীবী হিসেবে তার ব্যবসা চালিয়ে যেতেন তাহলে হয়তো অনেক আগেই আরো অনেক অর্থ-সম্পদ অর্জন করে সম্পদের পাহাড় স্তুপাকারে জমা করতে পারতেন। কিন্তু না তিনি সেই অর্থের আকাঙ্খাকে বিসর্জন দিয়ে জনসেবা এবং মানুষের কল্যাণের তরে নিজের সমস্ত কিছুই দিয়ে যাচ্ছেন। যেমন কসবা নতুন ও পুরাতন বাজার যোগাযোগ সেতুটি তার নিজস্ব এবং ডাচ বাংলা ব্যাংকের সহায়তায় হয়েছে। আরো অনেক দৃষ্টান্তই উল্লেখ করা যায় যা পত্রিকার এই সংখ্যার পাতায় আটবে না।
জনাব হক সাহেব তাঁর ১ম মন্ত্রী হিসেবে পাওয়া বেতন লাইনে দাঁড়িয়ে উত্তোলন করে আমাদেরকে দেখিয়ে বলেছেন; এইটা আমার আপনাদের সেবার বিনিময়ে উপার্জন এবং বড় কষ্ট করে লাইনে দাড়িয়ে উঠিয়ে এনেছি। এই মহৎ এবং সরলতা আর কার আছে? আছে সততা নির্ভর পরিপূর্ণ মানুষগুলোর। হ্যা এই মানুষগুলো আছে বলেই তো পৃথিবী টিকে আছে এবং খোদার কাজ পরিচালিত হচ্ছে।
আমরা আগামী নির্বাচনে এই মহৎ মানুষটির প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি কি জানতে গিয়ে যা দেখলাম তা সত্যিই অন্যান্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের শিক্ষনীয় বিষয় হিসেবে কাজে লাগবে।
এক লোক বলে আমি ওনার কাছে গিয়ে শাসন পেয়েছি এবং দেখেছি ওনি মানুষকে কিভাবে উপকার করে। যা উনার দ্বারা সম্ভব হবে তাই তিনি করেন। যদি কোন কাজ সম্ভব হবে না তখন তিনি তা সরাসরি না করেন। আমার কাজটি তিনি সরাসরি না করেছেন তবে আমি অসন্তুষ্ট না হয়ে ফিরে আসি। আর চিন্তা করি ঐসকল মানুষগুলোরতো উপকার হয়ে যাচ্ছে। এক বছর পরে আরেকটি বিষয় নিয়ে অন্য লোকের জন্য সুপারিশ করি যাতে ঐ মানুষটির উপকার হয়। তিনি ঠিকই তা করে দিলেন। আমাকে বললেন হবে… যাও, আমি চলে আসি এর কয়েক মাস পরে ঐ মানুষটির কাজটি হয়ে যায়।
এটা দেখে আমার খুব ভালো লাগে এবং ওনাকে ধন্যবাদ দিতে গিয়ে বলি আমাকে সুযোগ দিয়েন যাতে আপনার উপকার করতে পারি। তিনি বলেন দোয়া করেন যাতে সবার কাজে আমি নিজেকে ব্যবহার করতে পারি। আমার চাওয়া ও পাওয়া এটাই। আর এলাকাতে গিয়ে কাজ করুন যাতে আগামী নির্বাচনে যেন আমার নেত্রী বিজয়ী হয়ে পুনরায় দেশ সেবা করতে পারে সেই লক্ষ্যে।
হ্যা আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি এবং নিশ্চিত বিজয় আমাদের সম্মুখ পানে তাকিয়ে আছে। আমরা আগামী দিনের বিজয় উপহার দেয়ের প্রত্যাশায় রইলাম।